alt

আন্তর্জাতিক

জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ চূর্ণ করার অঙ্গীকার মায়ানমার সেনাপ্রধানের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে চলছে সামরিক শাসন। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে নিয়োজিত রয়েছে বেশ কিছু গোষ্ঠী। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দমনপীড়নের জেরে সৃষ্ট এসব গোষ্ঠী মিয়ানমারে বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।

আর এবার জান্তাবিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে চূর্ণ করার অঙ্গীকার করেছেন মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। একইসঙ্গে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। সোমবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর লড়াইকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করার পাশাপাশি তাদেরকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া তার সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনাকারী দেশগুলোকে সন্ত্রাসের সমর্থক হিসেবেও অভিযুক্ত করেছেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

বিবিসি বলছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত আছে। দীর্ঘ এই সংঘর্ষে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

কিন্তু জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাজধানী নেপিডোতে বার্ষিক সামরিক কুচকাওয়াজে বক্তৃতা দেওয়ার সময় একটি অদম্য বার্তা দেন। আর তা হলো: মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী তাদের শাসনের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করবে না, যাই হোক না কেন।

৬৬ বছর বয়সী মায়ানমারের এই সেনাপ্রধান এটাও উল্লেখ করেছেন, ‘মানুষের স্বার্থ নষ্ট করতে চায় এমন সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ শহরে’ সামরিক আইন ক্রমবর্ধমানভাবে জারি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মায়ানমারে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ‘বিজয়ী দলের’ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। যদিও চলমান সংঘাতের কারণে ওই নির্বাচন ঠিক কখন অনুষ্ঠিত হবে তা স্পষ্ট নয়।

বিবিসি বলছে, জাপানি আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মায়ানমারের জাতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তঃসারহীন এই ইভেন্ট বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। মূলত এর মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকার তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে থাকে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি অবশ্য চীন ও রাশিয়ার সমর্থন ধরে রেখেছে। এছাড়া সোমবারের এই কুচকাওয়াজে চীনা ও রুশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সম্প্রতি বেইজিং থেকে কেনা চীনা কে৮ গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফট এবং এফটিসি২০০০ জেটের পাশাপাশি রাশিয়ান এমআই৩৫ গানশিপ এই কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এই অস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই বিদ্রোহীদের ঘাঁটি ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি এসব অস্ত্র ব্যবহার করে প্রায়শই বেসামরিক মানুষ এমনকি শিশুদেরও হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া গত শুক্রবার মায়ানমারের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মূলত বেসামরিক জনবহুল এলাকায় সম্প্রতি বিমান হামলার পর সামরিক বাহিনীর জেট জ্বালানি সরবরাহকে লক্ষ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।

ছবি

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব ভারতের সোনার বাজারে

ছবি

ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, নিহত ১৭

ছবি

হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় : ইইউ

ছবি

সময় এখন মাথা ঠান্ডা রাখার, নেতানিয়াহুকে বললেন সুনাক

ছবি

ইউক্রেইন যুদ্ধে রুশ সেনা নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে : বিবিসি

ছবি

ওমানে ভারী বর্ষণে নিহত ১৮, বৃষ্টি-বন্যায় বিপর্যস্ত আরব আমিরাত

ছবি

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ

ছবি

ইরানের পাশে চীন, প্রতিশোধ পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্রের ‘না’

ছবি

ডেনমার্কে স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনে আগুন

ছবি

ইসরায়েল হামলা চালালে এবার সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান

ছবি

পাকিস্তানে বজ্রপাত ও ভারী বৃষ্টিতে ৩৯ জনের মৃত্যু

ছবি

হামলার সময় ইসরায়েলকে রক্ষায় সহযোগিতা করেছে সৌদি!

ছবি

পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

ছবি

ইরানে ‘শিগগিরই’ প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে ইসরায়েল

ছবি

ইরানে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করল ইসরায়েলি বিমান বাহিনী

ইসরায়েলকে শান্ত থাকার আহ্বান করেছে পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর

ছবি

পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় ট্রাম্পের বিচার শুরু

ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় শপিংমলে হামলার লক্ষ্যই ছিল নারীরা: পুলিশ

ছবি

হামলার কারণ জাতিসংঘকে জানালেন ইরানি দূত

ছবি

ইরান-ইয়েমেনের ৮৬ ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

৬.৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল পাপুয়া নিউগিনি

ছবি

হামলার আগে সতর্ক করেছিল ইরান, অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু

