গ্রামের কামারশালা মানেই কর্মকারের হাতে থাকা হাতুরি দিয়ে উত্তপ্ত আগুনে পোড়ানো লোহা পেটানোর কর্কশ শব্দ, পোড়া গন্ধ এবং পোড়া লোহা থেকে বিচ্ছুরিত আগুনের স্ফুলিঙ্গ। এমন চিত্র গ্রামগঞ্জের কামারশালার নিত্যদিনের দৃশ্য।
তবে সর্বত্রই যখন আধুনিকতার ছোঁয়া। তখন পিছিয়ে নেয় এই কামারশালাও। কামারশালায় সাধারণত লোহার কারিগর বাতাস প্রবাহিত করার বিশেষযন্ত্র ‘হাপর’ টেনে কয়লার আগুনকে উস্কে রাখে। কয়লার সেই আগুনে লোহাকে গরম করে পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হয়। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দা, বটি, চাকু, ছুরি, কোদাল, কাস্তে ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিত বিভিন্ন জিনিসপত্র।
তবে গ্রামীন জনপদের সেই কামারশালায় কয়লায় বাতাস প্রবাহে‘হাপর’টানার পরিবর্তে বিদ্যুতিক মোটরচালিত ফ্যানের সাহায্যে বাতাস প্রবাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও আগুনে উত্তপ্ত করা লোহা দুজন কর্মকার মুখোমুখি বসে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে বিভিন্ন আকৃতির জিনিস তৈরি করলেও, বর্তমানে সেই একই কাজ করছে মোটরচালিত বিদ্যুতিক‘হ্যামার’।
এমনই এক আধুনিক কামারশালা নজর কাড়ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকায় আজাদ মোড়ে। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ধারঘেঁষে গড়ে তোলা এই আধুনিক কামারশালার মালিকক চুকর্মকার ও তার ছেলে বিকাশ কর্মকার। সামাজিক যোগাযোগমা ধ্যম ফেসবুকে দেখে এই হ্যামার তৈরির উদ্যোগ নেন বিকাশকর্মকার।
এতে কামারশালায় কাজ করা লোহার জিনিসপত্র তৈরির কারিগরদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে কাজের গতি। সব মিলিয়ে স্বচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে কর্মকারদের পরিবারে।
পুরোটি লোহাদ্ বারা তৈরি করা এই ‘হ্যামার’ তৈরি করতে তাদের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন থেকে বছর দু’য়েক আগে ফেসবুকের একটি ভিডিওতে আধুনিক এই হ্যামারের কিছু অংশ দেখেছিলেন বিকাশ কর্মকার। তবে সেই ভিডিওতে পুরো হ্যামারের ছবি দেখানো হয়নি। সেই ভিডিও দেখার পর নিজেও একটি ‘হ্যামার’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ধীরেধীরে তৈরি করায় এক বছর সময় লেগেছে এটি তৈরি করতে। এমনটাই দাবি বিকাশ কর্মকারের।
কামারশালায় একটি‘দা’ তৈরি করে নিতে এসেছিলেন রশিকনগর গ্রামের তারেকুজ্জামান। তিনি বলেন,‘বছরে দু’একবার কামারশালায় আসালাগে বিভিন্ন জিনিস তৈরি ও চাকু ধার দিতে।তবে আজ প্রথম দেখলাম মেশিন দিয়ে লোহা পিটিয়ে দা, বটি ও চাকু তৈরি করা হচ্ছে। জিনিস গুলো তৈরি করতে সময়ও অনেক কম লাগছে।’
আধুনিক কামারশালার লোহার কারিগর বিকাশ কর্মকার বলেন, ‘আগে লোহা পিটাতে হাতুড়ি দিয়ে দীর্ঘ সময় পেটাতে হতো। এতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম হতো আমাদের। তবে এই বিদ্যুৎচালিত হ্যামার তৈরির ফলে সেই পরিশ্রম একেবারেই কমে গেছে। পাশাপাশি কাজের গতিও অনেকটা বেড়েছে। আমার এই ছোট্ট দোকানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার কেনাবেচা হয়।’
রোববার, ০৯ জুলাই ২০২৩
