alt

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

২০৩১ পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনসমূহের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আইসিটি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ পর্যন্ত বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।

গতকাল বৃহস্পতিবার কাওরানবাজারের বেসিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনিুষ্ঠিত হয়। এতে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাব-এর জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, পাশাপাশি রপ্তানি প্রায় ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০২৯ সাল নাগাদ সরকারের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশ^মানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজারের ক্রমান্বয় বৃদ্ধির এ সময়ে নিজেদের দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মাধ্যমেই সেই চাহিদা পূরণ এবং বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এগ্রেসিভ বিপণন ও বাজার কৌশলের সম্মুখে দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে প্রতিযোগীতামূলক রাখতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা বলবৎ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই এসব লক্ষ্য অর্জনে চলতি অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে হবে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৪ এ শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। উপরন্তু, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি থমকে যেতে পারে এবং দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গিয়ে আমরা বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারি। এ সময় জানানো হয, গত ১০ মার্চ পাঁচটি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের নেতবৃৃন্দ কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যদি করের আওতায় আনা হয়, সেটি মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশও হবে না। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সবে মাত্র দাঁড়াতে শুরু করেছে, সামনে আমাদের দৌড়ানোর সময়। এসময়ে শুধুমাত্র সরকারের এই অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। যেহেতু সরকার দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়, তাই এই খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।

বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে বিনিয়োগ করে, সেক্ষেত্রে কর অব্যাহতির ফলে কেবলমাত্র এই ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই কর অব্যাহতির সুবিধা বলবৎ রাখার কোনো বিকল্প নেই।

বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সাফল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা এই খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের ফলেই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে সরকার মনে করছে এই শিল্প খাত থেকে কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। কিন্তু এই শিল্পে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মরত পেশাজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান এবং মূল্য সংযোজন কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হবে, পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা এই শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে এবং এই খাতে কর্মরত পেশাজীবীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়বে।

আইএসপিএবি সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের কাঙ্খিত উন্নয়নে কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি আমি আইএসপিএবি ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা (আইটিইএস) খাতের অন্তভূক্ত করার জন্য আবারও দাবী জানাচ্ছি। তাছাড়া বর্তমান প্রতিযোগীতামূলক ইন্টারনেট সেবায় আমদানী নির্ভর আইএসপি সেক্টরের যন্ত্রপাতি ও ডলারের উর্ধ্বগতির বাস্তবতায় সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যয় বহন করে রেভিনিউ এর উপর ১০% লাভ করতে পারেনা। ফলে ইন্টারনেট সার্ভিসের বিলের উপর অতিরিক্ত ১০% (এআইটি) কর আরোপে সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।

ই-ক্যাব-এর জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রযুক্তি খাতের আরো কিছুদিন বিশেষ যতœ ও সুবিধার প্রয়োজন। কর অব্যাহতি হলো তার একটি। এর মাধ্যমে এখাত টেকসই ও সক্ষম হয়ে উঠবে। এখনি অব্যাহতি রহিত করলে এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের বিশ্বাস সকলে বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।

প্লাস্টিক সার্কুলারিটি ও একাডেমিক উন্নয়নে ইউনিলিভার ও ঢাবির আইবিএ অনুষদের চুক্তি

ছবি

আবারও বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার ও মহাসচিব কামরুজ্জামান

ছবি

স্মার্ট বেসিস গঠনের লক্ষ্য টিম স্মার্টের

ছবি

নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ে কাজ করতে বিটিআরসি ও সিসিমপুর এর মধ্যে চুক্তি

ছবি

প্রকৌশল ও প্রযুক্তিতে নারীর ক্ষমতায়নের জোর আইইইই‘র

ছবি

৮ মে বেসিস নির্বাচন: মনোনয়নপত্র জমা দিলেন ৪২ প্রার্থী

ছবি

তরুনদের তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষন দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কারিগর হিসেবে তৈরি করা হচ্ছে : স্পীকার

ছবি

হোয়াটসঅ্যাপে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলিং, সাবধান হবেন যেভাবে

ছবি

ইনস্টাগ্রামকে ফেসবুক পেজের সঙ্গে কানেক্ট করবেন যেভাবে

ছবি

এবার পুরো যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ হওয়ার হুমকিতে টিকটক

ছবি

হঠাৎ বন্ধ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম

ছবি

ফোন হ্যাক হয়েছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

ছবি

কাঠ দিয়ে কৃত্রিম উপগ্রহ বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিল জাপান

ছবি

৫০ জিবির বেশি ডাটাও এখন যোগ হবে নতুন প্যাকেজে

ছবি

বর্তমান অর্থবছরের মধ্যে বিটিসিএলকে লাভজনক করতে হবে : পলক

ছবি

এক চার্জে ৫০ বছর চলবে এই ব্যাটারি

ছবি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

ছবি

হোয়াটসঅ্যাপে স্ক্রিন শেয়ার প্রতারণা থেকে বাঁচার কৌশল

ছবি

ইউটিউবে আয় বাড়ানোর নতুন ফিচার

ঢাকায় একটি বিদ্যুৎ বিতরণ পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করবে জাইকা

ছবি

বিটিআরসির নতুন চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ

ছবি

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন ফিচার, লক করা যাবে গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট

ছবি

বরখাস্ত হলেন ওপেনএআইয়ের সিইও

ছবি

মোবাইল নম্বর ছাড়াই চলবে হোয়াটসঅ্যাপ

ছবি

প্রথম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান

ছবি

শেখ রাসেল দিবসে ৫টি ‘স্মার্ট‘ উদ্যোগ চালু করলো এটুআই

ছবি

ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারেও এখন টাকা লাগবে

ছবি

প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে গুগল

ছবি

জাতিসংঘের এসডিজি ডিজিটাল গেম চেঞ্জার অ্যাওয়ার্ড পেলো এটুআই-এর একশপ

ছবি

শিবচরে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি এর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন

