alt

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে আসছে সৌদির ৫ ভাসমান হাসপাতাল, সেবা দেবে গ্রামে গ্রামে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাজার হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেবে সৌদি অর্থায়নের পাঁচটি ভাসমান হাসপাতাল। আশা করা হচ্ছে, রমজানের পরপরই দুটি হাসপাতাল চালু হবে। খবর আরব নিউজের।

বাংলাদেশের বিভিন্ন নৌপথ পাড়ি দিয়ে ভাসমান এই হাসপাতালগুলো গরিব মানুষদের চিকিৎসাসেবা দেবে। প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর নামে নামকরণ করা হাসপাতালগুলোর অর্থায়ন করবে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রামের (কেএএপি) অধীনে থাকা ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক।

২০১৭ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তির অধীনে ভাসমান হাসপাতালগুলো প্রাথমিকভাবে ফেন্ডশিপ নামের একটি এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এনজিওটি বাংলাদেশে ভাসমান হাসপাতাল চালিয়ে আসছে। জানা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে হাসপাতালগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

জাহাজ নির্মাণ ও প্রথম পাঁচ বছরের অপারেশন খরচ প্রায় দুই কোটি ডলার। জাহাজগুলোর নাম হবে কিং আবদুল্লাহ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল (১-৫)। এরই মধ্যে দুটি জাহাজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রমজানের পরই এই দুটি চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, আমাদের লোকজন প্রস্তুত। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। সব কিছুই প্রস্তুত। আগামী জুন বা তার আগেই দুটি হাসপাতাল চালু হবে বলেও আশা করেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জ শিপইয়ার্ডে জাহাজগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয় আরব নিউজের প্রতিবেদনে।

প্রতিটি জাহাজে ৩০ জন ক্রু থাকবেন। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি থাকবেন চিকিৎসক। বাকিরা জাহাজ চালানো ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবেন। ডিউটি চলাকালীন সবাই জাহাজে তাদের আবাসিক কেবিনে থাকবেন। জাহাজগুলো চলবে পদ্মা নদী, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সুনামগঞ্জের মেঘনা নদী এবং হাতিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা বেশির ভাগ সময় পানির নিচে থাকে। প্রায় সময়ই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এবং দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা দেখা যায়। এ সময় নৌপথে যাত্রা সহজ হয়।

ছবি

কংগ্রেসের সাথে হাত মেলাবেনা সপা-টিএমসি

ছবি

কুয়েতে ছড়িয়ে পড়ছে তেল, জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ছবি

মস্কোতে পৌঁছালেন চীনের প্রেসিডেন্ট, আলোচনার শীর্ষে থাকবে ইউক্রেন যুদ্ধ

ছবি

নেতৃত্বে বিজ্ঞানী-মন্ত্রী, রফতানির বাজার খুঁজছে বাংলাদেশের কৃষি: আনন্দবাজার

ছবি

সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড, ১১৮তম বাংলাদেশ

ছবি

ফ্রান্সে বিক্ষোভ অব্যাহত, গ্রেপ্তার ৩ শতাধিক

ছবি

ইরানের প্রেসিডেন্টকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি, দাবি তেহরানের

ছবি

আজ রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন চীনের প্রেসিডেন্ট

ছবি

রাশিয়ার সামরিক বিমানকে বাধা দিল ন্যাটোর জঙ্গিবিমান

ছবি

কলকাতার স্টুডিও পাড়ায় আগুন, পুড়ে ছাই একাংশ

ছবি

সৌদিতে ১০ রমজান শেষ হচ্ছে হজ আবেদন

ছবি

‘ক্রেডিট সুইস’ কিনতে আলোচনায় ইউবিএস ব্যাংক

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রস্তুত ৮ লাখ উত্তর কোরীয়

ছবি

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত ২, আহত ১০

ছবি

এমপিদের ফোনে টিকটক নিষিদ্ধ করল নিউজিল্যান্ড

ছবি

গ্রেফতারি পরোয়ানার পর ক্রিমিয়া পরিদর্শনে গেলেন পুতিন

ছবি

ইকুয়েডরে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত অন্তত ১৪

ছবি

পর্ন তারকাকে ঘুষ, ট্রাম্প বললেন গ্রেপ্তার হচ্ছেন সে

ছবি

মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত: দুই পাইলটকে পুরস্কৃত করল রাশিয়া

ছবি

মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেওয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত ঘোষণা

