‘জানুক সবাই দেখাও তুমি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রোগ্রামিং সংস্কৃতি চালু করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২১। কোভিড-১৯ এর চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতাটি এবারও আয়োজিত হচ্ছে অনলাইনে। দেশের হাইস্কুল ও কলেজ তথা ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণী এবং সমমানের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং চর্চা জনপ্রিয় করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে ২০১৫ সালে এই কার্যক্রম শুরু হয়। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের সঙ্গে সংগতি রেখে এই কার্যক্রমকে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রমিং প্রতিযোগিতা হিসাবে অভিহিত করা হয়। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ, অনলাইন ও অনসাইট প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা এবং প্রোগ্রামিং ক্যাম্পসহ আরও বিবিধ আয়োজন করা হয়ে থাকে।
২০২১ সালের আয়োজনে থাকছে অনলাইন মহড়া প্রতিযোগিতা ও জাতীয় প্রতিযোগিতা। এ আয়োজনে শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরি (ষষ্ঠ-নবম শ্রেণি) এবং সিনিয়র ক্যাটাগরি (দশম-এসএসসি-দ্বাদশ শ্রেণি ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থী), এই দুইটি ক্যাটাগরিতে কুইজ অথবা প্রোগ্রামিংয়ের যে কোন একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমেই https://nhspc.net ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন চলবে ৭ জুন, ২০২১ তারিখ রাত ১১.৫৯ টা পর্যন্ত। একই সময়ে আইসিটিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হবে আইসিটি কুইজ প্রতিযোগিতা। কুইজ প্রতিযোগিতাও একই ক্যাটাগরি অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী পর্ব ১ জুন অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনের উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি কিশোর-কিশোরীকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০২১। আগামী পাঁচ বছরে কোন দক্ষতা প্রয়োজন হবে তা মাথায় রেখে আমাদের সন্তানদের তৈরী করার চেষ্টা করছি আমরা। অনুকরণ নয়, বরং উদ্ভাবনে তরুন ছেলে-মেয়েদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে তিনি আরো বলেন, সমস্যার কথাতো সবাই বলে, সমাধানের পথ দেখায় সাহসীরাই। উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে বিশ^ দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করবে আমাদের এ প্রজন্মের সাহসী ছেলে-মেয়েরাই। তথ্য বিশ্লেষণ, প্রবলেম সলভিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তারা আমাদের সামনে উন্মোচন করবে প্রযুক্তির নানা ব্যবহার। সফল ক্যারিয়ার তৈরীতে যেমন অঙ্ক, বিজ্ঞান শিখতে হয়, পাশাপাশি প্রোগ্রামিং দক্ষতাটাও জরুরি। যেকোন পেশায় প্রবেশের আগে নূন্যতম প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ এনামুল কবির বলেন, শুধুমাত্র বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং চর্চার মাধ্যমে একটি দেশের উন্নতির শিখরে পৌঁছানো সম্ভব না। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মতো উদ্যোগ ইতোমধ্যে সফলতা দেখিয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, ২০১৪ সালে শুরু হয়ে ২০১৫ সালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাওয়া ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এখন শিক্ষার্থীদের আকাঙ্খার জায়গা হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর পর্যায়ক্রমে প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে যেটা আমাদের একটি বিশাল সম্ভাবনার প্রতিই ইঙ্গিত করে। যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন আবহ চলছে বিশ^ জুড়ে, সেখানে দাঁড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরীতে আমাদের শিক্ষার্থীদের এই প্রোগ্রামিং দক্ষতা আমাদের আমাদের দেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমরা বিশ^াস করি। তাদের এই প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান করে আমরা চেষ্টা করছি তাদের উৎসাহিত করতে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা তারই একটি পদক্ষেপ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, যে সমস্ত ঘটনা আমার সবসময়ই ভালো লাগে, ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের এই প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করার বিষয়টা তার মধ্যে একটা। তবে খুব দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে আমরা যেভাবে সিস্টেমকে চালাতে চাই শিক্ষার্থীরা সেভাবে ভাবছেনা। তারা ভাবছে হয়তো জিপিএ ৫ পাওয়াই তাদের একমাত্র উদ্দ্যেশ্য। