চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ঐতহাসিক এক চুক্তি হয়েছিলো। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ৭ বছরের বৈরিতার অবসান ঘটে এবং কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছায় দেশ দুটি।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এ সময় ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন দুই নেতা। এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় মধ্যস্ততা করেছে চীন।
আজ মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সি চিন পিংয়ের ফোনে কথা বলার খবর প্রচার করেছে। বলা হয়েছে, ইরান-সৌদি সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়নের একে অপরকে সমর্থন দেওয়ার কথা ফোনালাপে সৌদি যুবরাজ সালমানকে জানিয়েছেন সি চিন পিং।
ওই সময় সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম এসপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্নি সৌদি আরবের সঙ্গে শিয়া ইরানের সম্পর্কোন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সমর্থন রয়েছে যুবরাজ সালমানের।
২০১৬ সালে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। এই ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে হামলা চালান ইরানের বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা। এর জেরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করে সৌদি আরব।
এখন সমঝোতা অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশ দুটি আবার দূতাবাস ও কনস্যুলেট চালু করবে। এ ছাড়া ২০ বছরের বেশি আগে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি তারা বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রমাণ মেলে ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এই উদ্যোগে।
এ ছাড়া পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার আগেই সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।
সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩
চলতি মাসের শুরুর দিকে চীনের মধ্যস্থতায় দেশটির রাজধানী বেইজিংয়ে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে ঐতহাসিক এক চুক্তি হয়েছিলো। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ ৭ বছরের বৈরিতার অবসান ঘটে এবং কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে ঐকমত্যে পৌঁছায় দেশ দুটি।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। এ সময় ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন দুই নেতা। এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় মধ্যস্ততা করেছে চীন।
আজ মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সি চিন পিংয়ের ফোনে কথা বলার খবর প্রচার করেছে। বলা হয়েছে, ইরান-সৌদি সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই নেতার কথা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং মধ্যপ্রাচ্যের উন্নয়নের একে অপরকে সমর্থন দেওয়ার কথা ফোনালাপে সৌদি যুবরাজ সালমানকে জানিয়েছেন সি চিন পিং।
ওই সময় সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম এসপিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সুন্নি সৌদি আরবের সঙ্গে শিয়া ইরানের সম্পর্কোন্নয়নের প্রক্রিয়ায় সমর্থন রয়েছে যুবরাজ সালমানের।
২০১৬ সালে শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব। এই ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে হামলা চালান ইরানের বিক্ষোভকারী ব্যক্তিরা। এর জেরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করে সৌদি আরব।
এখন সমঝোতা অনুযায়ী, আগামী দুই মাসের মধ্যে দেশ দুটি আবার দূতাবাস ও কনস্যুলেট চালু করবে। এ ছাড়া ২০ বছরের বেশি আগে দুই দেশের মধ্যে সই হওয়া নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা চুক্তি তারা বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের অনেকের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রমাণ মেলে ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের এই উদ্যোগে।
এ ছাড়া পবিত্র রমজান মাস শেষ হওয়ার আগেই সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ান।
সম্পর্কোন্নয়নের অংশ হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে রিয়াদ সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন।