ঢাকায় উদ্বোধন হলো তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি-২০২১ (ডব্লিউসিআইটি ২০২১)’। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১১ নভেম্বর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের মাধ্যমে ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫তম আসর শুরু হলো।
দ্য ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) এর উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করছে। এ আয়োজনের পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ (সিসিএ), ডিজিটাল সিকিউিরিটি এজেন্সি, এটুআই, এলআইসিটি, বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব এবং আইএসপিএবি, বিআইজেএফ ও টিএমজিবি।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের প্লাটিনাম স্পন্সর ওয়ালটন, গোল্ড স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্রোঞ্জ স্পন্সর হুয়াওয়ে, জনতা ব্যাংক, মিনিস্টার টিভি এবং থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমস। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে এ সময় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো: শাহিদ-উল-মুনীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে রয়েছে মোট ৩০টি সেমিনার, মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স, বিটুবি সেশন। অনলাইনে নিবন্ধিত হয়ে সেমিনারগুলোতে অংশ নিচ্ছেন দেশের তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আগ্রহীরা। সম্মেলনে প্রতিদিন সেমিনারের পাশাপাশি থাকছে নানা আয়োজন। সম্মেলনে আজকের অন্যতম আকর্ষণ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইট। “Ensuring an Inclusive, Trusted and Sustainable Digital Society” শীর্ষক মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিশ্বের ৮৫টি দেশের মন্ত্রী/প্রতিনিধিগণ এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইটে বাংলাদেশের বিগত ১২ বছরের তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হবে। সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনেও যুক্ত হওয়া যাবে। ‘ডব্লিউসিআইটি ২০২১’ সম্মেলনের সমান্তরালে একই সময়কালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ‘ডিজিটাল সামিট ২০২১’।
চার দিনের এ সম্মেলনে আগামীকাল শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহিত উদ্যেগসমূহ উপস্থাপন করা হবে। এ দিনে ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
আগামী শনিবার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, অর্জন-গৌরবের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। এ দিন ‘উইটজা আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে । এছাড়া রবিবার রয়েছে ডব্লিউসিআইটি এর রজত জয়ন্তী এবং সমাপনী আয়োজন।
সম্মেলনে আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জনক মিঃ ভিন্টন গ্রে সার্ফ ও রবার্ট কান, আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জননী ড. রাদিয়া পারম্যান ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিমোথি বারনার্স লি, ইন্টেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মিঃ ওমর এস ইশরাক ও নাসার সদর দপ্তরের এজেন্সি বাজেট, স্ট্র্যাটেজি ও পারফর্মেন্সের ডেপুটি সিএফও মিঃ ডাউগ কমস্টক, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর চিফ স্টাডি গ্রুপস ডিপার্টমেন্ট এর বিলেল জামৌসি, আইএমডি স্মার্ট সিটি অবজারভেটরির সভাপতি ডঃ ব্রুনোল্যানভিন সহ বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনের শীর্ষ শতাধিক ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন সেমিনার ও সেশনে অংশ নেবেন।
সম্মেলনে উপভোগ করার জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর ও আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে wcit2021 নামের অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যাবে। তবে ব্যবহারের পূ্র্বে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এছাড়াও www.wcit2021.com.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভার্চুয়ালি সম্মেলন ও প্রদর্শনী ঘুরে আসা যাবে। ফিজিক্যাল এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশন-সহ ডব্লিউসিআইটি সম্মেলনের যাবতীয় তথ্য www.wcit2021.org.bd ওয়েবসাইটটিতে পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বর্তমানে সাড়ে ১২ কোটির বেশি মানুষ দেশে মোবাইল ব্যবহার করছেম। গত এক দশকে সরকার আইসিটির মূল চারটি স্তম্ভকে ঘিরে কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি একদিকে যেমন সুযোগের অবারিত দ্বার উন্মুক্ত করেছে তেমনি এর অপব্যবহার ও জালিয়াতির কারনে নানা চ্যালেনজ জন্ম দিয়েছে। এদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে এগিয় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।বিশ্বের ৮০ টিরও বেশি দেশে তথ্য প্রযুক্তি সেবা রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এজন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হতে হবে। এজন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি হস্তান্তর ও বিনিময়ে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবন বা আমদানি যথেষ্ট নয় বরং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থানীয় প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এবারের আসরের যে মূল প্রতিপাদ্য আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’, আইসিটিকে আমরা ব্যবহার করি শহর গ্রামের দূরত্ব দূর করার জন্য, ধনী দরিদ্রের বৈষম্য দূর করার জন্যে, নারী পুরুষের বিভেদ দূর করার জন্য। সেই প্রতিপাদ্য আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে।তাই আসুন অঙ্গীকার করি প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো ব্যবহার করি খারাপ দিকগুলো প্রতিহত করি। ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট আমরা প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্ট প্রণয়নের নিরদেশনাও পেয়েছি।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো: শাহিদ-উল-মুনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার, ১১ নভেম্বর ২০২১
ঢাকায় উদ্বোধন হলো তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন ‘ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজি-২০২১ (ডব্লিউসিআইটি ২০২১)’। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১১ নভেম্বর ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের মাধ্যমে ‘আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’ স্লোগানে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তথ্যপ্রযুক্তির অলিম্পিক খ্যাত এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫তম আসর শুরু হলো।