ছবি

ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনতে ‘জিরো ডিজিটাল ডিভাইড’ গ্লোবাল ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

ছবি

৯ম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত

ছবি

হোয়াটসঅ্যাপে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা আসছে

ছবি

হোয়াটসঅ্যাপে ‘এইচডি কোয়ালিটি’র ছবি পাঠানোর সহজ পদ্ধতি

ছবি

অনুমোদনহীন বেতার যন্ত্র বেচাকেনা,সতর্ক করল বিটিআরসি

ছবি

ইনস্টাগ্রামের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে ১০ লাখ টাকা হারালেন তরুণী!

tab

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

২০৩১ পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠনসমূহের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তথ্যপ্রযুক্তি খাত। এই খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে আইসিটি খাতের কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ পর্যন্ত বৃদ্ধির দাবী জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বাণিজ্য সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।

গতকাল বৃহস্পতিবার কাওরানবাজারের বেসিস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানানো হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্কো), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর যৌথ উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলন অনিুষ্ঠিত হয়। এতে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার, বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, আইএসপিএবি সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক এবং ই-ক্যাব-এর জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের বার্ষিক অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, পাশাপাশি রপ্তানি প্রায় ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ২০২৯ সাল নাগাদ সরকারের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিশ^মানের সক্ষমতা তৈরি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিশ্চিতকরণ, দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে উৎসাহ প্রদান এবং স্থানীয় বাজারের ক্রমান্বয় বৃদ্ধির এ সময়ে নিজেদের দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মাধ্যমেই সেই চাহিদা পূরণ এবং বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতের এগ্রেসিভ বিপণন ও বাজার কৌশলের সম্মুখে দেশীয় বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে প্রতিযোগীতামূলক রাখতে ২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা বলবৎ রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই এসব লক্ষ্য অর্জনে চলতি অর্থবছরের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় আনতে হবে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে চলমান তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন, ২০২৪ এ শেষ হয়ে যাবে। যার ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দীর্ঘমেয়াদি কোনো বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন না। উপরন্তু, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি থমকে যেতে পারে এবং দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক ব্যয় অনেকাংশে বেড়ে গিয়ে আমরা বৈশি^ক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়তে পারি। এ সময় জানানো হয, গত ১০ মার্চ পাঁচটি তথ্যপ্রযুক্তি সংগঠনের নেতবৃৃন্দ কর অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩১ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।

বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে যদি করের আওতায় আনা হয়, সেটি মোট রাজস্ব আয়ের ১ শতাংশও হবে না। তথ্যপ্রযুক্তি খাত সবে মাত্র দাঁড়াতে শুরু করেছে, সামনে আমাদের দৌড়ানোর সময়। এসময়ে শুধুমাত্র সরকারের এই অল্প আয়ের জন্য একটা সম্ভাবনাময় খাতকে হুমকির মুখে ফেলা ঠিক হবে না। যেহেতু সরকার দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে চায়, তাই এই খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখা আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ।

বিসিএস সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা সুদূরপ্রসারী চিন্তা করে বিনিয়োগ করে, সেক্ষেত্রে কর অব্যাহতির ফলে কেবলমাত্র এই ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়াতে শুরু করেছে। এই কর অব্যাহতির সুবিধা বলবৎ রাখার কোনো বিকল্প নেই।

বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, বর্তমান সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যে সাফল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, তা এই খাতে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রদানের ফলেই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে সরকার মনে করছে এই শিল্প খাত থেকে কোন রাজস্ব পাচ্ছে না। কিন্তু এই শিল্পে বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কর্মরত পেশাজীবীদের ক্রয়ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায়, তারা ব্যক্তিগত আয়কর প্রদান এবং মূল্য সংযোজন কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কর অব্যাহতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে সামগ্রিকভাবে রপ্তানি আয় ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি ব্যাহত হবে, পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তারা এই শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাবে। ফলে এই শিল্পের উন্নয়ন মুখ থুবড়ে পড়বে এবং এই খাতে কর্মরত পেশাজীবীদের একটি বড় অংশ কর্মহীন হয়ে পড়বে।

আইএসপিএবি সভাপতি মোঃ ইমদাদুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা খাতের কাঙ্খিত উন্নয়নে কর অব্যাহতির সুবিধা ২০৩১ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখা অত্যন্ত জরুরী। পাশাপাশি আমি আইএসপিএবি ইন্ডাস্ট্রিকে তথ্যপ্রযুক্তি পরিষেবা (আইটিইএস) খাতের অন্তভূক্ত করার জন্য আবারও দাবী জানাচ্ছি। তাছাড়া বর্তমান প্রতিযোগীতামূলক ইন্টারনেট সেবায় আমদানী নির্ভর আইএসপি সেক্টরের যন্ত্রপাতি ও ডলারের উর্ধ্বগতির বাস্তবতায় সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট সার্ভিসের ব্যয় বহন করে রেভিনিউ এর উপর ১০% লাভ করতে পারেনা। ফলে ইন্টারনেট সার্ভিসের বিলের উপর অতিরিক্ত ১০% (এআইটি) কর আরোপে সকল আইএসপি প্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।

ই-ক্যাব-এর জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, আমাদের প্রযুক্তি খাতের আরো কিছুদিন বিশেষ যতœ ও সুবিধার প্রয়োজন। কর অব্যাহতি হলো তার একটি। এর মাধ্যমে এখাত টেকসই ও সক্ষম হয়ে উঠবে। এখনি অব্যাহতি রহিত করলে এই খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আমাদের বিশ্বাস সকলে বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবেন।

back to top