মানহানির মামলায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেও রাহুল গান্ধী মিথ্যা বলেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বিজেপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, লন্ডনে কিছু বলেননি বলে ফের মিথ্যাচার করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি লন্ডনে বলেছিলেন, ভারতে যে গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে, ইউরোপের দেশগুলো সেদিকে নজর দিচ্ছে না। মিথ্যা বলাটা তার স্বভাবে পরিণত হয়েছে। খবর- টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটি তাদের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছে, “রাহুল বলেছেন, তিনি যা বলেন, জেনে বুঝেই বলেন। যদি তিনি চিন্তাভাবনা করেই বলে থাকেন, তাহলে বিজেপির ধারণা, তিনি জেনে বুঝেই পিছিয়ে পড়া মোদী জনগোষ্ঠীকে অপমান করেছেন, বিজেপি এর নিন্দা করছে।”
লোকসভায় তার পরবর্তী বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভীত হওয়ায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, রাহুলের এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে বিজেপির মুখপাত্র বলেছেন, কংগ্রেস নেতাকে অযোগ্য ঘোষণার সঙ্গে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর কোনো যোগসূত্রই নেই।
“অভিযোগ উঠেছে যে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর সঙ্গে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর কোনো সম্পর্কই নেই,” বলেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ।
আদানি-মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই তাকে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল।
ওই অভিযোগকে ‘জাল’ ও ‘ভিত্তিহীন’ অ্যাখ্যা দিয়ে রবি শঙ্কর প্রসাদ বলন, স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই রাহুল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে মিথ্যা মন্তব্য করেছেন।
“রাহুল গান্ধী প্রান্তিক একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে অপমান করেছেন। তার যদি এটা করার অধিকার থাকে, তাহলে অপমানিতদেরও আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। আদালত তাকে (রাহুল) ক্ষমা চাইতে বলেছিল, তিনি রাজি হননি। এরপরই রায় আসে,” বলেন তিনি।
রাহুলের ‘সব চোরের পদবি মোদী হয় কী করে?’ মন্তব্যে মোদৗ সম্প্রদায়ের লোকজন খুবই আঘাত পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।
রবি শঙ্করের অভিযোগ, রাহুল গান্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অপমান করেছেন।
“বিজেপি এর নিন্দা জানাচ্ছে। তার এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিজেপি বিস্তৃত বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নেবে,” বলেছেন তিনি।
রাহুলের সাজার রায়ে স্থগিতাদেশ আনতে কংগ্রেসের আইনজীবী বহর এখনও সুরাট সেশন আদালতের দ্বারস্থ হয়নি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির এই মুখপাত্র।
“কেন তারা এখনও হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যায়নি? তাদের দলের মুখপাত্র পবন খেরার মামলায় তারা এক ঘণ্টার মধ্যে স্থগিতাদেশ নিয়ে নিয়েছিল। রাহুল গান্ধীর মামলায় তাদের আইনজীবীরা এখনও চুপ কেন? বিজেপি এই প্রশ্ন তুলতে চায়,” বলেছেন রবি শঙ্কর।
তার অভিযোগ, এই কারাদণ্ডের ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো করতে চায়, এই উদ্দেশ্যেই এখনও রায়ে স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে না।
কেবল রাহুল গান্ধীই নন, বিজেপির ছয়জনসহ দেশজুড়ে আরও ৩২ জনকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রবি শঙ্কর।
“রাহুল গান্ধী, ৩২ জনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, পরে তাদের আসনে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। আপনার জন্য কি তাহলে আলাদা আইন লাগবে?” টিটকারি মেরে বলেন বিজেপির এই মুখপাত্র।
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
মানহানির মামলায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেও রাহুল গান্ধী মিথ্যা বলেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
বিজেপির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, লন্ডনে কিছু বলেননি বলে ফের মিথ্যাচার করেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি লন্ডনে বলেছিলেন, ভারতে যে গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে, ইউরোপের দেশগুলো সেদিকে নজর দিচ্ছে না। মিথ্যা বলাটা তার স্বভাবে পরিণত হয়েছে। খবর- টাইমস অব ইন্ডিয়া
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলটি তাদের সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেছে, “রাহুল বলেছেন, তিনি যা বলেন, জেনে বুঝেই বলেন। যদি তিনি চিন্তাভাবনা করেই বলে থাকেন, তাহলে বিজেপির ধারণা, তিনি জেনে বুঝেই পিছিয়ে পড়া মোদী জনগোষ্ঠীকে অপমান করেছেন, বিজেপি এর নিন্দা করছে।”
লোকসভায় তার পরবর্তী বক্তব্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভীত হওয়ায় তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, রাহুলের এই অভিযোগের প্রত্যুত্তরে বিজেপির মুখপাত্র বলেছেন, কংগ্রেস নেতাকে অযোগ্য ঘোষণার সঙ্গে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর কোনো যোগসূত্রই নেই।
“অভিযোগ উঠেছে যে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এর সঙ্গে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুর কোনো সম্পর্কই নেই,” বলেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ।
আদানি-মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলাতেই তাকে লোকসভা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ তুলেছিলেন রাহুল।
ওই অভিযোগকে ‘জাল’ ও ‘ভিত্তিহীন’ অ্যাখ্যা দিয়ে রবি শঙ্কর প্রসাদ বলন, স্বভাবসিদ্ধ ভাবেই রাহুল তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে মিথ্যা মন্তব্য করেছেন।
“রাহুল গান্ধী প্রান্তিক একটি সম্প্রদায়ের লোকজনকে অপমান করেছেন। তার যদি এটা করার অধিকার থাকে, তাহলে অপমানিতদেরও আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। আদালত তাকে (রাহুল) ক্ষমা চাইতে বলেছিল, তিনি রাজি হননি। এরপরই রায় আসে,” বলেন তিনি।
রাহুলের ‘সব চোরের পদবি মোদী হয় কী করে?’ মন্তব্যে মোদৗ সম্প্রদায়ের লোকজন খুবই আঘাত পেয়েছেন বলেও তিনি জানান।
রবি শঙ্করের অভিযোগ, রাহুল গান্থী উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অপমান করেছেন।
“বিজেপি এর নিন্দা জানাচ্ছে। তার এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিজেপি বিস্তৃত বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নেবে,” বলেছেন তিনি।
রাহুলের সাজার রায়ে স্থগিতাদেশ আনতে কংগ্রেসের আইনজীবী বহর এখনও সুরাট সেশন আদালতের দ্বারস্থ হয়নি কেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিজেপির এই মুখপাত্র।
“কেন তারা এখনও হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যায়নি? তাদের দলের মুখপাত্র পবন খেরার মামলায় তারা এক ঘণ্টার মধ্যে স্থগিতাদেশ নিয়ে নিয়েছিল। রাহুল গান্ধীর মামলায় তাদের আইনজীবীরা এখনও চুপ কেন? বিজেপি এই প্রশ্ন তুলতে চায়,” বলেছেন রবি শঙ্কর।
তার অভিযোগ, এই কারাদণ্ডের ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ভালো করতে চায়, এই উদ্দেশ্যেই এখনও রায়ে স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে না।
কেবল রাহুল গান্ধীই নন, বিজেপির ছয়জনসহ দেশজুড়ে আরও ৩২ জনকে পার্লামেন্টে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রবি শঙ্কর।
“রাহুল গান্ধী, ৩২ জনকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, পরে তাদের আসনে পুনর্নির্বাচন হয়েছে। আপনার জন্য কি তাহলে আলাদা আইন লাগবে?” টিটকারি মেরে বলেন বিজেপির এই মুখপাত্র।