alt

নগ্নতাকে যৌনতার সঙ্গে এক করে ফেলা উচিত না: কেরালা হাই কোর্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

নগ্নতা যৌনতার সঙ্গে আবদ্ধ নয়। কোনও নারীর ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত থাকলে তাকে যৌনতা হিসাবে দেখা ঠিক নয়’ বলে রায় দিয়ে ভারতে কেরালার নারী অধিকারকর্মী রেহানা ফাতিমার বিরুদ্ধে করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য হাই কোর্ট।

এনডিটিভি জানায়, ২০২০ সালের জুন মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেহানার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রেহানা শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে শুয়ে আছেন এবং তার ছেলে ও মেয়ে তার শরীরে ছবি আঁকছেন।

ভিডিওটি পোস্ট করে রেহানা দাবি করেছিলেন, নারী দেহ মানেই যৌনতা ভেবে নেওয়ার মানসিকতাকে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি তার উদ্দেশ্য ছিল সন্তানদের যৌন শিক্ষা দেওয়া।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ঘিরে নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র ক্ষোভ। সেইসঙ্গে কেরালায় একাধিক থানায় রেহানার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা (POSCO) আইনের ১৩, ১৪ এবং ১৫ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও কিশোর বিচারের ৭৫ ধারার অধীনে ‍মামলা করা হয়।

৩৩ বছরের রেহানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারপতি কাউসের এডাপ্পাগাথ বলেন, সন্তানদের কোন বাস্তব বা সিমুলেটেড যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তাও আবার যৌন তৃপ্তির জন্য! ভিডিও দেখে এমনটা অনুমান করা কারো পক্ষেই সম্ভব ছিল না।

তিনি শুধু তার শরীরকে তার সন্তানদের ছবি আঁকতে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

‘‘কোনো নারীর নিজ দেহ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ‍অধিকার তার একেবারেই নিজস্ব এবং এটিই সমতা ও গোপনীয়তার বিষয়ে তার মৌলিক অধিকারের মূল কথা। এটি ভারতীয় সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ দ্বারা নিশ্চিত করা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মধ্যেও পড়ে।”

মামলা থেকে ‍অব্যাহতি পেতে রেহানা প্রথমে একটি ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেখানে তাকে অব্যাহতি না দিয়ে বরং মামলা চালিয়ে যেতে বলা হয়। ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি পরে কেরালা হাই কোর্টের দ্বারস্ত হন।

হাই কোর্টে করা আপিল আবেদনে রেহানা বলেন, সকল প্রেক্ষাপটে একজন নারীর নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ সমাজে যৌনতা বলে বিবেচিত হয়। অথচ সেই সমাজেই এজন পুরষের নগ্ন ঊর্ধ্বঙ্গ যৌন আচরণ বলে বিবেচিত হয় না। নিজের দেহে পেইটিং করানোর মাধ্যমে তিনি সমাজের পূর্বনির্ধারিত এই ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চেয়েছেন।

রেহানার এই যুক্তির সঙ্গে একমত পোষন করে বিচারপতি কাউসের বলেন, ‘‘শিশুদের পর্নোগ্রাফির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এমন কিছুই সেখানে দেখা যায়নি। ভিডিওটিতে যৌনতার কোনো ইঙ্গিত নেই। একজন ব্যক্তির নগ্ন শরীরের উপরিভাগে ছবি আঁকা, তা সে পুরুষ হোক বা নারী হোক, তাকে যৌনতামূলক কাজ বলা যাবে না।”

আদালতে প্রসিকিউটর দাবি করেছিলেন, রেহানা ভিডিওতে তার শরীরের উপরের অংশটি উন্মুক্ত করেছে। যা অশ্লীল এবং অশালীন। তার এই যুক্তি বাতিল করে আদালত থেকে বলা হয়, ‘‘নগ্নতা এবং অশ্লীলতা সবসময় সমার্থক নয়।

‘‘নগ্নতাকে অপরিহার্যভাবে অশ্লীল বলে শ্রেণীবদ্ধ করা বা এমনকি অশালীন বা অনৈতিক হিসাবে ভাবাও ভুল।”

অতীতে কেরালাতেই নিম্নবর্ণের নারীরা নিজেদের বক্ষ ঢেকে রাখার অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছেন। এছাড়াও সারা দেশে প্রাচীন মন্দির ও বিভিন্ন পাবলিক স্পেসে অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় দেব-দেবীর ম্যুরাল, মূর্তি এবং শিল্পকর্ম আছে এবং এগুলোকে ‘পবিত্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘‘একজন পুরুষের নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ কখনোই অশ্লীল বা অশালীন বলে বিবেচিত হয় না। এটা যৌনতাও নয়। তবে কেনো একজন নারীর দেহও একইভাবে দেখা হবে না?

