বরিশালের গৌরনদীর নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাফিজ মৃধার বিরুদ্ধে পরিষদের ১১ ইউপি সদস্যর অনাস্থা দেয়াকে কেন্দ্র করে গৌরনদী ইউএনও কার্যালয়ে চেয়ারম্যান হাফিজ মৃধার ভাড়াটে বিএনপি নেতাকর্মিরা ইউপি সদস্যর ওপর হামলা চালিয়ে ৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির ৭ নেতার নাম উল্লেখসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া ইউএনও অফিস সহকারীর কক্ষ ভাঙচুর ও তছনছ করার করার ঘটনায় অফিস সহকারী আব্দুর রব বাদি হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম হাফিজ মৃধাকে প্রধান আসামি করে ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বকর গাজী, গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফুয়াদ হোসেন এনি তাদের সহযোগী, মামুন সরদার, শাহাদাত গাজী ও ফরিদ হাওলাদারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বরাদ্দকৃতটিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ৪০দিনের কর্মসূচির টাকার আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে পরিষদের ১১ জন সদস্য গত ২৮ এপ্রিল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করে ইউএনওর কাছে জমা দেন। বিষয়টি তদন্তে ইউএনও রিফাত আরা মৌরি গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি বিষয়টি শুনানির জন্য ৬ মে ১১ ইউপি সদস্যদের ইউএনও কার্যালয়ে আসতে বলেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাইল হোসেন হীরাসহ ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের শুনানীর জন্য আমরা ইউএনও অফিসে আসলে চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ মৃধার ভাড়াটে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আবু বকর ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফুয়াদ হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাকে ও ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুন খলিফাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এবং অন্য দুই ইউপি সদস্যকে মারধর করে। আমরা আত্ম রক্ষায় ইউএনও অফিস সহকারী আব্দুর রবের কক্ষে আশ্রয় নিলে সেখানে পুনরায় হামলা করে অফিস কক্ষ ভাঙচুর ও তছনছ করে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। হামলার ঘটনা আমি শুনেছি। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আবু বকর বলেন, হামলার সময় আমি মেম্বরদের রক্ষার চেষ্টা করেছি। উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফুয়াদ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে নয়, ক্ষমতায় থাকাকালীন আমার ওপর যেই মেম্বররা হামলা করেছিল আমি তাদের মারধর করেছি। ?এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমি দাপ্তরিক কাজে উপজেলা পরিষদের বাহিরে ছিলাম। হামলার ঘটনা শুনে তাৎক্ষডুক উপজেলা পরিষদে আসার পরে বিষয়টি শুনে পুলিশ খবর দিলে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করে চলে যান। বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির ৭ নেতার নাম উল্লেখসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া ইউএনও অফিস সহকারীর কক্ষ ভাঙচুর ও তছনছ করার করার ঘটনায় অফিস সহকারী আব্দুর রব বাদী হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫
বরিশালের গৌরনদীর নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামীলগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাফিজ মৃধার বিরুদ্ধে পরিষদের ১১ ইউপি সদস্যর অনাস্থা দেয়াকে কেন্দ্র করে গৌরনদী ইউএনও কার্যালয়ে চেয়ারম্যান হাফিজ মৃধার ভাড়াটে বিএনপি নেতাকর্মিরা ইউপি সদস্যর ওপর হামলা চালিয়ে ৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির ৭ নেতার নাম উল্লেখসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া ইউএনও অফিস সহকারীর কক্ষ ভাঙচুর ও তছনছ করার করার ঘটনায় অফিস সহকারী আব্দুর রব বাদি হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম হাফিজ মৃধাকে প্রধান আসামি করে ও গৌরনদী উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আবু বকর গাজী, গৌরনদী উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফুয়াদ হোসেন এনি তাদের সহযোগী, মামুন সরদার, শাহাদাত গাজী ও ফরিদ হাওলাদারের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত ২০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, অনিয়ম, দুর্নীতি, প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বরাদ্দকৃতটিআর, কাবিখা, কাবিটা ও ৪০দিনের কর্মসূচির টাকার আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগে পরিষদের ১১ জন সদস্য গত ২৮ এপ্রিল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করে ইউএনওর কাছে জমা দেন। বিষয়টি তদন্তে ইউএনও রিফাত আরা মৌরি গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহ্বায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটি বিষয়টি শুনানির জন্য ৬ মে ১১ ইউপি সদস্যদের ইউএনও কার্যালয়ে আসতে বলেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাইল হোসেন হীরাসহ ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের শুনানীর জন্য আমরা ইউএনও অফিসে আসলে চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হাফিজ মৃধার ভাড়াটে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আবু বকর ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফুয়াদ হোসেনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আমাকে ও ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মামুন খলিফাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এবং অন্য দুই ইউপি সদস্যকে মারধর করে। আমরা আত্ম রক্ষায় ইউএনও অফিস সহকারী আব্দুর রবের কক্ষে আশ্রয় নিলে সেখানে পুনরায় হামলা করে অফিস কক্ষ ভাঙচুর ও তছনছ করে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। হামলার ঘটনা আমি শুনেছি। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আবু বকর বলেন, হামলার সময় আমি মেম্বরদের রক্ষার চেষ্টা করেছি। উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফুয়াদ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের পক্ষ নিয়ে নয়, ক্ষমতায় থাকাকালীন আমার ওপর যেই মেম্বররা হামলা করেছিল আমি তাদের মারধর করেছি। ?এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত আরা মৌরি বলেন, আমি দাপ্তরিক কাজে উপজেলা পরিষদের বাহিরে ছিলাম। হামলার ঘটনা শুনে তাৎক্ষডুক উপজেলা পরিষদে আসার পরে বিষয়টি শুনে পুলিশ খবর দিলে হামলাকারী দুর্বৃত্তরা উপজেলা পরিষদ ত্যাগ করে চলে যান। বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল হোসেন বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিএনপির ৭ নেতার নাম উল্লেখসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ছাড়া ইউএনও অফিস সহকারীর কক্ষ ভাঙচুর ও তছনছ করার করার ঘটনায় অফিস সহকারী আব্দুর রব বাদী হয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।