টুইটার কিনে নেওয়ার পর কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। বিশ্বের নানা দেশেই কর্মীদের ছাঁটাই করেছেন। এর মধ্যে আছেন ভারতীয়রাও। ছাঁটাই হওয়া ভারতীয়দের চাকরি দিতে চান দেশটির একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। নাম কুউ। ভারতের এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির দাবি, তারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। আর ভারতের ১ নম্বর।
কর্মচারীদের জন্য বড় অফার ভারতের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কড়। এ অবস্থায় ভারতে অনেকটাই ধীরে চলছে বিশ্বের অন্যতম বড় এই সোশ্যাল জায়েন্ট। তবে এই অবস্থায় বড় দায়িত্ব নিতে চায় ভারতের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কু।
টুইটারে চাকরি যাওয়ার পর রাতারাতি অনেকে বেকার। এ অবস্থায় টুইটারে চাকরি যাওয়া কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে চায় কুউ। শুধু তা–ই নয়, ইতিমধ্যে ভারতের এ মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে এসব কর্মীদের যোগ দেওয়ার জন্য অফার দেওয়া হয়েছে।
কুউয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা মায়াঙ্ক বিদাওয়াতকা টুইটার কর্মীদের জন্য এ অফার দিয়েছেন। এটা নিয়ে টুইটারে ও নিজেদের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মেও পোস্ট দিয়েছেন। গত শুক্রবার মায়াঙ্ক বিদাওয়াতকার দেওয়া পোস্টে টুইটারের সাবেক কর্মীদের কাজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
মায়াঙ্ক বিদাওয়াতকা টুইটে লিখেছেন, ‘#আরআইপি। আমরা কিছু টুইটারের সাবেক কর্মীদের কাজে রাখতে চাই বলে উল্লেখ করেছেন। শুধু তা–ই নয়, আগামী দিনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’
কুউ ভারতের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। তিন বছর আগে এ সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পাঁচ কোটির বেশি ব্যবহারকারী আছে কুউর। করোনার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ব্যবহারকারী পেয়েছে কুউ। আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যবহারকারী বেড়েছে বলে মনে করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরাও এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন।
গত মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে টুইটার কেনেন ইলন মাস্ক। এরপর টুইটারের প্রায় অর্ধেক কর্মী (৩ হাজার ৭০০) ছাঁটাই করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার আবার অনেক কর্মী টুইটার ছেড়ে দেন। টুইটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কর্মীরা চলে যাওয়ার পর বেশ কিছু ব্যবহারকারী টুইটার ব্যবহারে সমস্যার কথাও বলেছেন। ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক সাইট ডাউন ডিটেক্টর বিষয়টি তুলে ধরেছে। এ–সংক্রান্ত একটি চার্ট টুইটারে অনেকে শেয়ার করেছেন।
ইলন মাস্ক শর্ত দেন, যাঁরা টুইটারে কঠোর পরিশ্রমে রাজি থাকবেন, তাঁরা এখানে থাকতে পারবেন। না হলে বৃহস্পতিবার পাঁচটার মধ্যে বিদায় জানিয়ে দিতে সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। কিন্তু মাস্কের শর্ত না মেনে অনেকেই টুইটারকে বিদায় জানানোর পথ বেছে নেন। টুইটারের সাবেক কর্মীদের অনেকেই এখন আশঙ্কা করছেন, স্বল্পসংখ্যক কর্মী নিয়ে অনলাইনে চালু থাকতে সমস্যার মুখে পড়বে টুইটার।
মানুষ যখন বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে এ খবর জানতে পারেন, তখন অনেকে ভেবে বসেন, টুইটারের দিন শেষ। কেউ কেউ টুইটারে তাঁর শেষ টুইট ভেবে টুইট করতে শুরু করেন।
টুইটার থেকে কর্মী ছেড়ে যাওয়ার এ খবরে অনেকে টুইটার বন্ধ হয়ে গেছে কি না, তা দেখতে সাইটে ঢোকেন। কেউ কেউ টুইটারে তাঁদের অনুসারীদের শেষ টুইট করে অন্য প্ল্যাটফর্মে তাঁদের অনুসরণ করার লিংক পোস্ট করেন। টুইটারে ‘রিআইপি টুইটার’ট্রেন্ড চালু হয়।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও সিএনএন
রোববার, ২০ নভেম্বর ২০২২
