কক্সবাজারে ‘হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় কক্সবাজার-০৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল উপস্থিত ছিলেন।
আজ (শনিবার) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কক্সবাজারকে আধুনিক ও স্মার্ট পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই; আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।’
তিনি বলেন, ‘তের বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালে আইসিটি রপ্তানী ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।’
সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার-০৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ শিক্ষায় অত্যন্ত অনগ্রসর। এই অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা গেলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।‘
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ফ্রি-ল্যান্সার এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এর কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মেড ইন বাংলাদেশ ল্যাপটপ (ওয়ালটন) হস্তান্তর করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে, ইতোমধ্যে ০৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে যেখানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক জানান প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে প্রায় ৮.০৭ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অনু্ষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার, ১৭ জুলাই ২০২২
কক্সবাজারে ‘হাই-টেক পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় কক্সবাজার-০৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল উপস্থিত ছিলেন।
আজ (শনিবার) কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাই-টেক পার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘কক্সবাজারকে আধুনিক ও স্মার্ট পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই; আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণ করতে চাই, যেটা হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।’
তিনি বলেন, ‘তের বছর আগে ডিজিটাল অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬ মিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে তা ১.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৫ সালে আইসিটি রপ্তানী ৫ বিলিয়ন ডলার এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে আইসিটি খাতে কর্মসংস্থান ৩০ লাখে উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।’
সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার-০৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, ‘আমাদের এই অঞ্চলের মানুষ শিক্ষায় অত্যন্ত অনগ্রসর। এই অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা গেলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।‘
অনুষ্ঠানে কক্সবাজারের ফ্রি-ল্যান্সার এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ এর কাছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মেড ইন বাংলাদেশ ল্যাপটপ (ওয়ালটন) হস্তান্তর করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।
স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর মাধ্যমে বর্তমানে সারা দেশে ৯২টি হাই-টেক পার্ক/সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক/আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে, ইতোমধ্যে ০৯টি পার্ক স্থাপনের কাজ সমাপ্ত হয়েছে যেখানে ইতোমধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত হাই-টেক পার্কসমূহে ১৯০টি প্রতিষ্ঠানকে স্পেস ও প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এর মধ্যে ১২৩টি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং ১৫১টি স্থানীয় স্টার্টআপ কোম্পানিকে বিনামূল্যে স্পেস/কো-ওয়ার্কিং স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
প্রকল্প পরিচালক এ কে এ এম ফজলুল হক জানান প্রায় ১৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারে প্রায় ৮.০৭ একর জমিতে এই হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজ শেষ হলে প্রায় ৩০০০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ১০০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
অনু্ষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাগণ এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।