alt

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ইন্টারনেট না থাকার প্রভাব

মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন : রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪

দেশজুড়ে পাঁচ দিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রেখে গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাত থেকে স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। অফিস-আদালত, গণমাধ্যম ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সংযোগ দেওয়া হয়। ২৪ জুলাই বুধবার রাত থেকে পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা-বাড়িতেও পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। চলতি সপ্তাহে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতির উদ্ভব হলে গত ১৭ জুলাই বুধবার ফোরজি (মোবাইল ইন্টারনেট) বন্ধ করা হয়। ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সরকার দাবি করছে, সহিংসতায় ইন্টারনেট অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়েছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইন্টারনেট সেবা সীমিত হবে, স্পিড কমবে কিন্তু কোনভাবেই পুরো সেবা বন্ধ হবে না। কারণ, দেশের ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে বিকল্প অনেক উপায় রয়েছে।

প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর্থিকভাবে আপাতত এ কয়েক দিনের ক্ষতির হিসাব করা গেলেও দীর্ঘস্থায়ী যে ক্ষতি হতে যাচ্ছে সেটির প্রভাব মারাত্মক। কারণ বিদেশি ক্লায়েন্টরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পেলে অর্ডার বাতিল করে দেবে। একইসাথে নেতিবাচক রিভিউ দেবে যার কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সারের পরবর্তীতে নতুন ক্লায়েন্টের কাজ পেতে অসুবিধা হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ফ্রিল্যান্সিং করেন এমন ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও আর্থিক ক্ষতির হিসাব এখনই পুরোপুরি করা যাচ্ছে না। কারণ বিদেশি ক্রেতারা ডেলিভারি না পেয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি এখনও বোঝা যাচ্ছে না।

এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সব ব্যবসার ক্ষতি হলেও এ খাতের ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশিই। কারণ যারা প্রযুক্তি ব্যবসায় জড়িত তাদের ব্যবসার লাইফ লাইনই হচ্ছে ইন্টারনেট। কিন্তু অন্য ব্যবসার সাপোর্ট লাইন হিসেবে ইন্টারনেট কাজ করে।

একইসাথে ই-কমার্স খাতও ইন্টারনেট ছাড়া চলে না। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে যে বাজার তৈরি করতে পেরেছে এবং বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে এবারের পরিস্থিতিতে সেটি অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে। ইন্টারনেট না থাকার কারণে তাদেও এবং ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করে কিছু জানাতে না পারায় যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তাতে তারা বিকল্প বাজারের দিকে চলে যাওয়ার শঙ্কা আছে বলে মনে করছেন আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীরা।

এ খাতের বিদেশি ক্লায়েন্ট হারালে সেটা দেশের চাকরির বাজারেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। যেসব ক্লায়েন্টরা চলে যাবে তাদের বিপরীতে যতজন এমপ্লয়ী ততজনের জবের উপর ওই প্রভাব পড়বে। চাকরি চলে যাবে অনেকের।

আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলছেন, দৈনন্দিন ক্ষতির চেয়ে এখন স্থায়ী ক্ষতি নিয়ে বেশি চিন্তিত তারা। আবার এই ক্ষতির হার করপোরেট কোম্পানির চাইতে ফ্রিল্যান্সারদের বেশি পোহাতে হবে বলে মনে করছেন তারা। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিষয়টি আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং।

কারণ করপোরেট লেভেলে সার্ভিসের ক্ষেত্রে তাদের ফোন নম্বর থাকে ফলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যায়। অথবা বিদেশে কোনো বন্ধুদের সাহায্যেও ই-মেইল করে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা ওয়েবসাইট থেকে কাজ পায় আবার সেখানেই ডেলিভারি করে। তারা ক্লায়েন্টদের ফোন নম্বরও দেখে না। ফলে যোগাযোগ করা সহজ ছিল না। তারা কন্ট্রাক্টও হারাবে। খারাপ রিভিউ দিলে ভবিষ্যতে কাজ করা কঠিনও হয়ে যাবে।

ছবি

ই-লার্নিং: বিএসসিএল ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চুক্তি

ছবি

খুলনায় উপকূলের মেয়েদের জন্য দুই দিনব্যাপী স্টেম ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

