কৃত্রিম উপগ্রহটি ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট (ইআরবিএস)’নামে পরিচিত। স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারের মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে এটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল যে এটি মাত্র ২ বছর কাজ করবে। কিন্তু ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা।
৩৮ বছরের দীর্ঘ জীবন শেষ। অবশেষে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মিলিয়ে যেতে চলেছে নাসার এক কৃত্রিম উপগ্রহ। এতে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছে, নাসা । এর বেশিরভাগটাই বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময়েই পুড়ে যাবে। সামান্য কিছু টুকরো পড়ে থাকতে পারে। তবে তাই নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। কৃত্রিম উপগ্রহটির মোট ওজন প্রায় ২,৪৫০ কিলোগ্রামবলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।
১৯৮৪ সালে ‘চ্যালেঞ্জার’ স্পেস শাটলের মাধ্যমে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, পৃথিবী কীভাবে সূর্য থেকে শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে তা নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে কেবল দুই বছরের জন্য নাসা একে মহাকাশে পাঠিয়েছিল।
নাসা বলেছে, পড়ন্ত এই স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ কারও ওপর পড়ার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। এইসব ধ্বংসস্তুপ ভূপৃষ্ঠের কোনো জনগোষ্ঠির ওপর সরাসরি এসে পড়লেও এতে শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি প্রায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ।
তবে, পৃথিবীর আনুমানিক জনসংখ্যা আটশ কোটি হওয়ায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগও ছোট কোনো সংখ্যা নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভূপৃষ্ঠে এটি আছড়ে পড়বে রোববার রাতে বা এর ১৭ ঘণ্টার মধ্যে।
তবে, ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের’ অনুমান বলছে, এটি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে সোমবার সকালে বা এর ১৩ ঘণ্টার মধ্যে।
স্যাটেলাইটটি আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে পশ্চিমাংশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে স্কাই।
মহাকাশযান চ্যালেঞ্জারের রোবটিক বাহুর সহায়তায় ‘ইআরবিএস’কে কক্ষপথে পাঠিয়েছিলেন মহাকাশে যাওয়া প্রথম মার্কিন নারী স্যালি রাইড।
রাইডের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ মহাকাশ অভিযান ছিল এটি। ২০১২ সালে তিনি মারা যান। একই মিশনের অংশ ছিলেন ‘মহাকাশে হাটা’ প্রথম মার্কিন নারী নভোচারী ক্যাথরিন সালিভান।
রোববার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৩
কৃত্রিম উপগ্রহটি ‘আর্থ রেডিয়েশন বাজেট স্যাটেলাইট (ইআরবিএস)’নামে পরিচিত। স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জারের মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে এটি মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল যে এটি মাত্র ২ বছর কাজ করবে। কিন্তু ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি ব্যবহার করতে সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা।
৩৮ বছরের দীর্ঘ জীবন শেষ। অবশেষে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে মিলিয়ে যেতে চলেছে নাসার এক কৃত্রিম উপগ্রহ। এতে ভয়ের কিছু নেই বলে জানিয়েছে, নাসা । এর বেশিরভাগটাই বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময়েই পুড়ে যাবে। সামান্য কিছু টুকরো পড়ে থাকতে পারে। তবে তাই নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। কৃত্রিম উপগ্রহটির মোট ওজন প্রায় ২,৪৫০ কিলোগ্রামবলে উঠে এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে।
১৯৮৪ সালে ‘চ্যালেঞ্জার’ স্পেস শাটলের মাধ্যমে এটি মহাকাশে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, পৃথিবী কীভাবে সূর্য থেকে শক্তি শোষণ ও বিকিরণ করে তা নিয়ে গবেষণার উদ্দেশ্যে কেবল দুই বছরের জন্য নাসা একে মহাকাশে পাঠিয়েছিল।
নাসা বলেছে, পড়ন্ত এই স্যাটেলাইটের ধ্বংসাবশেষ কারও ওপর পড়ার সম্ভাবনা ‘খুবই কম’। এইসব ধ্বংসস্তুপ ভূপৃষ্ঠের কোনো জনগোষ্ঠির ওপর সরাসরি এসে পড়লেও এতে শারীরিক আঘাতের ঝুঁকি প্রায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ।
তবে, পৃথিবীর আনুমানিক জনসংখ্যা আটশ কোটি হওয়ায় ১০ হাজার ভাগের এক ভাগও ছোট কোনো সংখ্যা নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ভূপৃষ্ঠে এটি আছড়ে পড়বে রোববার রাতে বা এর ১৭ ঘণ্টার মধ্যে।
তবে, ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ‘অ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের’ অনুমান বলছে, এটি ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়তে পারে সোমবার সকালে বা এর ১৩ ঘণ্টার মধ্যে।
স্যাটেলাইটটি আফ্রিকা, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের সবচেয়ে পশ্চিমাংশের ওপর দিয়ে অতিক্রম করতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে স্কাই।
মহাকাশযান চ্যালেঞ্জারের রোবটিক বাহুর সহায়তায় ‘ইআরবিএস’কে কক্ষপথে পাঠিয়েছিলেন মহাকাশে যাওয়া প্রথম মার্কিন নারী স্যালি রাইড।
রাইডের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ মহাকাশ অভিযান ছিল এটি। ২০১২ সালে তিনি মারা যান। একই মিশনের অংশ ছিলেন ‘মহাকাশে হাটা’ প্রথম মার্কিন নারী নভোচারী ক্যাথরিন সালিভান।