টুইটার কিনে নেওয়ার পর কর্মী ছাঁটাই শুরু করেন শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। বিশ্বের নানা দেশেই কর্মীদের ছাঁটাই করেছেন। এর মধ্যে আছেন ভারতীয়রাও। ছাঁটাই হওয়া ভারতীয়দের চাকরি দিতে চান দেশটির একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। নাম কুউ। ভারতের এ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির দাবি, তারা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম। আর ভারতের ১ নম্বর।
কর্মচারীদের জন্য বড় অফার ভারতের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কড়। এ অবস্থায় ভারতে অনেকটাই ধীরে চলছে বিশ্বের অন্যতম বড় এই সোশ্যাল জায়েন্ট। তবে এই অবস্থায় বড় দায়িত্ব নিতে চায় ভারতের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম কু।
টুইটারে চাকরি যাওয়ার পর রাতারাতি অনেকে বেকার। এ অবস্থায় টুইটারে চাকরি যাওয়া কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে চায় কুউ। শুধু তা–ই নয়, ইতিমধ্যে ভারতের এ মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মে এসব কর্মীদের যোগ দেওয়ার জন্য অফার দেওয়া হয়েছে।
কুউয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা মায়াঙ্ক বিদাওয়াতকা টুইটার কর্মীদের জন্য এ অফার দিয়েছেন। এটা নিয়ে টুইটারে ও নিজেদের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্মেও পোস্ট দিয়েছেন। গত শুক্রবার মায়াঙ্ক বিদাওয়াতকার দেওয়া পোস্টে টুইটারের সাবেক কর্মীদের কাজ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
মায়াঙ্ক বিদাওয়াতকা টুইটে লিখেছেন, ‘#আরআইপি। আমরা কিছু টুইটারের সাবেক কর্মীদের কাজে রাখতে চাই বলে উল্লেখ করেছেন। শুধু তা–ই নয়, আগামী দিনের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’
কুউ ভারতের মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। তিন বছর আগে এ সংস্থা যাত্রা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে পাঁচ কোটির বেশি ব্যবহারকারী আছে কুউর। করোনার সময় ভারতে ব্যাপকভাবে ব্যবহারকারী পেয়েছে কুউ। আঞ্চলিক ভাষাকে গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যবহারকারী বেড়েছে বলে মনে করা হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরাও এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকেন।
গত মাসে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে টুইটার কেনেন ইলন মাস্ক। এরপর টুইটারের প্রায় অর্ধেক কর্মী (৩ হাজার ৭০০) ছাঁটাই করেছিলেন। গত বৃহস্পতিবার আবার অনেক কর্মী টুইটার ছেড়ে দেন। টুইটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কর্মীরা চলে যাওয়ার পর বেশ কিছু ব্যবহারকারী টুইটার ব্যবহারে সমস্যার কথাও বলেছেন। ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক সাইট ডাউন ডিটেক্টর বিষয়টি তুলে ধরেছে। এ–সংক্রান্ত একটি চার্ট টুইটারে অনেকে শেয়ার করেছেন।
ইলন মাস্ক শর্ত দেন, যাঁরা টুইটারে কঠোর পরিশ্রমে রাজি থাকবেন, তাঁরা এখানে থাকতে পারবেন। না হলে বৃহস্পতিবার পাঁচটার মধ্যে বিদায় জানিয়ে দিতে সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। কিন্তু মাস্কের শর্ত না মেনে অনেকেই টুইটারকে বিদায় জানানোর পথ বেছে নেন। টুইটারের সাবেক কর্মীদের অনেকেই এখন আশঙ্কা করছেন, স্বল্পসংখ্যক কর্মী নিয়ে অনলাইনে চালু থাকতে সমস্যার মুখে পড়বে টুইটার।
মানুষ যখন বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার সকালে এ খবর জানতে পারেন, তখন অনেকে ভেবে বসেন, টুইটারের দিন শেষ। কেউ কেউ টুইটারে তাঁর শেষ টুইট ভেবে টুইট করতে শুরু করেন।
টুইটার থেকে কর্মী ছেড়ে যাওয়ার এ খবরে অনেকে টুইটার বন্ধ হয়ে গেছে কি না, তা দেখতে সাইটে ঢোকেন। কেউ কেউ টুইটারে তাঁদের অনুসারীদের শেষ টুইট করে অন্য প্ল্যাটফর্মে তাঁদের অনুসরণ করার লিংক পোস্ট করেন। টুইটারে ‘রিআইপি টুইটার’ট্রেন্ড চালু হয়।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও সিএনএন