ছবি

নগদের মাধ্যমে ৭৮ লাখের বেশি গ্রাহক সরকারি অনুদান গ্রহণ করছে

ছবি

পাঠাও-এ এখন সিএনজি সেবা, থাকছে ক্যাশব্যাকও

ছবি

গ্রামীণফোন ‘ফিউচারমেকার্স’ এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত

ছবি

এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য মাস্টারকার্ড ক্রেডিট কার্ড চালু

ছবি

একেএস ফার্মেসি ও বিকাশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

ছবি

রাজধানীতে প্রযুক্তি খাতের নতুন ঠিকানা ‘ঢাকা কম্পিউটার সিটি’ উদ্বোধন

ছবি

উলকাসেমি : বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে নতুন দিগন্ত

ছবি

ডেটা খরচ ছাড়াই ই-রিটার্ন দাখিলের সুযোগ দিচ্ছে রবি

ছবি

ইনফিনিক্সের বিশেষ ‘উইন্টার ডিলস’ অফার

ছবি

প্রিয় ইনকরপোরেশন ও বাক্কো এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই

ছবি

গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

এয়ারটেল গেমিং অ্যারেনা’তে চ্যাম্পিয়ন এ ওয়ান আরজি ইস্পোর্টস

ছবি

চলন্ত গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা : ক্যাসপারস্কি

ছবি

প্লে-স্টোরে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রেটিং অর্জন করল বাংলালিংকের ‘মাইবিএল সুপার অ্যাপ’

ছবি

১১.১১ ক্যাম্পেইনে দারাজমল নিয়ে এলো ‘অথেন্টিসিটি গ্যারান্টি’

ছবি

এমআইওবির সংবাদ সম্মেলন: এনইআইআর এর ফলে মোবাইল সেটের দাম বাড়বে না

ছবি

টিকটক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য নতুন আপডেট

ছবি

ক্যাসপারস্কি জিআরইএটি রিপোর্ট : আবারও সক্রিয় হ্যাকিং টিম স্পাইওয়ার

ছবি

মাস্টারকার্ডের ‘ডাইন. ডিলাইট. ডিপার্ট ফর থাইল্যান্ড’ ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

ছবি

এআই প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট মোবিলিটির উন্নয়নে অনার ও বিওয়াইডি

ছবি

বাংলাদেশে আসুসের নতুন এক্সপার্ট সিরিজের ডিভাইস উন্মোচন

ছবি

সেমিকন্ডাক্টর গবেষণায় বাংলাদেশের নতুন অধ্যায় ক্রেস্ট

ছবি

বিডিঅ্যাপস ডেভেলপারদের অর্থায়নে রবি ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমওইউ

ছবি

ষষ্ঠবারের মত বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ব্র্যান্ডের তালিকায় স্যামসাং ইলেকট্রনিকস

ছবি

অনলাইন জুয়া, বেটিং ও পর্নোগ্রাফি সাইট বন্ধে বিটিআরসিতে সভা অনুষ্ঠিত

ছবি

পাল্সটেকের মাধ্যমে ওষুধ সংগ্রহ করছে ঢাকার ১৫ হাজার ফার্মেসি

ছবি

ভ্রমণের পেমেন্ট বিকাশ করলে থাকছে ভ্রমনের বিদেশ যাওয়ার সুযোগ

ছবি

দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত জাইটেক্স গ্লোবাল ২০২৫ এ বাক্কোর অংশগ্রহণ

ছবি

বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছে আকিজ রিসোর্স

ছবি

ইনফিনিক্সের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এআই ও উদ্ভাবন প্রশিক্ষণ কর্মশালা

ছবি

ব্যাংক কার্ড ছাড়াই মাসিক কিস্তিতে অনার স্মার্টফোন কেনার সুযোগ

ছবি

আইসিটি মানবসম্পদ উন্নয়নে বি-টপসি সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছবি

বিডিসাফের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাইবার সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত

ছবি

এক হাজার রাইডারকে বিনামূল্যে দুর্ঘটনা বিমা সুরক্ষা দিচ্ছে ফুডপ্যান্ডা

tab

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ইন্টারনেট না থাকার প্রভাব

মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন

রোববার, ২৮ জুলাই ২০২৪

দেশজুড়ে পাঁচ দিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ সহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রেখে গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাত থেকে স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। অফিস-আদালত, গণমাধ্যম ও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সংযোগ দেওয়া হয়। ২৪ জুলাই বুধবার রাত থেকে পর্যায়ক্রমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা-বাড়িতেও পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়। চলতি সপ্তাহে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস পরিস্থিতির উদ্ভব হলে গত ১৭ জুলাই বুধবার ফোরজি (মোবাইল ইন্টারনেট) বন্ধ করা হয়। ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটও বন্ধ হয়ে যায়। যদিও সরকার দাবি করছে, সহিংসতায় ইন্টারনেট অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়েছে। তবে খাত সংশ্লিষ্টদের দাবি, অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইন্টারনেট সেবা সীমিত হবে, স্পিড কমবে কিন্তু কোনভাবেই পুরো সেবা বন্ধ হবে না। কারণ, দেশের ইন্টারনেট সেবা সচল রাখতে বিকল্প অনেক উপায় রয়েছে।

প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা বলছেন, আর্থিকভাবে আপাতত এ কয়েক দিনের ক্ষতির হিসাব করা গেলেও দীর্ঘস্থায়ী যে ক্ষতি হতে যাচ্ছে সেটির প্রভাব মারাত্মক। কারণ বিদেশি ক্লায়েন্টরা চুক্তি অনুযায়ী কাজ না পেলে অর্ডার বাতিল করে দেবে। একইসাথে নেতিবাচক রিভিউ দেবে যার কারণে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা ফ্রিল্যান্সারের পরবর্তীতে নতুন ক্লায়েন্টের কাজ পেতে অসুবিধা হবে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ফ্রিল্যান্সিং করেন এমন ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা পাঁচদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও আর্থিক ক্ষতির হিসাব এখনই পুরোপুরি করা যাচ্ছে না। কারণ বিদেশি ক্রেতারা ডেলিভারি না পেয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি এখনও বোঝা যাচ্ছে না।

এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সব ব্যবসার ক্ষতি হলেও এ খাতের ক্ষতির পরিমাণ একটু বেশিই। কারণ যারা প্রযুক্তি ব্যবসায় জড়িত তাদের ব্যবসার লাইফ লাইনই হচ্ছে ইন্টারনেট। কিন্তু অন্য ব্যবসার সাপোর্ট লাইন হিসেবে ইন্টারনেট কাজ করে।

একইসাথে ই-কমার্স খাতও ইন্টারনেট ছাড়া চলে না। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে যে বাজার তৈরি করতে পেরেছে এবং বিদেশি ক্লায়েন্টদের কাছে আস্থার জায়গায় পরিণত হয়েছে এবারের পরিস্থিতিতে সেটি অনেকটাই হুমকির মুখে পড়েছে। ইন্টারনেট না থাকার কারণে তাদেও এবং ক্লায়েন্টদের সাথে যোগাযোগ করে কিছু জানাতে না পারায় যে অনাস্থা তৈরি হয়েছে তাতে তারা বিকল্প বাজারের দিকে চলে যাওয়ার শঙ্কা আছে বলে মনে করছেন আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীরা।

এ খাতের বিদেশি ক্লায়েন্ট হারালে সেটা দেশের চাকরির বাজারেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। যেসব ক্লায়েন্টরা চলে যাবে তাদের বিপরীতে যতজন এমপ্লয়ী ততজনের জবের উপর ওই প্রভাব পড়বে। চাকরি চলে যাবে অনেকের।

আইসিটি খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলছেন, দৈনন্দিন ক্ষতির চেয়ে এখন স্থায়ী ক্ষতি নিয়ে বেশি চিন্তিত তারা। আবার এই ক্ষতির হার করপোরেট কোম্পানির চাইতে ফ্রিল্যান্সারদের বেশি পোহাতে হবে বলে মনে করছেন তারা। তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিষয়টি আরো বেশি চ্যালেঞ্জিং।

কারণ করপোরেট লেভেলে সার্ভিসের ক্ষেত্রে তাদের ফোন নম্বর থাকে ফলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা যায়। অথবা বিদেশে কোনো বন্ধুদের সাহায্যেও ই-মেইল করে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু ফ্রিল্যান্সাররা ওয়েবসাইট থেকে কাজ পায় আবার সেখানেই ডেলিভারি করে। তারা ক্লায়েন্টদের ফোন নম্বরও দেখে না। ফলে যোগাযোগ করা সহজ ছিল না। তারা কন্ট্রাক্টও হারাবে। খারাপ রিভিউ দিলে ভবিষ্যতে কাজ করা কঠিনও হয়ে যাবে।

back to top