দ্য ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্স (উইটসা) এর উদ্যোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করছে। এ আয়োজনের পার্টনার হিসেবে আছে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ (সিসিএ), ডিজিটাল সিকিউিরিটি এজেন্সি, এটুআই, এলআইসিটি, বেসিস, বাক্কো, ই-ক্যাব এবং আইএসপিএবি, বিআইজেএফ ও টিএমজিবি।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের প্লাটিনাম স্পন্সর ওয়ালটন, গোল্ড স্পন্সর ডাচ-বাংলা ব্যাংক, ব্রোঞ্জ স্পন্সর হুয়াওয়ে, জনতা ব্যাংক, মিনিস্টার টিভি এবং থাকরাল ইনফরমেশন সিস্টেমস। এছাড়া ইন্টারনেট পার্টনার আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অনুষ্ঠানে এ সময় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো: শাহিদ-উল-মুনীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
৪ দিনব্যাপী এ সম্মেলনে রয়েছে মোট ৩০টি সেমিনার, মিনিস্টারিয়াল কনফারেন্স, বিটুবি সেশন। অনলাইনে নিবন্ধিত হয়ে সেমিনারগুলোতে অংশ নিচ্ছেন দেশের তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আগ্রহীরা। সম্মেলনে প্রতিদিন সেমিনারের পাশাপাশি থাকছে নানা আয়োজন। সম্মেলনে আজকের অন্যতম আকর্ষণ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স ও ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইট। “Ensuring an Inclusive, Trusted and Sustainable Digital Society” শীর্ষক মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বিশ্বের ৮৫টি দেশের মন্ত্রী/প্রতিনিধিগণ এতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশ নাইটে বাংলাদেশের বিগত ১২ বছরের তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রগতির সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হবে। সরাসরি অংশগ্রহণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে অনলাইনেও যুক্ত হওয়া যাবে। ‘ডব্লিউসিআইটি ২০২১’ সম্মেলনের সমান্তরালে একই সময়কালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এশিয়া এবং ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অ্যাসোসিও ‘ডিজিটাল সামিট ২০২১’।
চার দিনের এ সম্মেলনে আগামীকাল শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাধীন সর্বোভৌম রাষ্ট্র ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর গৃহিত উদ্যেগসমূহ উপস্থাপন করা হবে। এ দিনে ‘অ্যাসোসিও অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে এশিয়া-ওশেনিয়া অঞ্চলে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে।
আগামী শনিবার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অগ্রগতি, অর্জন-গৌরবের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। এ দিন ‘উইটজা আইসিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড নাইট’ অনুষ্ঠানে সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হবে । এছাড়া রবিবার রয়েছে ডব্লিউসিআইটি এর রজত জয়ন্তী এবং সমাপনী আয়োজন।
সম্মেলনে আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জনক মিঃ ভিন্টন গ্রে সার্ফ ও রবার্ট কান, আধুনিক ইন্টারনেটের অন্যতম জননী ড. রাদিয়া পারম্যান ও ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক স্যার টিমোথি বারনার্স লি, ইন্টেল কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মিঃ ওমর এস ইশরাক ও নাসার সদর দপ্তরের এজেন্সি বাজেট, স্ট্র্যাটেজি ও পারফর্মেন্সের ডেপুটি সিএফও মিঃ ডাউগ কমস্টক, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) এর চিফ স্টাডি গ্রুপস ডিপার্টমেন্ট এর বিলেল জামৌসি, আইএমডি স্মার্ট সিটি অবজারভেটরির সভাপতি ডঃ ব্রুনোল্যানভিন সহ বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনের শীর্ষ শতাধিক ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন সেমিনার ও সেশনে অংশ নেবেন।
সম্মেলনে উপভোগ করার জন্য অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়েছে। গুগল প্লে স্টোর ও আইফোনের অ্যাপ স্টোর থেকে wcit2021 নামের অ্যাপটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করে ইন্সটল করা যাবে। তবে ব্যবহারের পূ্র্বে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। এছাড়াও www.wcit2021.com.bd ওয়েবসাইট ভিজিট করে ভার্চুয়ালি সম্মেলন ও প্রদর্শনী ঘুরে আসা যাবে। ফিজিক্যাল এবং অনলাইন রেজিস্ট্রেশন-সহ ডব্লিউসিআইটি সম্মেলনের যাবতীয় তথ্য www.wcit2021.org.bd ওয়েবসাইটটিতে পাওয়া যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বর্তমানে সাড়ে ১২ কোটির বেশি মানুষ দেশে মোবাইল ব্যবহার করছেম। গত এক দশকে সরকার আইসিটির মূল চারটি স্তম্ভকে ঘিরে কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি একদিকে যেমন সুযোগের অবারিত দ্বার উন্মুক্ত করেছে তেমনি এর অপব্যবহার ও জালিয়াতির কারনে নানা চ্যালেনজ জন্ম দিয়েছে। এদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে আমাদের সামনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে এগিয় যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।বিশ্বের ৮০ টিরও বেশি দেশে তথ্য প্রযুক্তি সেবা রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। এজন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ হতে হবে। এজন্য বেসরকারি উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তি হস্তান্তর ও বিনিময়ে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি উদ্ভাবন বা আমদানি যথেষ্ট নয় বরং এর টেকসই ব্যবহার নিশ্চিত করাও গুরুত্বপূর্ণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্থানীয় প্রযুক্তির টেকসই ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে একটি উন্নয়নশীল দেশের মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব ইনশাআল্লাহ।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এবারের আসরের যে মূল প্রতিপাদ্য আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুলাইজার’, আইসিটিকে আমরা ব্যবহার করি শহর গ্রামের দূরত্ব দূর করার জন্য, ধনী দরিদ্রের বৈষম্য দূর করার জন্যে, নারী পুরুষের বিভেদ দূর করার জন্য। সেই প্রতিপাদ্য আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে।তাই আসুন অঙ্গীকার করি প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো ব্যবহার করি খারাপ দিকগুলো প্রতিহত করি। ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট আমরা প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং ডিজিটাল সার্ভিস অ্যাক্ট প্রণয়নের নিরদেশনাও পেয়েছি।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি মো: শাহিদ-উল-মুনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।