ছবি

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

ছবি

রাতভর বন্ধ থাকা পর আকাশসীমা খুলে দিয়েছে ইসরায়েল ও জর্ডান

ছবি

ইসরায়েলে ইরানের হামলা, বাইডেনের সঙ্গে নেতানিয়াহুর ফোনালাপ

ছবি

অস্ট্রেলিয়ার শপিং মলে হামলাকারী শনাক্ত

ছবি

ইসরায়েলে হামলা ইরানের

ছবি

উত্তেজনার মধ্যে হরমুজ প্রণালিতে ইসরায়েলি মালবাহী জাহাজ জব্দ করল ইরান

ছবি

ভারতের আসন্ন নির্বাচনে ক্ষমতায় আবার মোদী: জরিপ

ছবি

অস্ট্রেলিয়ায় শপিংমলে হামলা, নিহত ৬

রমনা বটমূলে পুলিশ কমিশনারের ব্রিফিং, পয়লা বৈশাখে হামলার আশঙ্কা নেই

ছবি

ইরানকে বাইডেনের একশব্দের বার্তা, ইসরায়েলকে রক্ষায় ‘সবকিছু’ করবেন

ছবি

ইসরায়েলে ইরানের হামলার হুমকি বাস্তব: যুক্তরাষ্ট্র

গৃহযুদ্ধে মায়ানমারের অর্ধেক মানুষই দারিদ্র্যপীড়িত: জাতিসংঘ

মায়ানমারের সীমান্ত শহরের বাসিন্দারা থাইল্যান্ডে পালাচ্ছে

tab

আন্তর্জাতিক

জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ চূর্ণ করার অঙ্গীকার মায়ানমার সেনাপ্রধানের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মিয়ানমারে চলছে সামরিক শাসন। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে নিয়োজিত রয়েছে বেশ কিছু গোষ্ঠী। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দমনপীড়নের জেরে সৃষ্ট এসব গোষ্ঠী মিয়ানমারে বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষমতাসীন সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ছে।

আর এবার জান্তাবিরোধী সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে চূর্ণ করার অঙ্গীকার করেছেন মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান এবং সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। একইসঙ্গে প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। সোমবার (২৭ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মায়ানমারের সামরিক সরকারের প্রধান সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর লড়াইকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করার পাশাপাশি তাদেরকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া তার সরকারের মানবাধিকার রেকর্ডের সমালোচনাকারী দেশগুলোকে সন্ত্রাসের সমর্থক হিসেবেও অভিযুক্ত করেছেন জেনারেল মিন অং হ্লাইং।

বিবিসি বলছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর থেকে মায়ানমারের সামরিক বাহিনী দেশটির প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে লিপ্ত আছে। দীর্ঘ এই সংঘর্ষে কয়েক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

কিন্তু জেনারেল মিন অং হ্লাইং রাজধানী নেপিডোতে বার্ষিক সামরিক কুচকাওয়াজে বক্তৃতা দেওয়ার সময় একটি অদম্য বার্তা দেন। আর তা হলো: মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী তাদের শাসনের বিরোধিতাকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ করবে না, যাই হোক না কেন।

৬৬ বছর বয়সী মায়ানমারের এই সেনাপ্রধান এটাও উল্লেখ করেছেন, ‘মানুষের স্বার্থ নষ্ট করতে চায় এমন সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ শহরে’ সামরিক আইন ক্রমবর্ধমানভাবে জারি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, মায়ানমারে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ‘বিজয়ী দলের’ কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। যদিও চলমান সংঘাতের কারণে ওই নির্বাচন ঠিক কখন অনুষ্ঠিত হবে তা স্পষ্ট নয়।

বিবিসি বলছে, জাপানি আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মায়ানমারের জাতীয় সেনাবাহিনীর প্রতিষ্ঠার ৭৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্তঃসারহীন এই ইভেন্ট বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। মূলত এর মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা সরকার তাদের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে থাকে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি অবশ্য চীন ও রাশিয়ার সমর্থন ধরে রেখেছে। এছাড়া সোমবারের এই কুচকাওয়াজে চীনা ও রুশ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সম্প্রতি বেইজিং থেকে কেনা চীনা কে৮ গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফট এবং এফটিসি২০০০ জেটের পাশাপাশি রাশিয়ান এমআই৩৫ গানশিপ এই কুচকাওয়াজে প্রদর্শন করা হয়েছে। সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এই অস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই বিদ্রোহীদের ঘাঁটি ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি এসব অস্ত্র ব্যবহার করে প্রায়শই বেসামরিক মানুষ এমনকি শিশুদেরও হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া গত শুক্রবার মায়ানমারের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মূলত বেসামরিক জনবহুল এলাকায় সম্প্রতি বিমান হামলার পর সামরিক বাহিনীর জেট জ্বালানি সরবরাহকে লক্ষ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটি।

back to top