আজ ৩রা ফেব্রুয়ারি সোমবার বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের পথিকৃত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবিরের ১০৩ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে। জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় তাকে শ্মরণ করেছে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। সোমবার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আহমদুল কবিরকে শ্মরণ ও শ্রদ্ধা-ভালবাসা জানাতে তার গ্রামের বাড়ি ঘোড়াশালের মিয়া বাড়িতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানমালায় ছিল : আহমদুল কবিরের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, কোরানখানী, দুস্থ-গরীবদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ ইত্যাদি। এছাড়াও জন্মদিনের কেককাটা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা হয়।
আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন সংবাদ পরিবার ও এলাকাবাসি
নরসিংদী ঘোড়াশালে আহমদুল কবিরের গ্রামের বাড়িতে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আহমদুল কবিরকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংবাদপত্র-সাংবাদিকতা জগতের প্রবাদ পুরুষ হিসেবে উল্লেখ করে তার মতো ক্ষনজন্মা আদর্শবাদী ব্যক্তিত্বের বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল বলে অভিমত দেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ঘোড়াশালে বিভিন্ন এলাকা থেকে সবস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করেন। এসময় তারা আহমদুল কবিরের রাজনৈতিক জীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং সাংবাদিকতায় তার বস্তুনিষ্ঠ অবদান সম্পর্কে তাদের অভিমত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আহমদুল কবির ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী, নির্লোভ এবং মেহনতি মানুষের সেবায় নিবেদিত রাজনীতিক।
জন্মদিনের কেক কাটেন সৃতিসংসদের সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির
আহমদুল কবিরের জন্মদিনে সকালে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আহমদুল কবির এর বড় ছেলে সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, তার মেয়ে ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির, পাঁচদোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন প্রধান, মেসার্স ইসলাম ট্রান্সপোর্ট -এর লোকমান হোসেন, ঘোড়াশাল পৌরসভার পক্ষ থেকে সাবেক কমিশনার নুরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় মিয়ার কবর জিয়ারত করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মো: রুহুল আমিন। এসময় ঘোড়াশালের বিভিন্ন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির ও স্মৃতিসংসদের সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির।
জন্মদিনে স্কুল ও মাদ্রাসার ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক কাটা হয়। কেক কাটায় উপস্থিত ছিলেন আলতামাশ কবির, নিহাদ কবিরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় আলতামাশ কবির ও নিহাদ কবির তার প্রয়াত পিতার জন্য সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ জানান। এলাকার বিশিস্ট ব্যক্তিরা আহমদুল কবিরের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
খাবার বিতরণ করেন সৃতিসংসদের সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির
জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাদ ফজর ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ি মসজিদে কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মাওলানারা। কোরানখানি শেষে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র এবং স্থাণীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রকাশনার পথিকৃত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির পাকিস্তান আমলে পঞ্চাশের দশকে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে সব ধরনের খবর পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়ায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন দৈনিক সংবাদ-এর মধ্যদিয়ে। তার প্রচলিত ধারায় বাংলাদেশে সংবাদপত্র প্রকাশের ভিন্নরকম চেতনা জাগরিত হয়েছিল।
আহমদুল কবির ছিলেন সংবাদ-এর প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত। ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালের ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন। ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আহমদুল কবির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর প্রথম ভিপি। ১৯৬৫ সালে আহমদুল কবির ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। সংবাদপত্রকে তিনি তার রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার ও স্বকীয় প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন।
সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