গ্রামের কামারশালা মানেই কর্মকারের হাতে থাকা হাতুরি দিয়ে উত্তপ্ত আগুনে পোড়ানো লোহা পেটানোর কর্কশ শব্দ, পোড়া গন্ধ এবং পোড়া লোহা থেকে বিচ্ছুরিত আগুনের স্ফুলিঙ্গ। এমন চিত্র গ্রামগঞ্জের কামারশালার নিত্যদিনের দৃশ্য।
তবে সর্বত্রই যখন আধুনিকতার ছোঁয়া। তখন পিছিয়ে নেয় এই কামারশালাও। কামারশালায় সাধারণত লোহার কারিগর বাতাস প্রবাহিত করার বিশেষযন্ত্র ‘হাপর’ টেনে কয়লার আগুনকে উস্কে রাখে। কয়লার সেই আগুনে লোহাকে গরম করে পিটিয়ে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করা হয়। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দা, বটি, চাকু, ছুরি, কোদাল, কাস্তে ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারিত বিভিন্ন জিনিসপত্র।
তবে গ্রামীন জনপদের সেই কামারশালায় কয়লায় বাতাস প্রবাহে‘হাপর’টানার পরিবর্তে বিদ্যুতিক মোটরচালিত ফ্যানের সাহায্যে বাতাস প্রবাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও আগুনে উত্তপ্ত করা লোহা দুজন কর্মকার মুখোমুখি বসে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে বিভিন্ন আকৃতির জিনিস তৈরি করলেও, বর্তমানে সেই একই কাজ করছে মোটরচালিত বিদ্যুতিক‘হ্যামার’।
এমনই এক আধুনিক কামারশালা নজর কাড়ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর এলাকায় আজাদ মোড়ে। দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ধারঘেঁষে গড়ে তোলা এই আধুনিক কামারশালার মালিকক চুকর্মকার ও তার ছেলে বিকাশ কর্মকার। সামাজিক যোগাযোগমা ধ্যম ফেসবুকে দেখে এই হ্যামার তৈরির উদ্যোগ নেন বিকাশকর্মকার।
এতে কামারশালায় কাজ করা লোহার জিনিসপত্র তৈরির কারিগরদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম যেমন কমেছে, তেমনি বেড়েছে কাজের গতি। সব মিলিয়ে স্বচ্ছলতা ফিরতে শুরু করেছে কর্মকারদের পরিবারে।
পুরোটি লোহাদ্ বারা তৈরি করা এই ‘হ্যামার’ তৈরি করতে তাদের খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন থেকে বছর দু’য়েক আগে ফেসবুকের একটি ভিডিওতে আধুনিক এই হ্যামারের কিছু অংশ দেখেছিলেন বিকাশ কর্মকার। তবে সেই ভিডিওতে পুরো হ্যামারের ছবি দেখানো হয়নি। সেই ভিডিও দেখার পর নিজেও একটি ‘হ্যামার’ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ধীরেধীরে তৈরি করায় এক বছর সময় লেগেছে এটি তৈরি করতে। এমনটাই দাবি বিকাশ কর্মকারের।
কামারশালায় একটি‘দা’ তৈরি করে নিতে এসেছিলেন রশিকনগর গ্রামের তারেকুজ্জামান। তিনি বলেন,‘বছরে দু’একবার কামারশালায় আসালাগে বিভিন্ন জিনিস তৈরি ও চাকু ধার দিতে।তবে আজ প্রথম দেখলাম মেশিন দিয়ে লোহা পিটিয়ে দা, বটি ও চাকু তৈরি করা হচ্ছে। জিনিস গুলো তৈরি করতে সময়ও অনেক কম লাগছে।’
আধুনিক কামারশালার লোহার কারিগর বিকাশ কর্মকার বলেন, ‘আগে লোহা পিটাতে হাতুড়ি দিয়ে দীর্ঘ সময় পেটাতে হতো। এতে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম হতো আমাদের। তবে এই বিদ্যুৎচালিত হ্যামার তৈরির ফলে সেই পরিশ্রম একেবারেই কমে গেছে। পাশাপাশি কাজের গতিও অনেকটা বেড়েছে। আমার এই ছোট্ট দোকানে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার টাকার কেনাবেচা হয়।’