বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রাজধানীতে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ২৭৫ জন। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে এরা নিহত হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ নিহত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষে। ঢামেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের ১৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন- কাজলা ফুটওভার ব্রিজের নিচে গুলিবিদ্ধ হওয়া রাসেল (২৮), তুলারাম কলেজের সাবেক ছাত্র আ. রহমান (২২), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ রাকিব (২২) ও মানিক মিয়া (২৫), নবাবপুর ইলেকট্রিক দোকানি সাইফুল ইসলাম তন্ময় (২২), শনিরআকড়া কুতুবখালী এলাকায় গুলিতে নিহত হওয়া সৌদি প্রবাসী আবু ইসহাক (৫২), যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তের সামনে গুলিতে নিহত মাছ ব্যবসায়ী আজমত (৪০), ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারী লিটন উদ্দিন (৩২), হালিম বিক্রেতা শাওন (১৪), ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী আব্দুল হান্নান (৫০), ইয়াসিন (২৪), শাহিন (২২), শাহসুলতান কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাকিল (২১), আব্দুল নুর (৩০), বাংলামোটরে গুলিতে নিহত শরীয়তপুর পলিটেকনিক্যাল করেজের ছাত্র ইসমাইল রাব্বি (২২), বংলাশে গুলিতে নিহত টাইলস মিস্ত্রি রনি (১৭), জেসন পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র হামিদুর রহমান (২২), মনোয়ার (৫০), বাড্ডায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের স্টাফ রায়হান (২১)। বাকি ২৪ জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের অজ্ঞাত হিসেবে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন জানান, সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় থেকে তিন শতাধিকের বেশি মানুষ এসেছেন। এদের মধ্যে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অনেকে ভর্তি রয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৩টার পর থেকেই রাজাধানীর উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাও করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ অবস্থায় থানা থেকে অনবরত ছুড়তে থাকা রাবার বুলেট ও গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। থানা ঘিরে রেখেছে শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা। থানার ছাদ থেকে সিভিল ড্রেসে ২ জনকে রাবার বুলেট ও গুলি চালাতে দেখা গেছে। উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেখানে ১০ জনের মরদেহ আছে। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি থানা থেকে শুরু করে শাহজালাল বিমানবন্দরে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আগুন ও পুলিশ হেডকোয়াটারও রক্ষা পায়নি হামলার হাত থেকে। দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ দখলে নেয়ার পর অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে শুরু হওয়া তান্ডব ছড়িয়ে পড়ে গুলিস্তান, বাংলামোটর, মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা, যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষেরই কয়েক শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ শতাধিক। যাদের প্রায় সবাই গুলিবিদ্ধ।
মঙ্গলবার, ০৬ আগস্ট ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে রাজধানীতে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন ২৭৫ জন। আহতদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষে এরা নিহত হন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ নিহত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষে। ঢামেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
নিহতদের ১৯ জনের নাম পাওয়া গেছে। এরা হলেন- কাজলা ফুটওভার ব্রিজের নিচে গুলিবিদ্ধ হওয়া রাসেল (২৮), তুলারাম কলেজের সাবেক ছাত্র আ. রহমান (২২), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে গুলিবিদ্ধ রাকিব (২২) ও মানিক মিয়া (২৫), নবাবপুর ইলেকট্রিক দোকানি সাইফুল ইসলাম তন্ময় (২২), শনিরআকড়া কুতুবখালী এলাকায় গুলিতে নিহত হওয়া সৌদি প্রবাসী আবু ইসহাক (৫২), যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তের সামনে গুলিতে নিহত মাছ ব্যবসায়ী আজমত (৪০), ইলেকট্রিক দোকানের কর্মচারী লিটন উদ্দিন (৩২), হালিম বিক্রেতা শাওন (১৪), ফার্নিচারের দোকানের কর্মচারী আব্দুল হান্নান (৫০), ইয়াসিন (২৪), শাহিন (২২), শাহসুলতান কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাকিল (২১), আব্দুল নুর (৩০), বাংলামোটরে গুলিতে নিহত শরীয়তপুর পলিটেকনিক্যাল করেজের ছাত্র ইসমাইল রাব্বি (২২), বংলাশে গুলিতে নিহত টাইলস মিস্ত্রি রনি (১৭), জেসন পলিটেকনিক্যাল কলেজের ছাত্র হামিদুর রহমান (২২), মনোয়ার (৫০), বাড্ডায় সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের স্টাফ রায়হান (২১)। বাকি ২৪ জনের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তাদের অজ্ঞাত হিসেবে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদের বয়স ১৮ থেকে ৪০ এর মধ্যে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন জানান, সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় থেকে তিন শতাধিকের বেশি মানুষ এসেছেন। এদের মধ্যে রাত ৮টা পর্যন্ত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। কয়েকজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় অনেকে ভর্তি রয়েছেন।
সোমবার বিকেল ৩টার পর থেকেই রাজাধানীর উত্তরা পূর্ব থানা ঘেরাও করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ অবস্থায় থানা থেকে অনবরত ছুড়তে থাকা রাবার বুলেট ও গুলিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক। থানা ঘিরে রেখেছে শত শত বিক্ষুব্ধ জনতা। থানার ছাদ থেকে সিভিল ড্রেসে ২ জনকে রাবার বুলেট ও গুলি চালাতে দেখা গেছে। উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেখানে ১০ জনের মরদেহ আছে। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জানা গেছে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ীসহ কয়েকটি থানা থেকে শুরু করে শাহজালাল বিমানবন্দরে, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আগুন ও পুলিশ হেডকোয়াটারও রক্ষা পায়নি হামলার হাত থেকে। দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ দখলে নেয়ার পর অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে শুরু হওয়া তান্ডব ছড়িয়ে পড়ে গুলিস্তান, বাংলামোটর, মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, ঝিগাতলা, যাত্রাবাড়ী, পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়। দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষেরই কয়েক শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কমপক্ষে তিন শতাধিক। আহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ২ শতাধিক। যাদের প্রায় সবাই গুলিবিদ্ধ।