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা সেরকম না। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু গাইডবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রোগ্রামিং এর মতো এনালাইটিক কাজে নিজেদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। বেশি বেশি সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে বিশ্লেষন করতে হবে। আর সে জন্য ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে নতুন একটা জগৎ উন্মোচিত হবে। তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, এটা একটা দেশের জন্য খুবই গর্বের যখন দেশের পতাকা হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশে^র বিভিন্ন বড় বড় বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। আর এই ঘটনা এখন বাস্তব। তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রয়োজনে নয় প্রোগ্রামিং চর্চা হতে হবে আনন্দের সাথে। সবাই প্রোগ্রামিং শিখবে উল্লাস নিয়ে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) পার্থপ্রতিম দেব। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০২১ এর সাথে থাকতে পেরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সামনের পৃথিবী হচ্ছে কম্পিউটারের পৃথিবী, প্রোগ্রামিং এর পৃথিবী। যেকোন শিক্ষার্থী যেই বিভাগে পড়ুক না কেন, সে যদি আইসিটিতে দক্ষ না হয় তাহলে কিন্তু সে ভবিষ্যতে ঠিকমত কাজ করতে পারবেনা। এটি হল আমাদের এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জুন পর্যন্ত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ৪ ও ৬ জুন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এবং কুইজের দুইটা মক টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। মুল প্রতিযোগিতার পূর্বে শিক্ষার্থীরা এই টেস্টে অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ও নিয়মাবলী সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। উভয় প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১১ জুন। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। বাস্তবায়ন সহযোগী বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।
মঙ্গলবার, ০১ জুন ২০২১
‘জানুক সবাই দেখাও তুমি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রোগ্রামিং সংস্কৃতি চালু করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা ২০২১। কোভিড-১৯ এর চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে প্রতিযোগিতাটি এবারও আয়োজিত হচ্ছে অনলাইনে। দেশের হাইস্কুল ও কলেজ তথা ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণী এবং সমমানের মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং চর্চা জনপ্রিয় করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে ২০১৫ সালে এই কার্যক্রম শুরু হয়। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের সঙ্গে সংগতি রেখে এই কার্যক্রমকে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রমিং প্রতিযোগিতা হিসাবে অভিহিত করা হয়। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রশিক্ষণ, অনলাইন ও অনসাইট প্রোগ্রামিং ও কুইজ প্রতিযোগিতা এবং প্রোগ্রামিং ক্যাম্পসহ আরও বিবিধ আয়োজন করা হয়ে থাকে।
২০২১ সালের আয়োজনে থাকছে অনলাইন মহড়া প্রতিযোগিতা ও জাতীয় প্রতিযোগিতা। এ আয়োজনে শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ক্যাটাগরি (ষষ্ঠ-নবম শ্রেণি) এবং সিনিয়র ক্যাটাগরি (দশম-এসএসসি-দ্বাদশ শ্রেণি ও পলিটেকনিক শিক্ষার্থী), এই দুইটি ক্যাটাগরিতে কুইজ অথবা প্রোগ্রামিংয়ের যে কোন একটি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য প্রথমেই https://nhspc.net ঠিকানায় গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন চলবে ৭ জুন, ২০২১ তারিখ রাত ১১.৫৯ টা পর্যন্ত। একই সময়ে আইসিটিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হবে আইসিটি কুইজ প্রতিযোগিতা। কুইজ প্রতিযোগিতাও একই ক্যাটাগরি অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী পর্ব ১ জুন অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আয়োজনের উদ্বোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের দেশের প্রতিটি কিশোর-কিশোরীকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই আয়োজিত হতে যাচ্ছে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০২১। আগামী পাঁচ বছরে কোন দক্ষতা প্রয়োজন হবে তা মাথায় রেখে আমাদের সন্তানদের তৈরী করার চেষ্টা করছি আমরা। অনুকরণ নয়, বরং উদ্ভাবনে তরুন ছেলে-মেয়েদের উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে তিনি আরো বলেন, সমস্যার