আজ ৩রা ফেব্রুয়ারি সোমবার বাংলাদেশের সংবাদপত্র জগতের পথিকৃত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবিরের ১০৩ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে। জন্মদিনে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় তাকে শ্মরণ করেছে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। সোমবার জন্মদিন উপলক্ষ্যে আহমদুল কবিরকে শ্মরণ ও শ্রদ্ধা-ভালবাসা জানাতে তার গ্রামের বাড়ি ঘোড়াশালের মিয়া বাড়িতে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানমালায় ছিল : আহমদুল কবিরের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, কোরানখানী, দুস্থ-গরীবদের মাঝে উন্নতমানের খাবার বিতরণ ইত্যাদি। এছাড়াও জন্মদিনের কেককাটা ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা হয়।
আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন সংবাদ পরিবার ও এলাকাবাসি
নরসিংদী ঘোড়াশালে আহমদুল কবিরের গ্রামের বাড়িতে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা আহমদুল কবিরকে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সংবাদপত্র-সাংবাদিকতা জগতের প্রবাদ পুরুষ হিসেবে উল্লেখ করে তার মতো ক্ষনজন্মা আদর্শবাদী ব্যক্তিত্বের বর্তমান সময়ে অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল বলে অভিমত দেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ঘোড়াশালে বিভিন্ন এলাকা থেকে সবস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করেন। এসময় তারা আহমদুল কবিরের রাজনৈতিক জীবন ও সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং সাংবাদিকতায় তার বস্তুনিষ্ঠ অবদান সম্পর্কে তাদের অভিমত প্রকাশ করেন। তারা বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আহমদুল কবির ছিলেন ব্যতিক্রমধর্মী, নির্লোভ এবং মেহনতি মানুষের সেবায় নিবেদিত রাজনীতিক।
জন্মদিনের কেক কাটেন সৃতিসংসদের সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির
আহমদুল কবিরের জন্মদিনে সকালে তাঁর কবরে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আহমদুল কবির এর বড় ছেলে সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির, তার মেয়ে ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির, পাঁচদোনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন প্রধান, মেসার্স ইসলাম ট্রান্সপোর্ট -এর লোকমান হোসেন, ঘোড়াশাল পৌরসভার পক্ষ থেকে সাবেক কমিশনার নুরুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় মিয়ার কবর জিয়ারত করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মো: রুহুল আমিন। এসময় ঘোড়াশালের বিভিন্ন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন সংবাদের সম্পাদক আলতামাশ কবির ও স্মৃতিসংসদের সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির।
জন্মদিনে স্কুল ও মাদ্রাসার ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিয়ে কেক কাটা হয়। কেক কাটায় উপস্থিত ছিলেন আলতামাশ কবির, নিহাদ কবিরসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় আলতামাশ কবির ও নিহাদ কবির তার প্রয়াত পিতার জন্য সবাইকে দোয়া করার অনুরোধ জানান। এলাকার বিশিস্ট ব্যক্তিরা আহমদুল কবিরের জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
খাবার বিতরণ করেন সৃতিসংসদের সভাপতি ব্যারিষ্টার নিহাদ কবির
জন্মদিন উপলক্ষ্যে বাদ ফজর ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ি মসজিদে কোরানখানি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও মাওলানারা। কোরানখানি শেষে দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন মাদ্রাসার ছাত্র এবং স্থাণীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রকাশনার পথিকৃত ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির পাকিস্তান আমলে পঞ্চাশের দশকে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের কাছে সব ধরনের খবর পৌছে দেয়ার প্রক্রিয়ায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছিলেন দৈনিক সংবাদ-এর মধ্যদিয়ে। তার প্রচলিত ধারায় বাংলাদেশে সংবাদপত্র প্রকাশের ভিন্নরকম চেতনা জাগরিত হয়েছিল।
আহমদুল কবির ছিলেন সংবাদ-এর প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত। ১৯২৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীর ঘোড়াশালের ঐতিহ্যবাহী মিয়া বাড়িতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম আবু ইউসুফ লুৎফুল কবির ছিলেন ঘোড়াশালের জমিদার। মায়ের নাম মরহুমা সুফিয়া খাতুন। ২০০৩ সালের ২৪ নভেম্বর কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আহমদুল কবির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর প্রথম ভিপি। ১৯৬৫ সালে আহমদুল কবির ন্যাপের প্রার্থী হিসেবে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক জীবনের পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেন। সংবাদপত্রকে তিনি তার রাজনৈতিক আদর্শ প্রচার ও স্বকীয় প্রতিভা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন।