ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি আরব। তেহরান বলছে, বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পাঠানো এক চিঠিতে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
তবে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এ তথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলো।
সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ইব্রাহিম রাইসিকে ওই চিঠি দেন বাদশাহ সালমান। চিঠিতে তাকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পরে এক টুইট বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মাদ জামসিদি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
টুইটে তিনি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাদশাহ সালমান। এতে দুই দেশের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তিকে’ স্বাগত জানানোর পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট রাইসিকে সৌদি আরব সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। রাইসিও এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এ ছাড়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং এই বৈঠকের জন্য তিনটি সম্ভাব্য স্থানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে তিনি এই তিন স্থানের নাম উল্লেখ করেননি। সেইসঙ্গে কবে এই বৈঠক হতে পারে সে বিষয়েও কোনো ধারণা দেননি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সৌদি আরব। ওই বছর সৌদি আরব এক দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে, যাদের বেশির ভাগ ছিলেন শিয়া মুসলিম। এ তালিকায় ছিলেন প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরও।
এ নিয়ে দুই দেশ প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ায়। ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। ইরানে বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলা করেন। ওই ঘটনার জেরে ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতি টানে।
অবশেষে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক জোড়া লাগাতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এর অংশ হিসেবে দেশ দুটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালু করবে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ১০ মার্চ এ বিষয়ে একমত হন তারা।
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে আনুষ্ঠানিক সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি আরব। তেহরান বলছে, বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পাঠানো এক চিঠিতে এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তার এই আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।
তবে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে এ তথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইরানের প্রেসিডেন্টকে সফরের আমন্ত্রণ জানানো হলো।
সম্প্রতি ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের একটি চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ইব্রাহিম রাইসিকে ওই চিঠি দেন বাদশাহ সালমান। চিঠিতে তাকে সৌদি সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
পরে এক টুইট বার্তায় ইরানের প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিকবিষয়ক ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মোহাম্মাদ জামসিদি এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
টুইটে তিনি লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বাদশাহ সালমান। এতে দুই দেশের ‘বন্ধুত্বপূর্ণ চুক্তিকে’ স্বাগত জানানোর পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট রাইসিকে সৌদি আরব সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। রাইসিও এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
এ ছাড়া ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান সাংবাদিকদের বলেছেন, দুই দেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে এবং এই বৈঠকের জন্য তিনটি সম্ভাব্য স্থানের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
তবে তিনি এই তিন স্থানের নাম উল্লেখ করেননি। সেইসঙ্গে কবে এই বৈঠক হতে পারে সে বিষয়েও কোনো ধারণা দেননি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল সৌদি আরব। ওই বছর সৌদি আরব এক দিনে ৮১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে, যাদের বেশির ভাগ ছিলেন শিয়া মুসলিম। এ তালিকায় ছিলেন প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরও।
এ নিয়ে দুই দেশ প্রকাশ্যে বিরোধে জড়ায়। ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। ইরানে বিক্ষোভকারীরা সৌদি আরবের দূতাবাসে হামলা করেন। ওই ঘটনার জেরে ইরান ও সৌদি আরব কূটনৈতিক সম্পর্কে ইতি টানে।
অবশেষে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক জোড়া লাগাতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব ও ইরান। এর অংশ হিসেবে দেশ দুটি আগামী ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালু করবে। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ১০ মার্চ এ বিষয়ে একমত হন তারা।