alt

ডেঙ্গু প্রতিষেধক: বানরে প্রয়োগ, মিলল কার্যকারিতা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নতুন প্রতিষেধক নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সাফল্যের ইঙ্গিত দিলেন গবেষকেরা।

এরই মধ্যে বানরের ওপর প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এই ডেঙ্গু প্রতিষেধক টিকা।

এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিৎসা আশাব্যঞ্জক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে এখনও এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ।

কবে নাগাদ এই চিকিৎসা সাধারণ পর্যায়ে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে এই ভাইরাস অনেক দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে গবেষকেরা দেখিয়েছিলেন, গবেষণাগারে তৈরি ‘জেএনজে–১৮০২’ নামের একটি রাসায়নিক যৌগ ইঁদুরের কোষে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিস্তার সফলভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।

বর্তমানে যৌগটি আরও উন্নত করে তা ইঁদুরের পাশাপাশি বানরের শরীরেও পরীক্ষা করে দেখেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের অধীনে পরিচালিত জ্যানসিন কোম্পানির ইমার্জিং প্যাথোজেনস বিভাগের প্রধান মার্নিক্স ভ্যান লুক বলেন, বানরের ওপর জেএনজে-১৮০২ প্রয়োগের ফল ‘খুবই আশাব্যঞ্জক’।

যৌগটি উচ্চমাত্রায় প্রয়োগ করে দেখা গেছে, ভাইরাসটির বিস্তার পুরোপুরি ঠেকাতে সক্ষম এটি।

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনের মধ্যে দুটি ধরনে আক্রান্ত বানরের শরীরে জেএনজে-১৮০২ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানান ভ্যান লুক।

তিনি বলেন, বানরের শরীরে যৌগটি প্রয়োগ করা হয়েছিল ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য। তবে ইঁদুরের শরীরে ভাইরাসের ধরন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা হিসেবে যৌগটি প্রয়োগ করা হয়। আর এতে সাফল্য পাওয়া গেছে।

এখন পর্যন্ত সে অর্থে ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা নেই। ভাইরাসটি প্রতিরোধে দুটি টিকা অবশ্য এর আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। আবিষ্কৃত টিকা দুটি হলো, ডেংভ্যাক্সিয়া ও কিউডেঙ্গা।

সাধারণত কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তার শরীরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এটি ভবিষ্যতে আবার ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়।

তবে অনেকের শরীরে প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়। এরফলে তারা আবার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।

একইভাবে জেএনজে-১৮০২ প্রয়োগের মাধ্যমে ডেঙ্গুর চিকিৎসা করা হলে পরবর্তীতে আক্রান্ত হওয়ার একই ধরনের ঝুঁকি থাকে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

ছবি

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জারা: মামদানির নির্বাচনী প্রচারে নেপথ্য কুশলী

ছবি

ভেনেজুয়েলা যেকোনও মার্কিন সামরিক আগ্রাসন মোকাবেলায় সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তুত: প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ছবি

চীনের কার্বন নিঃসরণ কখনও কম, কখনও স্থিতিশীল

ছবি

মার্কিন হামলার শঙ্কায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত করছে ভেনেজুয়েলা

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিভাবান মানুষ নেই, তাই বিদেশি টানতে আগ্রহী ট্রাম্প

ছবি

সম্মেলনস্থলে ঢুকে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ

ছবি

যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে অস্থিরতা, অপসারণের আশঙ্কায় স্টারমার

ছবি

শান্তিচুক্তির দ্বিতীয় ধাপ অনিশ্চিত, বিভক্ত হওয়ার ঝুঁকিতে গাজা

ছবি

দিল্লির বিস্ফোরণে দোষীদের কাউকে ছাড়া হবে না: মোদী

ছবি

দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ৯ জন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক চুক্তি’ চায় ইরান

ছবি

জোহরান মামদানির কাজে কীভাবে ট্রাম্প বাগড়া দিতে পারেন

শুল্কের বিরোধীরা ‘মূর্খ’, রাজস্ব থেকে মার্কিনদের ২০০০ ডলার ‘লভ্যাংশ’ দেয়া হবে: ট্রাম্প

ছবি

বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি ট্রাম্পের, ক্ষমা চাইলেন সমির শাহ

ছবি

বিবিসি এখন বিশৃঙ্খল, নেতৃত্বহীন প্রতিষ্ঠান: সাবেক কর্মকর্তা অলিভার

ছবি

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ সম্মাননা বাদশাহ আব্দুল আজিজ মেডেল পেলেন পাকিস্তানের শীর্ষ জেনারেল

ছবি

সংযুক্ত আরব আমিরাত গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনীতে যোগ দেবে না

ছবি

সারকোজিকে মুক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে ফরাসি আদালত

ছবি

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছে নৌকাডুবিতে মৃত্যু বেড়ে ১১

ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউনের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ

ছবি

নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া গেইটে দূষণবিরোধী বিক্ষোভ, ডজনের বেশি আটক

ছবি

একুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গার মধ্যে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু

ছবি

মামদানির নিউইয়র্ক পরিকল্পনায় বাদ সাধতে পারেন ট্রাম্প

ছবি

গাজায় মৃত্যু ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে, ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ উদ্ধার করলো হামাস

ছবি

পাকিস্তানে বিতর্কিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল সিনেটে উপস্থাপন

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে বিক্ষোভের ঘোষণা বিরোধী জোটের

ছবি

লেবাননে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি

সিরিয়া- যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের নতুন অধ্যায়, ওয়াশিংটনে আল শারা

ছবি

তীব্র দূষণের ঝুঁকিতে গাজার জনস্বাস্থ্য

ছবি

কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার মুখোমুখি ইংল্যান্ড

ছবি

মামদানির প্রচারকৌশলে এগোনোর চেষ্টা ট্রাম্পের

ছবি

২৬ মার্কিন ধনকুবেরের সোয়া দুই কোটি ডলারও মামদানির জয় ঠেকাতে পারেনি

ছবি

আফগানিস্তান-পাকিস্তান শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, যুদ্ধবিরতি এখনও বহাল

ছবি

পুতিনের সঙ্গে এখনও বৈঠকের সুযোগ আছে : ট্রাম্প

ছবি

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

ছবি

সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের নাম মুছলো যুক্তরাষ্ট্র

tab

ডেঙ্গু প্রতিষেধক: বানরে প্রয়োগ, মিলল কার্যকারিতা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৭ মার্চ ২০২৩

নতুন প্রতিষেধক নিয়ে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় সাফল্যের ইঙ্গিত দিলেন গবেষকেরা।

এরই মধ্যে বানরের ওপর প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে এই ডেঙ্গু প্রতিষেধক টিকা।

এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চিকিৎসা আশাব্যঞ্জক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তবে এখনও এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি বিশ্বের অনেক দেশ।

কবে নাগাদ এই চিকিৎসা সাধারণ পর্যায়ে শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে এই ভাইরাস অনেক দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই বছর আগে গবেষকেরা দেখিয়েছিলেন, গবেষণাগারে তৈরি ‘জেএনজে–১৮০২’ নামের একটি রাসায়নিক যৌগ ইঁদুরের কোষে ডেঙ্গু ভাইরাসের বিস্তার সফলভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।

বর্তমানে যৌগটি আরও উন্নত করে তা ইঁদুরের পাশাপাশি বানরের শরীরেও পরীক্ষা করে দেখেছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসনের অধীনে পরিচালিত জ্যানসিন কোম্পানির ইমার্জিং প্যাথোজেনস বিভাগের প্রধান মার্নিক্স ভ্যান লুক বলেন, বানরের ওপর জেএনজে-১৮০২ প্রয়োগের ফল ‘খুবই আশাব্যঞ্জক’।

যৌগটি উচ্চমাত্রায় প্রয়োগ করে দেখা গেছে, ভাইরাসটির বিস্তার পুরোপুরি ঠেকাতে সক্ষম এটি।

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনের মধ্যে দুটি ধরনে আক্রান্ত বানরের শরীরে জেএনজে-১৮০২ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে জানান ভ্যান লুক।

তিনি বলেন, বানরের শরীরে যৌগটি প্রয়োগ করা হয়েছিল ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য। তবে ইঁদুরের শরীরে ভাইরাসের ধরন প্রতিরোধ ও চিকিৎসা হিসেবে যৌগটি প্রয়োগ করা হয়। আর এতে সাফল্য পাওয়া গেছে।

এখন পর্যন্ত সে অর্থে ডেঙ্গুর কোনো চিকিৎসা নেই। ভাইরাসটি প্রতিরোধে দুটি টিকা অবশ্য এর আগে আবিষ্কৃত হয়েছে। আবিষ্কৃত টিকা দুটি হলো, ডেংভ্যাক্সিয়া ও কিউডেঙ্গা।

সাধারণত কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তার শরীরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধব্যবস্থা গড়ে ওঠে। এটি ভবিষ্যতে আবার ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়া থেকে সুরক্ষা দেয়।

তবে অনেকের শরীরে প্রতিরোধব্যবস্থা দুর্বল হয়। এরফলে তারা আবার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।

একইভাবে জেএনজে-১৮০২ প্রয়োগের মাধ্যমে ডেঙ্গুর চিকিৎসা করা হলে পরবর্তীতে আক্রান্ত হওয়ার একই ধরনের ঝুঁকি থাকে কিনা, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

back to top