কথাতো সবাই বলে, সমাধানের পথ দেখায় সাহসীরাই। উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে বিশ^ দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করবে আমাদের এ প্রজন্মের সাহসী ছেলে-মেয়েরাই। তথ্য বিশ্লেষণ, প্রবলেম সলভিং দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তারা আমাদের সামনে উন্মোচন করবে প্রযুক্তির নানা ব্যবহার। সফল ক্যারিয়ার তৈরীতে যেমন অঙ্ক, বিজ্ঞান শিখতে হয়, পাশাপাশি প্রোগ্রামিং দক্ষতাটাও জরুরি। যেকোন পেশায় প্রবেশের আগে নূন্যতম প্রোগ্রামিং জ্ঞান থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মদ এনামুল কবির বলেন, শুধুমাত্র বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং চর্চার মাধ্যমে একটি দেশের উন্নতির শিখরে পৌঁছানো সম্ভব না। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মতো উদ্যোগ ইতোমধ্যে সফলতা দেখিয়েছে।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, ২০১৪ সালে শুরু হয়ে ২০১৫ সালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাওয়া ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এখন শিক্ষার্থীদের আকাঙ্খার জায়গা হিসেবে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর পর্যায়ক্রমে প্রতিযোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে যেটা আমাদের একটি বিশাল সম্ভাবনার প্রতিই ইঙ্গিত করে। যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন আবহ চলছে বিশ^ জুড়ে, সেখানে দাঁড়িয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরীতে আমাদের শিক্ষার্থীদের এই প্রোগ্রামিং দক্ষতা আমাদের আমাদের দেশকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেবে বলে আমরা বিশ^াস করি। তাদের এই প্রোগ্রামিং প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রদান করে আমরা চেষ্টা করছি তাদের উৎসাহিত করতে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা তারই একটি পদক্ষেপ।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বলেন, যে সমস্ত ঘটনা আমার সবসময়ই ভালো লাগে, ছোট ছোট ছাত্রছাত্রীদের এই প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করার বিষয়টা তার মধ্যে একটা। তবে খুব দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে আমরা যেভাবে সিস্টেমকে চালাতে চাই শিক্ষার্থীরা সেভাবে ভাবছেনা। তারা ভাবছে হয়তো জিপিএ ৫ পাওয়াই তাদের একমাত্র উদ্দ্যেশ্য। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা সেরকম না। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের শুধু গাইডবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে প্রোগ্রামিং এর মতো এনালাইটিক কাজে নিজেদের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। বেশি বেশি সমস্যা এবং তার সমাধান নিয়ে বিশ্লেষন করতে হবে। আর সে জন্য ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ন। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে নতুন একটা জগৎ উন্মোচিত হবে। তিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, এটা একটা দেশের জন্য খুবই গর্বের যখন দেশের পতাকা হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিশে^র বিভিন্ন বড় বড় বিশ^বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য যায়। আর এই ঘটনা এখন বাস্তব। তিনি বলেন, শুধুমাত্র প্রয়োজনে নয় প্রোগ্রামিং চর্চা হতে হবে আনন্দের সাথে। সবাই প্রোগ্রামিং শিখবে উল্লাস নিয়ে।
বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) পার্থপ্রতিম দেব। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০২১ এর সাথে থাকতে পেরে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, সামনের পৃথিবী হচ্ছে কম্পিউটারের পৃথিবী, প্রোগ্রামিং এর পৃথিবী। যেকোন শিক্ষার্থী যেই বিভাগে পড়ুক না কেন, সে যদি আইসিটিতে দক্ষ না হয় তাহলে কিন্তু সে ভবিষ্যতে ঠিকমত কাজ করতে পারবেনা। এটি হল আমাদের এই আয়োজনের প্রতিপাদ্য বিষয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ জুন পর্যন্ত প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামী ৪ ও ৬ জুন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এবং কুইজের দুইটা মক টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। মুল প্রতিযোগিতার পূর্বে শিক্ষার্থীরা এই টেস্টে অংশ নিয়ে প্রতিযোগিতার প্ল্যাটফর্ম ও নিয়মাবলী সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। উভয় প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ১১ জুন। ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল। বাস্তবায়ন সহযোগী বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)।