এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর উদ্যোগে গত ২৪ মার্চ ঢাকায় ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নে এটুআই-এর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সরকারের নীতিনির্ধারক, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন অংশীদারসহ এটুআই-এর সকল কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। কর্মশালায় এটুআই-এর হেড অব প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট আবদুল্লাহ আল ফাহিম ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নে এটুআই-এর করণীয় (সংস্কার রোডম্যাপসহ) উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা, পাইলট প্রকল্পগুলোর ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত করা এবং নাগরিকদের সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খোঁজা জরুরি। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সমন্বিত ও কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে। সম্প্রতি ভূমি, বাণিজ্য, এনবিআর, বিআরটিএ-এর সেবা ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে সেখানে প্রায় দুই ডজন সরবরাহকারী কাজ করছে, কিন্তু কোনো ইন্টারঅপারেবিলিটি নেই। আমরা এমন একটা ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, যেখানে ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে বাস্তবায়নের জন্য আরও উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা সংগ্রহ ও বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণ হবে এটুআই-এর প্রাথমিক কাজ। তিনি এক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, এটুআই-এর মূল লক্ষ্য হবে ডিজিটাল গভর্ন্যান্সের উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক সেবা আরো সহজতর করা। এক্ষেত্রে প্রতিটি খাতের স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণও একইসাথে জরুরি। তিনি তাঁর দিকনির্দেশনায় বলেন, সরকারের ডিজিটাল ডেটাবেজ কীভাবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে ও গ্রহণ করা যাবে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকদের আস্থার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান তৈরি করতে হবে। উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলভিত্তিক সমস্যাগুলো পৃথকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান তৈরি করতে হবে। তিনি সরকারের ডেটা গভর্ন্যান্স ও এক্সচেঞ্জ, ট্রেনিং ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্মার্ট ডিভাইসভিত্তিক সেবা, গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস এবং ইকোসিস্টেম উন্নয়ন ও উদ্ভাবন নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, এটুআই দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের মুখচ্ছবি। এটুআই অনেক উদ্ভাবনী প্রকল্পের পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয়ের ওয়েব পোর্টাল তৈরি ও বাস্তবায়ন করেছে। ইতোমধ্যে এটুআই অনেকগুলো উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, সাইলো-বেইজড উন্নয়ন কৌশল পরিহার করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, যা টেকসই ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এজেন্সি টু ইনোভেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ ভূঞাঁ বলেন, এটুআই-এর মূল শক্তি হলো নাগরিক ক্ষমতায়ন ও দক্ষ সরকার পরিচালনায় সহায়তা প্রদান। এক্ষেত্রে ডেটা গভর্ন্যান্স ও ডিজিটাল পাবলিক পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিষয়ও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইন্টারঅপারেবিলিটি চ্যালেঞ্জ সমাধান করাই হবে পরবর্তী ধাপ। তিনি এটুআই প্রকল্প থেকে এজেন্সিতে কার্যক্রম স্থানান্তরের একটি রূপরেখা প্রদান করেন।
এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রাশেদুল কবির মান্নাফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম; আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন; বিডিসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. তৌফিক আল মাহমুদ; সিসিএ এর নিয়ন্ত্রক (যুগ্মসচিব) এ.টি.এম. জিয়াউল ইসলাম; হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জোহরা বেগম; ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট শীলা তাসনিম হকসহ আইসিটি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং এটুআই-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ০৪ এপ্রিল ২০২৫
এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-এর উদ্যোগে গত ২৪ মার্চ ঢাকায় ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নে এটুআই-এর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় সরকারের নীতিনির্ধারক, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন অংশীদারসহ এটুআই-এর সকল কর্মকর্তাগণ অংশ নেন। কর্মশালায় এটুআই-এর হেড অব প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট আবদুল্লাহ আল ফাহিম ন্যাশনাল ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন স্ট্র্যাটেজি বাস্তবায়নে এটুআই-এর করণীয় (সংস্কার রোডম্যাপসহ) উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ করা, পাইলট প্রকল্পগুলোর ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত করা এবং নাগরিকদের সমস্যাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খোঁজা জরুরি। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সমন্বিত ও কাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে। সম্প্রতি ভূমি, বাণিজ্য, এনবিআর, বিআরটিএ-এর সেবা ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে সেখানে প্রায় দুই ডজন সরবরাহকারী কাজ করছে, কিন্তু কোনো ইন্টারঅপারেবিলিটি নেই। আমরা এমন একটা ইকোসিস্টেম তৈরি করতে চাই, যেখানে ইন্টারঅপারেবিলিটি নিশ্চিত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে বাস্তবায়নের জন্য আরও উচ্চ লক্ষ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তরুণদের উদ্ভাবনী ধারণা সংগ্রহ ও বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণ হবে এটুআই-এর প্রাথমিক কাজ। তিনি এক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরো বলেন, এটুআই-এর মূল লক্ষ্য হবে ডিজিটাল গভর্ন্যান্সের উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনের মাধ্যমে নাগরিক সেবা আরো সহজতর করা। এক্ষেত্রে প্রতিটি খাতের স্টেকহোল্ডারদের মতামতের ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণও একইসাথে জরুরি। তিনি তাঁর দিকনির্দেশনায় বলেন, সরকারের ডিজিটাল ডেটাবেজ কীভাবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে ও গ্রহণ করা যাবে, তা নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকদের আস্থার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে সমাধান তৈরি করতে হবে। উপকূলীয় ও উত্তরাঞ্চলভিত্তিক সমস্যাগুলো পৃথকভাবে চিহ্নিত করে সমাধান তৈরি করতে হবে। তিনি সরকারের ডেটা গভর্ন্যান্স ও এক্সচেঞ্জ, ট্রেনিং ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং, স্মার্ট ডিভাইসভিত্তিক সেবা, গ্লোবাল বেস্ট প্র্যাকটিস এবং ইকোসিস্টেম উন্নয়ন ও উদ্ভাবন নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, এটুআই দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের ক্ষেত্রে সরকারের মুখচ্ছবি। এটুআই অনেক উদ্ভাবনী প্রকল্পের পাশাপাশি সব মন্ত্রণালয়ের ওয়েব পোর্টাল তৈরি ও বাস্তবায়ন করেছে। ইতোমধ্যে এটুআই অনেকগুলো উদ্ভাবনী উদ্যোগ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, সাইলো-বেইজড উন্নয়ন কৌশল পরিহার করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, যা টেকসই ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরিতে সহায়ক হবে।
কর্মশালায় আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এজেন্সি টু ইনোভেটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশীদ ভূঞাঁ বলেন, এটুআই-এর মূল শক্তি হলো নাগরিক ক্ষমতায়ন ও দক্ষ সরকার পরিচালনায় সহায়তা প্রদান। এক্ষেত্রে ডেটা গভর্ন্যান্স ও ডিজিটাল পাবলিক পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিষয়ও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইন্টারঅপারেবিলিটি চ্যালেঞ্জ সমাধান করাই হবে পরবর্তী ধাপ। তিনি এটুআই প্রকল্প থেকে এজেন্সিতে কার্যক্রম স্থানান্তরের একটি রূপরেখা প্রদান করেন।
এটুআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রাশেদুল কবির মান্নাফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম আমিরুল ইসলাম; আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ আনোয়ার উদ্দিন; বিডিসিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. তৌফিক আল মাহমুদ; সিসিএ এর নিয়ন্ত্রক (যুগ্মসচিব) এ.টি.এম. জিয়াউল ইসলাম; হার পাওয়ার প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জোহরা বেগম; ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্ন্যান্স স্পেশালিস্ট শীলা তাসনিম হকসহ আইসিটি বিভাগ, ইউএনডিপি এবং এটুআই-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।