আবারও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে এ হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো কিয়েভে হামলা চালালো মস্কো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়ার আসন্ন হামলার আগেই শহরজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়। হামলার পর কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অধিকাংশ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
হামলার বিষয়টি জানিয়ে কিয়েভের অধিবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া এক সতর্কবার্তায় মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, একটি বড় ধরনের হামলা হতে চলেছে। আপনারা কেউ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বের হবেন না। মেয়রের নিজস্ব টেলিগ্রাম এ সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কিয়েভের বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে। বিশেষ করে রাজধানীর ঐতিহাসিক এলাকা পোদিল ও পেচেরিস্কি এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া এ হামলায় ২৭ বছর বয়সী এক নারী আহত হয়েছেন।
মে মাসজুড়েই মস্কো কিয়েভে বেশ কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার অধিকাংশতেই ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। মঙ্গলবারের হামলা মে মাসের ১৭তম হামলা। রুশ বাহিনী সাধারণত কিয়েভে রাতের বেলা হামলা চালিয়ে থাকে। তবে সোমবার (২৯ মে) রুশ সেনারা কিয়েভে দিনের বেলায়ই হামলা চালিয়েছিল।
সোমবারের রুশ হামলায় ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্বীকার করে দেশটির সশস্ত্রবাহিনী বলেছিল, রাশিয়ার হামলায় ইখ্মেলনিতস্কি এলাকার একটি সেনাঘাঁটির রানওয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পাঁচটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এর আগে রোববার রাতে কিয়েভে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া, যেটিকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভে চালানো রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই হামলায় একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। তবে সেদিন কিয়েভে ছোড়া ড্রোনগুলোর মধ্য থেকৈ ৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে। অনেকের মতে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের আগে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
সূত্র: আল জাজিরা
মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩
আবারও ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ মে) সকালে এ হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এ নিয়ে টানা তৃতীয় দিনের মতো কিয়েভে হামলা চালালো মস্কো।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাশিয়ার আসন্ন হামলার আগেই শহরজুড়ে সাইরেন বাজানো হয়। হামলার পর কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অধিকাংশ রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করেছে।
হামলার বিষয়টি জানিয়ে কিয়েভের অধিবাসীদের উদ্দেশে দেওয়া এক সতর্কবার্তায় মেয়র ভিতালি ক্লিৎসকো বলেন, একটি বড় ধরনের হামলা হতে চলেছে। আপনারা কেউ আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বের হবেন না। মেয়রের নিজস্ব টেলিগ্রাম এ সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো কিয়েভের বেশ কয়েকটি এলাকায় আঘাত হেনেছে। বিশেষ করে রাজধানীর ঐতিহাসিক এলাকা পোদিল ও পেচেরিস্কি এলাকায় বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া এ হামলায় ২৭ বছর বয়সী এক নারী আহত হয়েছেন।
মে মাসজুড়েই মস্কো কিয়েভে বেশ কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে। এসব হামলার অধিকাংশতেই ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র। মঙ্গলবারের হামলা মে মাসের ১৭তম হামলা। রুশ বাহিনী সাধারণত কিয়েভে রাতের বেলা হামলা চালিয়ে থাকে। তবে সোমবার (২৯ মে) রুশ সেনারা কিয়েভে দিনের বেলায়ই হামলা চালিয়েছিল।
সোমবারের রুশ হামলায় ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনার বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্বীকার করে দেশটির সশস্ত্রবাহিনী বলেছিল, রাশিয়ার হামলায় ইখ্মেলনিতস্কি এলাকার একটি সেনাঘাঁটির রানওয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া পাঁচটি যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এর আগে রোববার রাতে কিয়েভে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া, যেটিকে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কিয়েভে চালানো রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই হামলায় একজন নিহত ও আরও কয়েকজন আহত হয়েছিলেন। তবে সেদিন কিয়েভে ছোড়া ড্রোনগুলোর মধ্য থেকৈ ৩৬টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয় বলে দাবি করে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
রাশিয়া সম্প্রতি কিয়েভের ওপর আক্রমণ ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছে। সাম্প্রতিক এসব হামলায় রাশিয়া তথাকথিত কামিকাজে ড্রোনের পাশাপাশি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করছে। অনেকের মতে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের আগে দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
সূত্র: আল জাজিরা