‘‘নারীদের নিজের দেহ এবং জীবন সম্পর্কে নিজেদের পছন্দমত চলতে গিয়ে নির্যাতিত, বৈষষ্যের শিকার, একঘরে হওয়া এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হয়।”

কেরালার উচ্চ আদালতের এই রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পেলেন রেহানা। এবারই প্রথম তাকে নিয়ে বিতর্ক, এমনটা নয়। কেরালার সবরিমালায় আইয়াপ্পার মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। সেবারও তাকে নিয়ে ব্যাপক হইচই হয় এবং আইন না মেনে মন্দিরে প্রবেশের জন্য খোয়াতে হয়েছিল সরকারি চাকরি।

ছবি

পশ্চিম ইউক্রেইনের টার্নোপিলে রাশিয়ার ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা: শিশু সহ নিহত ২৫

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

রাখাইনে সংঘাত তীব্র, আরাকান আর্মির হামলায় ৩০ জান্তা সেনা নিহত

ছবি

মহাকাশে আরও তীব্র হচ্ছে সামরিক প্রতিযোগিতা

ছবি

গাজায় ঐতিহাসিক প্রাসাদ ধ্বংস, ২০ হাজারের বেশি প্রত্নবস্তু লুট

ছবি

হামাসকে গাজা থেকে বহিষ্কারের আহ্বান নেতানিয়াহুর

ছবি

সৌদি আরবকে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ঘোষণা করলেন ট্রাম্প

ছবি

সংবিধান সংশোধনীর পর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের হাতে কত ক্ষমতা গেল

ছবি

ভারতীয়দের ভিসামুক্ত প্রবেশ বন্ধ করছে ইরান

ছবি

ব্রিটেনে নতুন আশ্রয়নীতি, ক্ষমতাসীন দলের ভেতরেই তীব্র আপত্তি

ছবি

এআই অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না: সুন্দর পিচাই

ছবি

আফ্রিকার ৬ দেশে সেনা উপস্থিতি বাড়াচ্ছে রাশিয়া

ছবি

তহবিল ঘাটতি, প্রকট হচ্ছে ক্ষুধা সংকট, জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

ছবি

গাজা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে কী আছে

ছবি

ভারতে ২৬টি হামলার নেতৃত্বদানকারী শীর্ষ মাওবাদী কমান্ডার হিদমা অভিযানে নিহত

ছবি

সড়ক দুর্ঘটনায় সৌদি আরবে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

ছবি

ভেনেজুয়েলায় মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টা ট্রাম্পের!

ছবি

ডান-বামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে দ্বিতীয় দফায় গড়াল চিলির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ছবি

পাকিস্তানের ওপর অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চায় আফগানিস্তান

ছবি

তাইওয়ান আক্রান্ত হলে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবে জাপান

ছবি

যুদ্ধবিরতির এক মাস পরও গাজার সুড়ঙ্গগুলোয় কেন আটকে আছেন হামাস

ছবি

শার্লটে অবৈধ অভিবাসীবিরোধী ফেডারেল অভিযান শুরু

ছবি

এবার মেক্সিকোতে জেন-জি ধাঁচে বিক্ষোভ

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২২ হাজারের বেশি বিদেশি গ্রেপ্তার

ছবি

ফিলিপাইনে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ, প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ দাবি

ছবি

ট্রাম্প বনাম বিবিসির লড়াই, এরপর কী

ছবি

নীতিতে সংস্কার, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠোর হচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি

কপে মতবিরোধ তীব্র, চুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

ছবি

মামদানির প্রশাসনে কাজ করতে ৫০ হাজার আবেদন

ছবি

গ্রেপ্তার ও বিচার থেকে আজীবন দায়মুক্তি পেলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান

ছবি

এপস্টেইন–ক্লিনটন সম্পর্কসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে তদন্তে নির্দেশ ট্রাম্পের, নজরদারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ

ছবি

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

ছবি

ক্ষমা চেয়েও রক্ষা হচ্ছে না বিবিসির, মামলা করছেন ট্রাম্প

ছবি

মূল্যস্ফীতির শঙ্কায় খাদ্যদ্রব্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

ছবি

চীন সীমান্তে নতুন বিমানঘাঁটি চালু করল ভারত

ছবি

নীরবে যুদ্ধোত্তর গাজার নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে হামাস

tab

নগ্নতাকে যৌনতার সঙ্গে এক করে ফেলা উচিত না: কেরালা হাই কোর্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩

নগ্নতা যৌনতার সঙ্গে আবদ্ধ নয়। কোনও নারীর ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত থাকলে তাকে যৌনতা হিসাবে দেখা ঠিক নয়’ বলে রায় দিয়ে ভারতে কেরালার নারী অধিকারকর্মী রেহানা ফাতিমার বিরুদ্ধে করা সব মামলা খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য হাই কোর্ট।

এনডিটিভি জানায়, ২০২০ সালের জুন মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রেহানার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার মধ্য দিয়ে তুমুল বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, রেহানা শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গ অনাবৃত করে শুয়ে আছেন এবং তার ছেলে ও মেয়ে তার শরীরে ছবি আঁকছেন।

