আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চালু করা আলোচিত ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’ (এটুআই) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়ার কথা বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্দিষ্ট কোম্পানিকে বারবার কাজ দেওয়া, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রকল্প নেওয়া ও ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রকল্পটির অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বলছে সংস্থাটি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে এটুআইয়ের অফিসে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল; সেখান থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেন দলের সদস্যরা।
অভিযানের দায়িত্বে থাকা দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বারবার কাজ দেওয়া এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণসহ নানা উপায়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এরকম রেকর্ডপত্র মিলেছে। এসব রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখার কথা বলছে দুদক।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সালে এটুআই প্রোগ্রামকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। ২০২০ সালে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর নাম পরিবর্তন করে এসপায়ার টু ইনোভেইট (এটুআই) রাখা হয়।
অভিযানের পর দুদক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এটুআই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর আইসিটি টাওয়ারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ১৫০ এর বেশি কেনাকাটার দরপত্র যাচাই করে কমিশনের দল। অভিযানে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে অভিযানকারী দলটি।
দুদক বলছে, ‘প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ৪৮৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ধরা হলেও পরবর্তীতে এর ব্যয় দাঁড়ায় ৮৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা প্রাথমিক প্রজেক্টেড ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ। অভিযানে অনিয়মের বিস্তারিত যাচাইয়ে নথি ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো বিশ্লেষণ করে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
দুদক প্রাথমিকভাবে মনে করছে, পিপিআরের বিধি লঙ্ঘন করে টেন্ডারগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। স্পেসিফিক/লজিক্যাল জাস্টিফিকেশন ছাড়া কার্যাদেশের ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর মাধ্যমে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
রোববার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চালু করা আলোচিত ‘এসপায়ার টু ইনোভেট’ (এটুআই) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য পাওয়ার কথা বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নির্দিষ্ট কোম্পানিকে বারবার কাজ দেওয়া, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রকল্প নেওয়া ও ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে প্রকল্পটির অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে বলছে সংস্থাটি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে এটুআইয়ের অফিসে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল; সেখান থেকে বিভিন্ন নথিপত্র সংগ্রহ করেন দলের সদস্যরা।
অভিযানের দায়িত্বে থাকা দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, ‘প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ে ১৪ জনের সংশ্লিষ্টতায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে বারবার কাজ দেওয়া এবং অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণসহ নানা উপায়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এরকম রেকর্ডপত্র মিলেছে। এসব রেকর্ডপত্র পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণে কমিশনে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।’
প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সম্পৃক্ততাও খতিয়ে দেখার কথা বলছে দুদক।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপির অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন’ (এটুআই) কর্মসূচি শুরু করা হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ২০১৮ সালে এটুআই প্রোগ্রামকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। ২০২০ সালে অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর নাম পরিবর্তন করে এসপায়ার টু ইনোভেইট (এটুআই) রাখা হয়।
অভিযানের পর দুদক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এটুআই প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়ার পর আইসিটি টাওয়ারে অভিযান চালানো হয়। সেখানে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ১৫০ এর বেশি কেনাকাটার দরপত্র যাচাই করে কমিশনের দল। অভিযানে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদও করেছে অভিযানকারী দলটি।
দুদক বলছে, ‘প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ৪৮৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ধরা হলেও পরবর্তীতে এর ব্যয় দাঁড়ায় ৮৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, যা প্রাথমিক প্রজেক্টেড ব্যয়ের প্রায় দ্বিগুণ। অভিযানে অনিয়মের বিস্তারিত যাচাইয়ে নথি ও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। সেগুলো বিশ্লেষণ করে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশনে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
দুদক প্রাথমিকভাবে মনে করছে, পিপিআরের বিধি লঙ্ঘন করে টেন্ডারগুলোতে নির্দিষ্ট কিছু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়া হয়। স্পেসিফিক/লজিক্যাল জাস্টিফিকেশন ছাড়া কার্যাদেশের ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়। এর মাধ্যমে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।