যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা সেই নারী রাশিয়ার নাগরিকত্ব চান। ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় বাইডেনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন তিনি।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জো বাইডেনকে যৌন নিপীড়নের জন্য অভিযুক্ত করা এক নারী মঙ্গলবার মস্কোতে হাজির হয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তাকে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ করছেন তিনি।
এএফপি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা ওই নারীর নাম তারা রিড। তিনি ১৯৯৩ সালে বাইডেনের কংগ্রেসনাল অফিসে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন। রিড বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা তাকে শারীরিক বিপদে আছেন বলে জানানোর পর তিনি এখন থেকে রাশিয়ায় থাকতে চান।
৫৯ বছর বয়সী রিড স্পুটনিক মিডিয়া গ্রুপের সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি ছুটি কাটাতে রাশিয়ায় এসেছিলেন। তার ভাষায়, ‘যাইহোক, যখন আমি মস্কোতে বিমান থেকে নামলাম, খুব দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো আমি নিরাপদ বোধ করেছি এবং সম্মান অনুভব করেছি।’
২০২০ সালের গোড়ার দিকে রিড দাবি করেছিলেন, ১৯৯৩ সালের আগস্টে ক্যাপিটল হিল করিডোরে তৎকালীন সিনেটর জো বাইডেন তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। ওই ঘটনার সময় তারা রিডের বয়স ছিল ২৯ বছর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তারার এই অভিযোগ সেসময় বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়েছিল।
এএফপি বলছে, ২০২০ সালে তারা রিড তার অভিযোগ ঠিক তখনই এনেছিলেন যখন জো বাইডেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। আর রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষে নিজেই যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
বাইডেন অবশ্য স্পষ্টভাবে তারা রিডের এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা সত্য নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি- এটা কখনোই হয়নি, কখনও হয়নি।
এদিকে বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা রিড বলেছেন, তিনি সেই ঘটনার পরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে সেই অভিযোগের কোনও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আদালতের একটি নথিতে রিডের প্রাক্তন স্বামীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, তিনি (তারা রিড) বাইডেনের অফিসে কাজ করার সময় যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন।
অবশ্য রিডের এসব অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
নিজেকে ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলে দাবি করা তারা রিড স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২০ সালে তার অভিযোগগুলো সামনে আনার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে রাশিয়ান এজেন্ট বলা হয়েছিল।
এএফপি বলছে, ২০১৮ সালে কথিত গুপ্তচর হিসাবে ওয়াশিংটনে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দি হয়েছিলেন রাশিয়ান আইন প্রণেতা মারিয়া বুটিনা। তার পাশে বসে রিড সাক্ষাৎকারকারীকে বলেন, তিনি ‘সবসময় রাশিয়াকে ভালোবাসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাশিয়াকে শত্রু হিসাবে মনে করি না এবং আমার অনেক সহকর্মী আমেরিকান নাগরিকও রাশিয়াকে শত্রু মনে করে না।’
রিড বলেন, তার একটি ‘বড়’ অনুরোধ রয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমি রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে আবেদন করতে চাই। আমি একজন ভালো নাগরিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
অবশ্য রুশ নাগরিকত্ব পেলেও নিজের মার্কিন নাগরিকত্ব বহাল রাখতে চান তারা রিড।
বুধবার, ৩১ মে ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা সেই নারী রাশিয়ার নাগরিকত্ব চান। ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় বাইডেনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন তিনি।
বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বুধবার (৩১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় জো বাইডেনকে যৌন নিপীড়নের জন্য অভিযুক্ত করা এক নারী মঙ্গলবার মস্কোতে হাজির হয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তাকে রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুরোধ করছেন তিনি।
এএফপি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তোলা ওই নারীর নাম তারা রিড। তিনি ১৯৯৩ সালে বাইডেনের কংগ্রেসনাল অফিসে অল্প সময়ের জন্য কাজ করেছিলেন। রিড বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা তাকে শারীরিক বিপদে আছেন বলে জানানোর পর তিনি এখন থেকে রাশিয়ায় থাকতে চান।
৫৯ বছর বয়সী রিড স্পুটনিক মিডিয়া গ্রুপের সম্প্রচারিত সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি ছুটি কাটাতে রাশিয়ায় এসেছিলেন। তার ভাষায়, ‘যাইহোক, যখন আমি মস্কোতে বিমান থেকে নামলাম, খুব দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো আমি নিরাপদ বোধ করেছি এবং সম্মান অনুভব করেছি।’
২০২০ সালের গোড়ার দিকে রিড দাবি করেছিলেন, ১৯৯৩ সালের আগস্টে ক্যাপিটল হিল করিডোরে তৎকালীন সিনেটর জো বাইডেন তাকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। ওই ঘটনার সময় তারা রিডের বয়স ছিল ২৯ বছর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তারার এই অভিযোগ সেসময় বিশ্বজুড়ে শিরোনাম হয়েছিল।
এএফপি বলছে, ২০২০ সালে তারা রিড তার অভিযোগ ঠিক তখনই এনেছিলেন যখন জো বাইডেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। আর রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষে নিজেই যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন।
বাইডেন অবশ্য স্পষ্টভাবে তারা রিডের এই দাবি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘এটা সত্য নয়। আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি- এটা কখনোই হয়নি, কখনও হয়নি।
এদিকে বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা রিড বলেছেন, তিনি সেই ঘটনার পরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে সেই অভিযোগের কোনও রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কিন্তু ১৯৯৬ সালে আদালতের একটি নথিতে রিডের প্রাক্তন স্বামীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছিল, তিনি (তারা রিড) বাইডেনের অফিসে কাজ করার সময় যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছিলেন।
অবশ্য রিডের এসব অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
নিজেকে ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলে দাবি করা তারা রিড স্পুটনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ২০২০ সালে তার অভিযোগগুলো সামনে আনার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেওয়া হয়েছিল, হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল এবং তাকে রাশিয়ান এজেন্ট বলা হয়েছিল।
এএফপি বলছে, ২০১৮ সালে কথিত গুপ্তচর হিসাবে ওয়াশিংটনে গ্রেপ্তার হয়ে বন্দি হয়েছিলেন রাশিয়ান আইন প্রণেতা মারিয়া বুটিনা। তার পাশে বসে রিড সাক্ষাৎকারকারীকে বলেন, তিনি ‘সবসময় রাশিয়াকে ভালোবাসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি রাশিয়াকে শত্রু হিসাবে মনে করি না এবং আমার অনেক সহকর্মী আমেরিকান নাগরিকও রাশিয়াকে শত্রু মনে করে না।’
রিড বলেন, তার একটি ‘বড়’ অনুরোধ রয়েছে। তার ভাষায়, ‘আমি রাশিয়ার নাগরিকত্বের জন্য রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে আবেদন করতে চাই। আমি একজন ভালো নাগরিক হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
অবশ্য রুশ নাগরিকত্ব পেলেও নিজের মার্কিন নাগরিকত্ব বহাল রাখতে চান তারা রিড।