alt

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিলুপ্তির ঝুঁকিতে মিঠা পানির ২৪ শতাংশ প্রাণী প্রজাতি: গবেষণা

সংবাদ ডেস্ক : শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত

মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্র পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু বর্তমানে এটি সবচেয়ে বিপন্নও। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, মিঠা পানির প্রায় ২৪ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।

গবেষণায় প্রায় ২৪ হাজার মিঠা পানির প্রজাতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় এক হাজার প্রজাতি মারাত্মকভাবে বিপন্ন, আর ২০০ প্রজাতি সম্ভবত ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই প্রাণীদের মধ্যে মাছ, কাঁকড়া, শামুক, গঙ্গা-ফড়িং সহ হাজার হাজার প্রজাতি রয়েছে।

গবেষণার প্রধান লেখক ক্যাথরিন সায়ার বলেছেন, “মিঠা পানির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রকৃতি ও মানুষের জন্য অপরিহার্য।” গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এই বাস্তুতন্ত্রের অধিকাংশ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্রের ওপর চাপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে মানুষের পানির, খাদ্য ও অন্যান্য সম্পদের চাহিদা। নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মতো মিঠা পানির পরিবেশ চাপের মুখে পড়েছে। বিশেষত, ভারতের সমান আয়তনের প্রায় ৩৪ কোটি বর্গকিলোমিটার জলাভূমি হারিয়েছে ম্যানগ্রোভ ও লবণাক্ত জলাভূমির মতো এলাকা।

কৃষি, পানি উত্তোলন ও বাঁধের কারণে নদীগুলো ছোট হয়ে আসছে এবং অনেক নদীই প্লাস্টিক ও শিল্প বর্জ্য দ্বারা দূষিত হচ্ছে। কৃষিজমি থেকে আসা কীটনাশক মিঠা পানির প্রাণী প্রজাতির জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। এই চ্যালেঞ্জগুলোর পরেও মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্রের ওপর মহাসাগরের তুলনায় কম গবেষণা হয়েছে, যার ফলে অনেক প্রজাতি প্রয়োজনীয় সহায়তা ছাড়াই টিকে আছে।

গবেষণার সহ-লেখক ড. টপিল্টজিন কনট্রেরাস ম্যাকবিথ বলেন, "বন্যপ্রাণী ও মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করতে মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণের জন্য আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন।"

গবেষণায় ডেক্যাপডস (কাঁকড়া, চিংড়ি, ক্রাইফিশ), ওডোনেটস (গঙ্গা-ফড়িং, ফড়িং), মলাস্ক (শামুক, ঝিনুক) এবং মাছের মতো প্রজাতির ওপর বিস্তারিত নজর দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ কাঁকড়া ও চিংড়ির প্রজাতি, ৫০ শতাংশ গঙ্গা-ফড়িং প্রজাতি এবং এক তৃতীয়াংশ মিঠা পানির শামুক ও ঝিনুক বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।

মিঠা পানির প্রাণী প্রজাতির রক্ষায় বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি। সরকার, বিজ্ঞানী ও বিশ্ববাসীকে একসঙ্গে কাজ করে দূষণ কমাতে, প্রাণীদের আবাসস্থল পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণ কৌশল তৈরি করতে হবে।

ছবি

বাজারে গ্রামীণফোন ও আইটেল এর কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন

ছবি

বাজারে হোহেম ব্র্যান্ডের এআই গিম্বল

ছবি

বাজারে গ্রামীণফোন ও আইটেল এর কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন

ছবি

ফেসবুক, গুগলের সার্ভার দেশে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে

ছবি

ফাইভ-জি রেডি টাওয়ার অপারেশন সেন্টার চালু করল ইডটকো বাংলাদেশ

ছবি

স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম কানেক্টিয়ার পার্টনার হলো বিডিওএসএন

ছবি

আইএসপিএবি ও বিপিসির যৌথ আয়োজনে বগুড়ায় প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানবিষয়ক জামাল নজরুল ইসলাম মেমোরিয়াল উইন্টার স্কুল

ছবি

ফাইভ-জি রেডি টাওয়ার অপারেশন সেন্টার চালু করলো ইডটকো বাংলাদেশ

ছবি

সাইবার হামলা প্রতিরোধে সফোস’র এমডিআর পরিষেবায় নতুন ফিচার

ছবি

বাংলাদেশে ইউমিডিজির আনুষ্ঠানিক যাত্রা : ৪টি নতুন স্মার্টফোন উদ্বোধন

ছবি

এআই-ভিত্তিক গ্রাহক অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে গ্রামীণফোন ও এরিকসন এর চুক্তি

ছবি

আনলিমিটেড ইন্টারনেট সহ বাংলালিংকের ওয়াইফাই সেবা

ছবি

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ: বিতর্কিত ৯টি ধারা বাতিল

ছবি

বাক্কো সদস্যদের জন্য ‘গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট সিস্টেম ফর সার্ভিসেস’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

বাংলাদেশে আইস ওয়ার্পের সুরক্ষিত ইমেইল সেবা দিচ্ছে স্মার্ট টেকনোলজিস

ছবি

বিডিকলিং একাডেমিতে ডিজাইন প্রতিযোগিতা

ছবি

রাজধানীতে ‘আমি কি এআই কে বিশ্বাস করতে পারি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত

ছবি

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে করনীয়’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

