ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ২৮ জুন ৪ ঘন্টাব্যাপী গুজব, ফ্যাক্ট চেকিং ও বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট বিষয়ক এক অনলাইন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ আওতায় দেশের মানুষের ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীনে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যাম কর্মীদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল।
কোভিড-১৯ মহামারীর মতোই সমগ্র পৃথিবীর ইন্টারনেট দুনিয়া ‘ফেইক নিউজে’র মহামারী দ্বারা আক্রান্ত। এর ফলে নানা ধরনের ফৌজদারী অপরাধ, মানুষের জানমালের উপরে সহিংসতা সৃষ্টি, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জনমতকে প্রভাবিত করা ও বদলানোর প্রচেষ্টা আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক দুনিয়ায় ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ঘটনা-যাচাই, ভুয়া সংবাদ, গুজব, গণনামূলক প্রচার, স্প্যাম, কেলেঙ্কারী, জাল রিভিউ, ভুল তথ্য ছড়ানো, ডিসইনফরমেশন এবং ম্যাল-ইনফরমেশন, সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইকরণ, উৎস এবং ভিজ্যুয়াল সামগ্রী মূল্যায়ন, অনলাইন অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকগুলোকে কর্মশালাতে তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন একাত্তর টিভির সংবাদ বিভাগের প্রধান শাকিল আহমেদ, ইউনেস্কোর যোগাযোগ উপদেষ্টা ইজেকেল লামিনি এবং আমেরিকার ফোর্ডহাম বিশ^বিদ্যালয়ের ডেটা সাইন্স বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমীন। কর্মশালাতে ৩৫০ জনেরও অধিক অনলাইন, টিভি, সংবাদপত্র ও কমিউনিটি রেডিও’র সাংবাদিকবৃন্দ, সোশ্যাল মিডিয়া কন্ট্রিবিউটর, সিটিজেন জার্নালিস্টস, ব্লগার, গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং আইসিটি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালাতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের অনলাইন জীবন ও কার্যক্রমকে নিরাপদ করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তৈরি করা হয়েছে। আমরা দেশের মানুষকে সচেতন করতে ডিজিটাল লিটারেসি বৃদ্ধিমূলক প্রকল্পের পরিকল্পনা, ২৪/৭ ডিজিটাল সিকিউরিটি কল সেন্টার, সংবাদের সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য ফ্যাক্ট চেকিং সাইটসহ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক রেজাউল করিম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘ভুয়া সংবাদের ফলে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে শুধু মিথ্যা খবর চিহ্নিত করাই নয়, সত্য খবরটিকেও প্রচার করতে হবে। এই কর্মশালার মাধ্যমে আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি এই লড়াইয়ে তাঁদের অংশগ্রহণের ফলে দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।
সোমবার, ২৯ জুন ২০২০
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির উদ্যোগে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ২৮ জুন ৪ ঘন্টাব্যাপী গুজব, ফ্যাক্ট চেকিং ও বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট বিষয়ক এক অনলাইন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ আওতায় দেশের মানুষের ডিজিটাল সিকিউরিটি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীনে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যাম কর্মীদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল।
কোভিড-১৯ মহামারীর মতোই সমগ্র পৃথিবীর ইন্টারনেট দুনিয়া ‘ফেইক নিউজে’র মহামারী দ্বারা আক্রান্ত। এর ফলে নানা ধরনের ফৌজদারী অপরাধ, মানুষের জানমালের উপরে সহিংসতা সৃষ্টি, নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জনমতকে প্রভাবিত করা ও বদলানোর প্রচেষ্টা আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক দুনিয়ায় ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে ঘটনা-যাচাই, ভুয়া সংবাদ, গুজব, গণনামূলক প্রচার, স্প্যাম, কেলেঙ্কারী, জাল রিভিউ, ভুল তথ্য ছড়ানো, ডিসইনফরমেশন এবং ম্যাল-ইনফরমেশন, সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইকরণ, উৎস এবং ভিজ্যুয়াল সামগ্রী মূল্যায়ন, অনলাইন অপব্যবহারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিকগুলোকে কর্মশালাতে তুলে ধরা হয়।
কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন একাত্তর টিভির সংবাদ বিভাগের প্রধান শাকিল আহমেদ, ইউনেস্কোর যোগাযোগ উপদেষ্টা ইজেকেল লামিনি এবং আমেরিকার ফোর্ডহাম বিশ^বিদ্যালয়ের ডেটা সাইন্স বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক ড. রুহুল আমীন। কর্মশালাতে ৩৫০ জনেরও অধিক অনলাইন, টিভি, সংবাদপত্র ও কমিউনিটি রেডিও’র সাংবাদিকবৃন্দ, সোশ্যাল মিডিয়া কন্ট্রিবিউটর, সিটিজেন জার্নালিস্টস, ব্লগার, গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং আইসিটি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালাতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের অনলাইন জীবন ও কার্যক্রমকে নিরাপদ করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তৈরি করা হয়েছে। আমরা দেশের মানুষকে সচেতন করতে ডিজিটাল লিটারেসি বৃদ্ধিমূলক প্রকল্পের পরিকল্পনা, ২৪/৭ ডিজিটাল সিকিউরিটি কল সেন্টার, সংবাদের সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য ফ্যাক্ট চেকিং সাইটসহ নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক রেজাউল করিম বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘ভুয়া সংবাদের ফলে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমগুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে শুধু মিথ্যা খবর চিহ্নিত করাই নয়, সত্য খবরটিকেও প্রচার করতে হবে। এই কর্মশালার মাধ্যমে আমরা গণমাধ্যমকর্মীদের সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করি এই লড়াইয়ে তাঁদের অংশগ্রহণের ফলে দেশের মানুষ উপকৃত হবেন।