ভিডিওটি পোস্ট করে রেহানা দাবি করেছিলেন, নারী দেহ মানেই যৌনতা ভেবে নেওয়ার মানসিকতাকে চ্যালেঞ্জ করার পাশাপাশি তার উদ্দেশ্য ছিল সন্তানদের যৌন শিক্ষা দেওয়া।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ঘিরে নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র ক্ষোভ। সেইসঙ্গে কেরালায় একাধিক থানায় রেহানার বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা (POSCO) আইনের ১৩, ১৪ এবং ১৫ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইন ও কিশোর বিচারের ৭৫ ধারার অধীনে ‍মামলা করা হয়।

৩৩ বছরের রেহানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে বিচারপতি কাউসের এডাপ্পাগাথ বলেন, সন্তানদের কোন বাস্তব বা সিমুলেটেড যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এবং তাও আবার যৌন তৃপ্তির জন্য! ভিডিও দেখে এমনটা অনুমান করা কারো পক্ষেই সম্ভব ছিল না।

তিনি শুধু তার শরীরকে তার সন্তানদের ছবি আঁকতে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

‘‘কোনো নারীর নিজ দেহ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ‍অধিকার তার একেবারেই নিজস্ব এবং এটিই সমতা ও গোপনীয়তার বিষয়ে তার মৌলিক অধিকারের মূল কথা। এটি ভারতীয় সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ দ্বারা নিশ্চিত করা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতার মধ্যেও পড়ে।”

মামলা থেকে ‍অব্যাহতি পেতে রেহানা প্রথমে একটি ট্রায়াল কোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেখানে তাকে অব্যাহতি না দিয়ে বরং মামলা চালিয়ে যেতে বলা হয়। ট্রায়াল কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি পরে কেরালা হাই কোর্টের দ্বারস্ত হন।

হাই কোর্টে করা আপিল আবেদনে রেহানা বলেন, সকল প্রেক্ষাপটে একজন নারীর নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ সমাজে যৌনতা বলে বিবেচিত হয়। অথচ সেই সমাজেই এজন পুরষের নগ্ন ঊর্ধ্বঙ্গ যৌন আচরণ বলে বিবেচিত হয় না। নিজের দেহে পেইটিং করানোর মাধ্যমে তিনি সমাজের পূর্বনির্ধারিত এই ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বার্তা দিতে চেয়েছেন।

রেহানার এই যুক্তির সঙ্গে একমত পোষন করে বিচারপতি কাউসের বলেন, ‘‘শিশুদের পর্নোগ্রাফির জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এমন কিছুই সেখানে দেখা যায়নি। ভিডিওটিতে যৌনতার কোনো ইঙ্গিত নেই। একজন ব্যক্তির নগ্ন শরীরের উপরিভাগে ছবি আঁকা, তা সে পুরুষ হোক বা নারী হোক, তাকে যৌনতামূলক কাজ বলা যাবে না।”

আদালতে প্রসিকিউটর দাবি করেছিলেন, রেহানা ভিডিওতে তার শরীরের উপরের অংশটি উন্মুক্ত করেছে। যা অশ্লীল এবং অশালীন। তার এই যুক্তি বাতিল করে আদালত থেকে বলা হয়, ‘‘নগ্নতা এবং অশ্লীলতা সবসময় সমার্থক নয়।

‘‘নগ্নতাকে অপরিহার্যভাবে অশ্লীল বলে শ্রেণীবদ্ধ করা বা এমনকি অশালীন বা অনৈতিক হিসাবে ভাবাও ভুল।”

অতীতে কেরালাতেই নিম্নবর্ণের নারীরা নিজেদের বক্ষ ঢেকে রাখার অধিকারের দাবিতে লড়াই করেছেন। এছাড়াও সারা দেশে প্রাচীন মন্দির ও বিভিন্ন পাবলিক স্পেসে অর্ধ-নগ্ন অবস্থায় দেব-দেবীর ম্যুরাল, মূর্তি এবং শিল্পকর্ম আছে এবং এগুলোকে ‘পবিত্র’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, ‘‘একজন পুরুষের নগ্ন ঊর্ধ্বাঙ্গ কখনোই অশ্লীল বা অশালীন বলে বিবেচিত হয় না। এটা যৌনতাও নয়। তবে কেনো একজন নারীর দেহও একইভাবে দেখা হবে না?

‘‘নারীদের নিজের দেহ এবং জীবন সম্পর্কে নিজেদের পছন্দমত চলতে গিয়ে নির্যাতিত, বৈষষ্যের শিকার, একঘরে হওয়া এবং বিচারের সম্মুখীন হতে হয়।”

কেরালার উচ্চ আদালতের এই রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ পেলেন রেহানা। এবারই প্রথম তাকে নিয়ে বিতর্ক, এমনটা নয়। কেরালার সবরিমালায় আইয়াপ্পার মন্দিরে নারীদের প্রবেশাধিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সমস্ত নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। সেবারও তাকে নিয়ে ব্যাপক হইচই হয় এবং আইন না মেনে মন্দিরে প্রবেশের জন্য খোয়াতে হয়েছিল সরকারি চাকরি।

back to top