২৬তম অন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১০টি পদক পেল বাংলাদেশ

ছবি

পাঠাও ফুড-এ শীতের স্বাদ

ছবি

ঢাকায় প্রি-সাইবার ড্রিল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ছবি

ঢাকায় ‘আমি কি এআই কে বিশ্বাস করতে পারি?’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত

ছবি

সর্বোচ্চ নিরাপত্তা সনদ পেল হুয়াওয়ের ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম

ছবি

বাংলাদেশের বাজারে লেনোভো ইয়োগা ২ ইন ১ ল্যাপটপ

ছবি

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে টেকসই উন্নয়নে বেসিসের সেমিনার

ছবি

উপকূলের শিক্ষকদের জন্য বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ছবি

ইন্টারনেট সেবায় সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানাল বাক্কো

ছবি

মাত্রাতিরিক্ত কর না কমানো হলে গ্রামীন মানুষ সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট পাবে না

ছবি

দক্ষিণ এশিয়ায় গুগলের ওয়ার্কস্পেস এবং ক্লাউড সলিউশন দেবে রেডিংটন

ছবি

চট্টগ্রামে চলছে আইসিটি ফেয়ার-২০২৫

ছবি

বাজারে শাওমির নতুন স্মার্টফোন রেডমি নোট ১৪

ছবি

আখচাষিরা বিকাশ অ্যাকাউন্টে পাচ্ছেন আখের মূল্য

ছবি

ড্রপ প্রোটেকশন ফিচারযুক্ত নোট ৬০এক্স আনল রিয়েলমি

ছবি

ঢাকায় প্রি-সাইবার ড্রিল সম্মেলন অনুষ্ঠিত

tab

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বিলুপ্তির ঝুঁকিতে মিঠা পানির ২৪ শতাংশ প্রাণী প্রজাতি: গবেষণা

সংবাদ ডেস্ক

প্রতীকী ছবি : সংগৃহীত

শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্র পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাস্তুতন্ত্রগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু বর্তমানে এটি সবচেয়ে বিপন্নও। বিজ্ঞানভিত্তিক জার্নাল ‘নেচার’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, মিঠা পানির প্রায় ২৪ শতাংশ প্রজাতি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।

গবেষণায় প্রায় ২৪ হাজার মিঠা পানির প্রজাতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রায় এক হাজার প্রজাতি মারাত্মকভাবে বিপন্ন, আর ২০০ প্রজাতি সম্ভবত ইতোমধ্যেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এই প্রাণীদের মধ্যে মাছ, কাঁকড়া, শামুক, গঙ্গা-ফড়িং সহ হাজার হাজার প্রজাতি রয়েছে।

গবেষণার প্রধান লেখক ক্যাথরিন সায়ার বলেছেন, “মিঠা পানির জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রকৃতি ও মানুষের জন্য অপরিহার্য।” গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, জরুরি পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে এই বাস্তুতন্ত্রের অধিকাংশ প্রাণী বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্রের ওপর চাপ বাড়ানোর অন্যতম কারণ হচ্ছে মানুষের পানির, খাদ্য ও অন্যান্য সম্পদের চাহিদা। নদী, হ্রদ ও জলাভূমির মতো মিঠা পানির পরিবেশ চাপের মুখে পড়েছে। বিশেষত, ভারতের সমান আয়তনের প্রায় ৩৪ কোটি বর্গকিলোমিটার জলাভূমি হারিয়েছে ম্যানগ্রোভ ও লবণাক্ত জলাভূমির মতো এলাকা।

কৃষি, পানি উত্তোলন ও বাঁধের কারণে নদীগুলো ছোট হয়ে আসছে এবং অনেক নদীই প্লাস্টিক ও শিল্প বর্জ্য দ্বারা দূষিত হচ্ছে। কৃষিজমি থেকে আসা কীটনাশক মিঠা পানির প্রাণী প্রজাতির জন্য বিশেষভাবে ক্ষতিকর। এই চ্যালেঞ্জগুলোর পরেও মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্রের ওপর মহাসাগরের তুলনায় কম গবেষণা হয়েছে, যার ফলে অনেক প্রজাতি প্রয়োজনীয় সহায়তা ছাড়াই টিকে আছে।

গবেষণার সহ-লেখক ড. টপিল্টজিন কনট্রেরাস ম্যাকবিথ বলেন, "বন্যপ্রাণী ও মানুষের সুস্থতা নিশ্চিত করতে মিঠা পানির বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা ও পর্যবেক্ষণের জন্য আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন।"

গবেষণায় ডেক্যাপডস (কাঁকড়া, চিংড়ি, ক্রাইফিশ), ওডোনেটস (গঙ্গা-ফড়িং, ফড়িং), মলাস্ক (শামুক, ঝিনুক) এবং মাছের মতো প্রজাতির ওপর বিস্তারিত নজর দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ কাঁকড়া ও চিংড়ির প্রজাতি, ৫০ শতাংশ গঙ্গা-ফড়িং প্রজাতি এবং এক তৃতীয়াংশ মিঠা পানির শামুক ও ঝিনুক বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে।

মিঠা পানির প্রাণী প্রজাতির রক্ষায় বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জরুরি। সরকার, বিজ্ঞানী ও বিশ্ববাসীকে একসঙ্গে কাজ করে দূষণ কমাতে, প্রাণীদের আবাসস্থল পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণ কৌশল তৈরি করতে হবে।

back to top