সামরিক বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে পড়েছে জনপ্রিয় কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইতোমধ্যে এ বিষয়ক একটি বিল প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছে এই অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সব টিকটক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে দেওয়া সেই বার্তায় অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তুত করা হচ্ছে। মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের বলুন যে টিকটক আপনাদের সম্পত্তি এবং (পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করা হলে) তারা যেন ‘না’ ভোট দেন।’
শুক্রবার এক প্রতিবেদেনে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, টিকটক এই বার্তাটি দেওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের ফোনে ‘বন্যার মতো’ কল আসতে শুরু করে।
তবে টিকটক যে বার্তাটি দিয়েছে, তা সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সত্যিই একটি বিল প্রস্তুত হচ্ছে।
২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স প্রথম বাজারে আনে কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বাজারে আসার পরপরই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় অ্যাপটি। ২০২২ সালে এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের মধ্যেও টিকটক খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, দেশটির তরুণ প্রজন্মের দুই তৃতীয়াংশই নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন।
তবে ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়।
এবার সাধারণ পর্যায়ে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি
শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪
সামরিক বাহিনী ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিষিদ্ধ হওয়া হুমকিতে পড়েছে জনপ্রিয় কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ইতোমধ্যে এ বিষয়ক একটি বিল প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে বলে এক বার্তায় জানিয়েছে এই অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সব টিকটক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশে দেওয়া সেই বার্তায় অ্যাপটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করার জন্য একটি বিল হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে প্রস্তুত করা হচ্ছে। মার্কিন টিকটক ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ, আপনাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাদের বলুন যে টিকটক আপনাদের সম্পত্তি এবং (পার্লামেন্টে বিলটি উত্থাপন করা হলে) তারা যেন ‘না’ ভোট দেন।’
শুক্রবার এক প্রতিবেদেনে মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, টিকটক এই বার্তাটি দেওয়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের ফোনে ‘বন্যার মতো’ কল আসতে শুরু করে।
তবে টিকটক যে বার্তাটি দিয়েছে, তা সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে সত্যিই একটি বিল প্রস্তুত হচ্ছে।
২০১৬ সালে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্স প্রথম বাজারে আনে কন্টেন্ট শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক। বাজারে আসার পরপরই ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পায় অ্যাপটি। ২০২২ সালে এক বিবৃতিতে বাইটড্যান্স জানিয়েছিল, বিশ্বজুড়ে টিকটক ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ৭৫ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণের মধ্যেও টিকটক খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, দেশটির তরুণ প্রজন্মের দুই তৃতীয়াংশই নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন।
তবে ২০২১ সালে টিকটকের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিকদের স্পর্শকাতর ব্যক্তিগত তথ্য চুরির অভিযোগ ওঠে। ওই বছরই মার্কিন সেনা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই অ্যাপটি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন। পরের বছর ২০২২ সালে দেশটির সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদেরও একই আদেশ দেওয়া হয়।
এবার সাধারণ পর্যায়ে টিকটক ব্যবহার নিষিদ্ধের পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি