alt

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ঢাকা লিট ফেস্ট

মহামারির আশঙ্কা সবসময়, প্রস্তুত থাকতে হবে: অ্যাস্ট্রাজেনেকার সারাহ গিলবার্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৩

অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, মহামারির আশঙ্কা সবসময় থাকে। আমাদের নিজেদের যথাযথ প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে যখনই মহামারি আসুক, তখন আমরা করোনার থেকেও ভালো রেসপন্স করতে পারি। আমরা যদি একটি ছড়িয়ে পড়া রোগ মহামারি হওয়া থেকে আটকে দিতে পারি, তাহলে অনেক অর্থ সাশ্রয় করা যাবে। আর তাতে বিশ্ব অর্থনীতি লাভবান হবে।

আজ শনিবার ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিনে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেশনে তিনি একথা বলেন। সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক ও প্রযোজক সাদাফ সায্।

দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে সারাহ বলেন, ‘নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে টিকা খুব ভালো কাজ করছে। ডিএনএ ও আরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিনের তাপমাত্রার তারতম্য হয়। ডিএনএ জীবনের মতো স্থায়িত্ব আছে কিন্তু আরএনএ’র অস্তিত্ব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তাই তার প্রোটিন উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে অনেক নিম্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। ডিএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা, তাই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের থেকে বেশি তাপমাত্রায় তা ভালো থাকে। সুতরাং আরএনএ দিয়ে টিকা তৈরি করলে সেটিকে স্থিতিশীল রাখতে হলে কম তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে আসল ভ্যাকসিনটি এখনও বেশ ভালো কাজ করছে। যখন নতুন একটি ডোজ আপনার শরীরে প্রয়োগ করা হয় তখন সেটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। চতুর্থ ডোজের ক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য করেছি। নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা মাথায় রেখে ভ্যাকসিন বদলাতে গেলে খুব বেশি একটা সুবিধা দেয় না। আবার নতুন টিকা তৈরি করা এবং উৎপাদন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর পুরো পৃথিবী জুড়েই টিকার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ডে আমরা শুধু ভ্যাকসিন তৈরি করিনি, অনেক ড্রাগের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করেছি। এগুলোর বাইরেও অক্সফোর্ডে অনেক কাজ হচ্ছে যা মহামারির সময় অনেক কাজে এসেছে। আমরা ঠিক করেছি যে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো এবং নিজেদের গবেষণার কাজে অর্থায়ন সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো। শুধু ভ্যাকসিন না মহামারির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের কিছু ফান্ডিং আছে। তবু আরও কিছু প্রয়োজন আছে, এসব কাজ করার জন্য। এর থেকে আমরা শিখেছি যে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিং খুবই জরুরি।’

বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অনেক গ্রুপের মধ্যে সহযোগিতা, গবেষকদের সঙ্গে সংযোগ। আমাদের বিভিন্ন ধরনের মানুষের প্রয়োজন হয়েছে। সুতরাং এই প্রেক্ষাপটে বলতে পারি যে বাংলাদেশের এরকম নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন অথবা যেই নেটওয়ার্ক আছে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। প্রতিযোগিতার মনোভাব না রেখে একসঙ্গে টিম হয়ে কাজ করতে হবে। যারা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করেন এবং তৈরি করেন তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। নতুন ভ্যাকসিন তৈরি কিংবা সেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করার জন্য একসঙ্গে কিভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হয়।’

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘আমরা এখানে টাকা কামানোর উপায় খুঁজছি না। আমাদের প্রচুর পরিমাণে টিকার প্রয়োজন। যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারলে সেটি খুব সহজে সম্ভব হবে। যদি সবাই নিজের জায়গায় আলাদা-আলাদা ভাবে কাজ করে তাহলে সেটি সহায়ক হবে না। আমাদের সবাইকে একত্রিত করতে হবে।’

ছবি

মেটা আরও ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করছে

ছবি

দেউলিয়া হওয়া ব্যাংক কিনতে চান ইলন মাস্ক

ছবি

দুই দিন না যেতেই শীর্ষ ধনীর তকমা হারালেন ইলন মাস্ক

ছবি

যেভাবে বিশ্বজুড়ে করা হচ্ছে কর্মী ছাঁটাই

ছবি

বরখাস্ত হয়ে নতুন কোম্পানি খুলছেন গুগলের ৭ কর্মী

ছবি

আর ইচ্ছেমতো প্রশ্ন নয় বিংকে

ছবি

ইউটিউবের সিইও হচ্ছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নিল মোহান

ছবি

এবার কর্মী ছাঁটাই করল মাইক্রোসফটের মালিকানাধীন লিংকডইন

ছবি

বিশ্ব বদলে দেবে চ্যাটজিপিটি প্রযুক্তি: বিল গেটস

ছবি

গুগলের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেমন হবে?

ছবি

এবার ২০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা ইয়াহুর

ছবি

সর্বোচ্চ ফেইসবুক ব্যবহারকারী তিন দেশের একটি বাংলাদেশ

ছবি

দু’মাসেই রেকর্ড করল চ্যাটজিপিটি

ছবি

হুয়াওয়ের কাছে প্রযুক্তি রপ্তানি ‘পুরোপুরি বন্ধ’ যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

স্মার্ট সমাজ বিনির্মাণের বার্তা দিয়ে শেষ হলো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’

ছবি

বিকাশের বিজ্ঞান উৎসবে ৩ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ছবি

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা হলো একটি মহাসড়ক: মোস্তাফা জব্বার

ছবি

বিজয় কি-বোর্ড ব্যবহারকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়: মোস্তাফা জব্বার

ছবি

অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপনমুক্ত টুইটার অ্যাকাউন্টের ঘোষণা মাস্কের

ছবি

ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের আবেগী চিঠি দিলেন পিচাই

ছবি

২৪তম আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াডে ১টি গোল্ডসহ বাংলাদেশের ১৩টি মেডেল অর্জন

ছবি

দেশে প্রথমবার দাগবিহীন থাইরয়েড সার্জারি করলেন ডা. মাহবুব

ছবি

৩৮ বছর পর পৃথিবীতে ‘আছড়ে পড়ছে’ নাসার স্যাটেলাইট

ছবি

ঢাকায় ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং হ্যাকাথনের রেজিস্ট্রেশন চলছে

ছবি

টুইটারে প্রকাশ করা যাবে এক ঘন্টার ভিডিও

ছবি

টুইটারের সিইও পদ ছাড়ার ঘোষণা ইলন মাস্কের, তবে...

ছবি

ডাক্তারদের বাজে হাতের লেখা ‘পড়ে দেবে’ গুগল

ছবি

শিক্ষা-তথ্য-বিনোদন ভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে প্রতিযোগিতা

ছবি

নিউক্লিয়ার ফিউশনে শক্তি তৈরিতে যুক্তরাষ্ট্রে সাফল্য

ছবি

টুইটারে আজ ফিরছে নীল টিক, আবারও গুনতে হবে টাকা

ছবি

গুগল গাইডিং স্টার স্বীকৃতি পেলেন ৭ বাংলাদেশী

ছবি

নিরাপত্তা ঝুঁকিতে অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক স্মার্টফোন

ছবি

আইএসপিএবি-নিক্স এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

ছবি

আলঝেইমার্সের নতুন ওষুধ জাগাচ্ছে আশার আলো

ছবি

কলম্বিয়ায় ১৯তম আন্তর্জাতিক জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াডে যাচ্ছে বাংলাদেশ

ছবি

যুব প্রতিবন্ধীদের গ্লোবাল আইটি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ থেকে তিন জন বিজয়ী

tab

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

ঢাকা লিট ফেস্ট

মহামারির আশঙ্কা সবসময়, প্রস্তুত থাকতে হবে: অ্যাস্ট্রাজেনেকার সারাহ গিলবার্ট

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৩

অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট বলেছেন, মহামারির আশঙ্কা সবসময় থাকে। আমাদের নিজেদের যথাযথ প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে যখনই মহামারি আসুক, তখন আমরা করোনার থেকেও ভালো রেসপন্স করতে পারি। আমরা যদি একটি ছড়িয়ে পড়া রোগ মহামারি হওয়া থেকে আটকে দিতে পারি, তাহলে অনেক অর্থ সাশ্রয় করা যাবে। আর তাতে বিশ্ব অর্থনীতি লাভবান হবে।

আজ শনিবার ঢাকা লিট ফেস্টের তৃতীয় দিনে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেশনে তিনি একথা বলেন। সেশনটি পরিচালনা করেন ঢাকা লিট ফেস্টের পরিচালক ও প্রযোজক সাদাফ সায্।

দর্শকদের প্রশ্নের জবাবে সারাহ বলেন, ‘নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে টিকা খুব ভালো কাজ করছে। ডিএনএ ও আরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিনের তাপমাত্রার তারতম্য হয়। ডিএনএ জীবনের মতো স্থায়িত্ব আছে কিন্তু আরএনএ’র অস্তিত্ব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। তাই তার প্রোটিন উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে অনেক নিম্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। ডিএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন অ্যাস্ট্রাজেনেকা, তাই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের থেকে বেশি তাপমাত্রায় তা ভালো থাকে। সুতরাং আরএনএ দিয়ে টিকা তৈরি করলে সেটিকে স্থিতিশীল রাখতে হলে কম তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে আসল ভ্যাকসিনটি এখনও বেশ ভালো কাজ করছে। যখন নতুন একটি ডোজ আপনার শরীরে প্রয়োগ করা হয় তখন সেটি আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। চতুর্থ ডোজের ক্ষেত্রে আমরা বিষয়টি বেশ ভালোভাবে লক্ষ্য করেছি। নতুন ভ্যারিয়েন্টের কথা মাথায় রেখে ভ্যাকসিন বদলাতে গেলে খুব বেশি একটা সুবিধা দেয় না। আবার নতুন টিকা তৈরি করা এবং উৎপাদন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর পুরো পৃথিবী জুড়েই টিকার প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ডে আমরা শুধু ভ্যাকসিন তৈরি করিনি, অনেক ড্রাগের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করেছি। এগুলোর বাইরেও অক্সফোর্ডে অনেক কাজ হচ্ছে যা মহামারির সময় অনেক কাজে এসেছে। আমরা ঠিক করেছি যে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো এবং নিজেদের গবেষণার কাজে অর্থায়ন সংগ্রহ করার চেষ্টা করবো। শুধু ভ্যাকসিন না মহামারির বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের কিছু ফান্ডিং আছে। তবু আরও কিছু প্রয়োজন আছে, এসব কাজ করার জন্য। এর থেকে আমরা শিখেছি যে সহযোগিতা এবং নেটওয়ার্কিং খুবই জরুরি।’

বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অনেক গ্রুপের মধ্যে সহযোগিতা, গবেষকদের সঙ্গে সংযোগ। আমাদের বিভিন্ন ধরনের মানুষের প্রয়োজন হয়েছে। সুতরাং এই প্রেক্ষাপটে বলতে পারি যে বাংলাদেশের এরকম নেটওয়ার্ক তৈরি করা প্রয়োজন অথবা যেই নেটওয়ার্ক আছে তার সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। প্রতিযোগিতার মনোভাব না রেখে একসঙ্গে টিম হয়ে কাজ করতে হবে। যারা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করেন এবং তৈরি করেন তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। নতুন ভ্যাকসিন তৈরি কিংবা সেই ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করার জন্য একসঙ্গে কিভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা যায় সেটা নিয়ে ভাবতে হয়।’

অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের সহ-উদ্ভাবক সারাহ গিলবার্ট বলেন, ‘আমরা এখানে টাকা কামানোর উপায় খুঁজছি না। আমাদের প্রচুর পরিমাণে টিকার প্রয়োজন। যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারলে সেটি খুব সহজে সম্ভব হবে। যদি সবাই নিজের জায়গায় আলাদা-আলাদা ভাবে কাজ করে তাহলে সেটি সহায়ক হবে না। আমাদের সবাইকে একত্রিত করতে হবে।’

back to top