দিল্লিতে নয়াদিল্লির তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি আইআইটিসহ নয়ডার ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড সার্ভিস কোম্পানি ন্যাসকম পরিদর্শন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে প্রতিমন্ত্রী দিল্লীর আইআইটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে ইস্টটিটিউটের বিভিন্ন ফ্যাকালটি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রুপরেখা অনুযায়ী ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে বাংলাদেশকে দূর্বার গতিতে এগিয়ে নেয়ার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওযাজেদ জয়ের বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী আইআইটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাকালটি পরিদর্শনকালে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি বিকশিত হওয়ার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে তা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে কাজে লাগানোর চিন্তা ভাবনা করবেন বলেও জানান। তিনি দিল্লীর খ্যাতনামা এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ডীনের সঙ্গে বেশ কিছু সময় পরামর্শমূলক বৈঠক করেন।
আইআইটি পরিচালক অধ্যাপক রঞ্জন ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠককালে প্রতিমন্ত্রী তার প্রস্তাবনায় বাংলাদেশের ছাত্র, গবেষক, তরুন উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইআইটি কর্তৃপক্ষ সম্মত হলে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রহীদের পাঠাবে। এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের তরুন, উদ্যোক্তা, ছাত্র, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, যারা এ বিষয়ে স্মতকোত্তর ডিগ্রী নিতে চায় তাদেরকেও প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করতে চায়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর (এম ও ইউ) এর প্রস্তাব রাখেন তিনি। আইআইটির পরিচালক প্রতিমন্ত্রীর এ প্রস্তাব সানন্দে গ্রহন করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী ন্যারোস্কেল রিসার্চ ফ্যাসিলিটি এনআরএফ এর অধ্যাপক নিরাজখের এর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইআইটি এবং বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই খাতের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি এ বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্সে বাংলাদেশের আগ্রহী তরুনদের সুযোগ নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন।
পরে তিনি দিল্লির অদূরে নয়ড়াতে অবস্থিত তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক ভারতের খ্যাতনামা গবেষনা প্রতিষ্ঠান ন্যাসকম পরিদর্শন করেন। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি বৈঠক করেন ন্যাসকম কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ন্যাসকম কর্মকর্তারা তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ডূয়সী প্রসংশা করে বলেন, তরুনদের মেধা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ একসময় আইটি সেক্টরে নেতৃত্ব দিবে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে হল মিলনায়তনে এ সময়ে একটি প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী ন্যাসকম এর চমৎকার এ তথ্য বহুল প্রেজেনটেশন দেখার পর স্থানীয় আইটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন এবং ন্যাসকম এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবটি খুব দ্রুতই বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন ন্যাসকম কর্তৃপক্ষ। সমঝোতা হলে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিখাতে এ প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবে বলেও আশ্বাস পাওয়া গেছে। প্রতিমন্ত্রী রাইসানা সম্মেলনে যোগদিতে দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
মঙ্গলবার, ২৬ এপ্রিল ২০২২
দিল্লিতে নয়াদিল্লির তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড টেকনোলজি আইআইটিসহ নয়ডার ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড সার্ভিস কোম্পানি ন্যাসকম পরিদর্শন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে প্রতিমন্ত্রী দিল্লীর আইআইটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনকালে ইস্টটিটিউটের বিভিন্ন ফ্যাকালটি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রুপরেখা অনুযায়ী ডিজিটাল প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে বাংলাদেশকে দূর্বার গতিতে এগিয়ে নেয়ার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওযাজেদ জয়ের বিশেষ অবদানের কথা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী আইআইটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাকালটি পরিদর্শনকালে ভারতের তথ্য প্রযুক্তি বিকশিত হওয়ার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে তা বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে কাজে লাগানোর চিন্তা ভাবনা করবেন বলেও জানান। তিনি দিল্লীর খ্যাতনামা এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও ডীনের সঙ্গে বেশ কিছু সময় পরামর্শমূলক বৈঠক করেন।
আইআইটি পরিচালক অধ্যাপক রঞ্জন ব্যানার্জির সঙ্গে বৈঠককালে প্রতিমন্ত্রী তার প্রস্তাবনায় বাংলাদেশের ছাত্র, গবেষক, তরুন উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণের ব্যাপারে গুরুত্ব দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইআইটি কর্তৃপক্ষ সম্মত হলে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণে আগ্রহীদের পাঠাবে। এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের তরুন, উদ্যোক্তা, ছাত্র, গবেষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এ সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, যারা এ বিষয়ে স্মতকোত্তর ডিগ্রী নিতে চায় তাদেরকেও প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করতে চায়। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর (এম ও ইউ) এর প্রস্তাব রাখেন তিনি। আইআইটির পরিচালক প্রতিমন্ত্রীর এ প্রস্তাব সানন্দে গ্রহন করেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী ন্যারোস্কেল রিসার্চ ফ্যাসিলিটি এনআরএফ এর অধ্যাপক নিরাজখের এর সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে আইআইটি এবং বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই খাতের উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী। তিনি এ বিষয়ে ডিপ্লোমা কোর্সে বাংলাদেশের আগ্রহী তরুনদের সুযোগ নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন।
পরে তিনি দিল্লির অদূরে নয়ড়াতে অবস্থিত তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক ভারতের খ্যাতনামা গবেষনা প্রতিষ্ঠান ন্যাসকম পরিদর্শন করেন। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রতিমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপি বৈঠক করেন ন্যাসকম কর্মকর্তাদের সঙ্গে। ন্যাসকম কর্মকর্তারা তথ্য প্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ডূয়সী প্রসংশা করে বলেন, তরুনদের মেধা কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ একসময় আইটি সেক্টরে নেতৃত্ব দিবে। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে হল মিলনায়তনে এ সময়ে একটি প্রেজেনটেশন উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী ন্যাসকম এর চমৎকার এ তথ্য বহুল প্রেজেনটেশন দেখার পর স্থানীয় আইটি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের আইটি খাতের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন এবং ন্যাসকম এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবটি খুব দ্রুতই বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন ন্যাসকম কর্তৃপক্ষ। সমঝোতা হলে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিখাতে এ প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবে বলেও আশ্বাস পাওয়া গেছে। প্রতিমন্ত্রী রাইসানা সম্মেলনে যোগদিতে দিল্লিতে অবস্থান করছেন।