ছবি

ইমরানের বাসভবনে পুলিশের ‘তাণ্ডব’, গ্রেপ্তার ২০

ছবি

পুতিনের বিরুদ্ধে আনা যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ যৌক্তিক: বাইডেন

ছবি

সাভার : টোকেন দিয়ে অটোরিকশায় চাঁদাবাজি, মাসে আয় অর্ধকোটি টাকা

ছবি

কৃষ্ণ সাগরে ফের নজরদারি ড্রোন ফ্লাইট শুরু যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

ক্যাম্পের মাঝামাঝিতে যোগ দিলেন ২ জন

ছবি

পুঁজি কমলো সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

ছবি

সব মহানগরে বিএনপির সমাবেশ আজ

ছবি

ফেইসবুকে ফিরলেন ট্রাম্প, লিখলেন ‘আই অ্যাম ব্যাক’

ছবি

করোনায় দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র, সংক্রমণে রাশিয়া

ছবি

ডলার সংকট : পাকিস্তানে হুমকির মুখে বিমান চলাচল

ছবি

পেনশনের বয়স বাড়ানোয় তীব্র আন্দোলন ফ্রান্সে, জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ

ছবি

অস্ট্রেলিয়ার নদীতে হঠাৎ লাখ লাখ মাছের মৃত্যু

ছবি

ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ: পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ডেঙ্গু প্রতিষেধক: বানরে প্রয়োগ, মিলল কার্যকারিতা

ছবি

মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডিতে মৃত্যু ৪০০ ছাড়াল

ছবি

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে ২০ মার্চ

tab

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশে আসছে সৌদির ৫ ভাসমান হাসপাতাল, সেবা দেবে গ্রামে গ্রামে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৮ মার্চ ২০২৩

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে হাজার হাজার রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা দেবে সৌদি অর্থায়নের পাঁচটি ভাসমান হাসপাতাল। আশা করা হচ্ছে, রমজানের পরপরই দুটি হাসপাতাল চালু হবে। খবর আরব নিউজের।

বাংলাদেশের বিভিন্ন নৌপথ পাড়ি দিয়ে ভাসমান এই হাসপাতালগুলো গরিব মানুষদের চিকিৎসাসেবা দেবে। প্রয়াত সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহর নামে নামকরণ করা হাসপাতালগুলোর অর্থায়ন করবে কিং আবদুল্লাহ বিন আব্দুল আজিজ প্রোগ্রামের (কেএএপি) অধীনে থাকা ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক।

২০১৭ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে সই হওয়া একটি চুক্তির অধীনে ভাসমান হাসপাতালগুলো প্রাথমিকভাবে ফেন্ডশিপ নামের একটি এনজিওর মাধ্যমে পরিচালিত হবে। গত দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এনজিওটি বাংলাদেশে ভাসমান হাসপাতাল চালিয়ে আসছে। জানা গেছে, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে হাসপাতালগুলো বাংলাদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

জাহাজ নির্মাণ ও প্রথম পাঁচ বছরের অপারেশন খরচ প্রায় দুই কোটি ডলার। জাহাজগুলোর নাম হবে কিং আবদুল্লাহ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল (১-৫)। এরই মধ্যে দুটি জাহাজের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রমজানের পরই এই দুটি চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

এনজিওটির নির্বাহী পরিচালক রুনা খান বলেন, আমাদের লোকজন প্রস্তুত। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে। সব কিছুই প্রস্তুত। আগামী জুন বা তার আগেই দুটি হাসপাতাল চালু হবে বলেও আশা করেন তিনি।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জ শিপইয়ার্ডে জাহাজগুলো তৈরি করা হয়েছে বলে জানানো হয় আরব নিউজের প্রতিবেদনে।

প্রতিটি জাহাজে ৩০ জন ক্রু থাকবেন। তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি থাকবেন চিকিৎসক। বাকিরা জাহাজ চালানো ও প্রশাসনের দায়িত্বে থাকবেন। ডিউটি চলাকালীন সবাই জাহাজে তাদের আবাসিক কেবিনে থাকবেন। জাহাজগুলো চলবে পদ্মা নদী, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সুনামগঞ্জের মেঘনা নদী এবং হাতিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম ব-দ্বীপ। দেশটির এক-তৃতীয়াংশ এলাকা বেশির ভাগ সময় পানির নিচে থাকে। প্রায় সময়ই বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এবং দক্ষিণাঞ্চলে বন্যা দেখা যায়। এ সময় নৌপথে যাত্রা সহজ হয়।

back to top