কিশোর-কিশোরীদের যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ে জানতে হবে। এই বিষয়টি এখনো স্কুলে ভালো ভাবে পড়ানো হয় না। শিক্ষকদের মধ্যেও আছে অনেক জড়তা। এই জড়তা কাটাতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দেওয়ার পাশাপাশি এই বিষয়টি চিকিৎসকদের দিয়ে পড়ানোরও পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞগন।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘একাত্তরের বিশেষ নীতি সংলাপ: নগরের কিশোর-কিশোরী ও মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বেসরকারী সংংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। এ সময় সংস্থাটি কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘নারীর কথা আসলেই শুধু নারীর প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে কথা বলা হয়, নারীকে কখনো সোশ্যাল (সামজিক) ভাবা হয় না। তাদের যে শুধু প্রজনন বা মিনস্ট্রুয়াল সমস্যা আছে তা কিন্তু নয়। মেয়ে শিশুর বেড়ে ওঠা নিয়ে বর্তমান সমাজের ভাবনাগুলো এখনো অনেক সিমীত বলে অভিযোগ করেন ।
কিশোর-কিশোরী, নারীদের মানসিকভাবে সচেতন করতে আরো বেশী প্রচারে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার তাগিদ দিয়ে এই শিক্ষক আরো বলেন, নারীদের ইনফরমেশন গ্যাদার (তথ্যে সমৃদ্ধ)করতে হবে। কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, এজন্য নারী বান্ধব পলিসির মধ্যে জাতীয় নারী নীতি আনলে ভালো হয়।
স্কুল ও পাবলিক টয়লেটগুলো পরিস্কার রাখা, ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখা ও নাম মুল্যে মিনস্ট্রিুয়াল প্যাড রাখার দাবি জানিয়ে শিশু প্রতিনিধিরা বলে, স্কুলে আমাদের ৬ থেকে ৮ ঘন্টা থাকতে হয়। ওয়াশরুম নোংরা থাকার কারণে অনেক সময় মেয়েরা ওয়াশরুম ব্যবহার করতে চায় না। আবার হাতের কাছে স্যানিটারী প্যাড থাকলেও দাম বেশী হওয়ায় তারা চাইলেও তা ব্যবহার করতে পারে না। যার কারণে অনেক সময় ছোট বেলা থেকেই তারা নানা অসুখ বহন করতে থাকে, যা বেশীরভাগ সময় বুঝতেই পারে না। পূর্ণ বয়স্ক হতে হতেই এই অসুখ ভয়ংকর আকার ধারণ করে। যার পরিনতি হিসেবে অনেক সময় জীবন দিয়ে এর মূল্য দিতে হয়।
তাদের কথাকে সমর্থন করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল উপস্থিত সমবায় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, স্কুলগুলোসহ পাবলিক টয়লেটে কেন স্যানিটারী প্যাড রাখা হয় না, নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে প্যাড অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। যদি (প্যাড) ফ্রী রাখা যায় তাহলে আরো ভালো হয়।
তিনি বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীতে যে চ্যাপটার আছে তা এখনো স্কুলে ঠিকভাবে পড়ানো হয় না। এ বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো দরকার। সেই সাথে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। তারা যেন পরিস্কারভাবে নারী স্বাস্থ্য নিয়ে বাচ্চাদের পড়াতে পারে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে হরমোনের বিষয়গুলো আনা উচিত ছিলো জানিয়ে ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অব কার্ডিও ভাসক্যুলার ডিজিজ এর পেড্রিয়াটিক কার্ডিওলজির প্রধান প্রফেসর আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার বলেন, মেয়ে শিশুদের জন্য হরমোনের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। এই বিষয়টি কিভাবে এই জরিপ থেকে বাদ পড়লো তা বোধগম্য নয়। এ ছাড়া আরবান স্কুলের বিষয়ট্রি এই্ জরিপে আসলে আরো সমৃদ্ধ হতো বলে তিনি বলেন।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের গাইনোকলজি ও অবসটেটরিকস এর প্রধান প্রফেসর মুনা শালিমা জাহান জরিপ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ এই জরিপে মেইন ফোকাস ছিলো মাসিক নিয়ে। কিন্তু ছেলেদেরও অনেক সমস্য থাকে তা আনা হয় নাই। এটি আনলে বোঝা যেতো কে কেমন অবস্থানে আছে। মেন্টাল হেল্থ (মানসিক স্বাস্থ্য) এই জরিপে রাখা সঠিক হয় নাই জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, সরকারের কিছু ক্লিনিক আছে সেগুলো আনা দরকার ছিলো এই জরিপে, তাহলে কিছু বিষয় আরো স্পষ্ট হতো।’
টে´ট বইয়ে প্রজনন স্বাস্থ্য চ্যাপ্টার চিকিৎসকদের দিয়ে পড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এই চিকিৎসক আরো বলেন, ‘চিকিৎসকরা প্রতিটা বডিপার্ট নিয়ে কথা বলতে পারবেন. বোঝাতে পারবেন চমৎকারভাবে। তাই তাদেরকে দিয়ে এ কাজটি করানো যেতে পারে।’
মনিটরিং ও ইনফ্রাসট্রাকচারের (অবকাঠামো) সমস্যা আছে স্বীকার করে সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘রুরালে (গ্রামে) যেভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে আরবানে (শহরে) সেভাবে হয় নাই। এটা না হওয়ার কারনে ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এতো চাপ। এদিকে নজরদারী বাগড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে প্যাড রাখতে পারে। আবার অনেক কিছু আছে কিন্তু সুইপার নাই।’
জরিপে তৃতীয় লিঙ্গদের বিষয়টি না রাখায় সমালোচনা করে সংসদ সদস্য বলেন, ‘এদের কথা রাখা উচিত ছিলো। আর মাত্র ১২০টি স্কুল স্যাম্পল হিসেবে নিয়ে জরিপ কতোটা বিশ্বাসযোগ্য তা ভাবার বিষয়।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘হতাশার কোনো কারণ নাই। ৯৪ ডলার দিয়ে শুরু করা আমাদের দেশে এখন মাথা পিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ ডলার (মার্কিন)। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি যেভাবে তা এখন বিশ্বে রোল মডেল। সুতরাং আজ যে জরিপ উপস্থাপন করা হয়েছে সামনে তা থেকে আমাদের উত্তোরন ঘটবে।’
মন্ত্রী বলেন, সবকিছু সরকার করবে এমন ভাবা ঠিক না। সমন্বিতভাবে এগিয়ে গেলেই আমরা রোল মডেল হিসেবে মাথা তলে দাড়াতে পারবো। সমন্বয়ের কোনো সীমা নাই। যতো বেশী সমন্বয় করা যাবে ততো ভালো ফল আসবে।
স্যানিটারী প্যাড ফ্রীতে না দিয়ে স্বল্পমূল্যে কিভাবে দেওয়া যায় সেই বিষয়টি দেখবেন আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘সাবসিটি বিষয়টি ভালো না। এতে করে জিনিষের অবমূল্যায়ন হয়। তাই বিভিন্ন এলাকায় স্যানিটারি প্যাড ফ্রীতে না দিয়ে স্বল্পমূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেইটা দেখবো।’
জরীপ নিয়ে কিছু বিষয়ে মন্ত্রীও দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, দেশে ৫৩% কিশোরীর বাচ্চা হচ্ছে এইটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে দেখা দরকার। কেননা একটা জরীপ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিদেশীরা ইস্যূ করতে পারে। তাই যে কোনো জরিপ করতে হলে তা আরো বেশী সংখ্যক মতের ভিত্তিতে হলে ভালো হয়।
সভায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল লতিফ মোল্লা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সিইও মো. সেলিম রেজা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ.জেনারেল একেএম সাইফুর রহমান, ব্রাক হেলখ প্রোগ্রামের প্রধান ড, মো. শাহিনুল হক রিপন, এসওএস এর প্রোগ্রাম পরিচালক ড. মো. আশরাফ হোসেন, টিএমএসএস-এর, উপ-পরিচালক শাকিল বিন আজাদ (রোমি), সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের জেনারেল ম্যানেজার কর্ণেল মোহাম্মদ ইফতেখারুল হক, পিএসসি (অব.)সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কিশোর-কিশোরীদের যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ে জানতে হবে। এই বিষয়টি এখনো স্কুলে ভালো ভাবে পড়ানো হয় না। শিক্ষকদের মধ্যেও আছে অনেক জড়তা। এই জড়তা কাটাতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দেওয়ার পাশাপাশি এই বিষয়টি চিকিৎসকদের দিয়ে পড়ানোরও পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞগন।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘একাত্তরের বিশেষ নীতি সংলাপ: নগরের কিশোর-কিশোরী ও মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য প্রশ্ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে বেসরকারী সংংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ। এ সময় সংস্থাটি কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘নারীর কথা আসলেই শুধু নারীর প্রজনন ক্ষমতা নিয়ে কথা বলা হয়, নারীকে কখনো সোশ্যাল (সামজিক) ভাবা হয় না। তাদের যে শুধু প্রজনন বা মিনস্ট্রুয়াল সমস্যা আছে তা কিন্তু নয়। মেয়ে শিশুর বেড়ে ওঠা নিয়ে বর্তমান সমাজের ভাবনাগুলো এখনো অনেক সিমীত বলে অভিযোগ করেন ।
কিশোর-কিশোরী, নারীদের মানসিকভাবে সচেতন করতে আরো বেশী প্রচারে গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার তাগিদ দিয়ে এই শিক্ষক আরো বলেন, নারীদের ইনফরমেশন গ্যাদার (তথ্যে সমৃদ্ধ)করতে হবে। কাঠামোগত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব, এজন্য নারী বান্ধব পলিসির মধ্যে জাতীয় নারী নীতি আনলে ভালো হয়।
স্কুল ও পাবলিক টয়লেটগুলো পরিস্কার রাখা, ময়লা ফেলার ঝুড়ি রাখা ও নাম মুল্যে মিনস্ট্রিুয়াল প্যাড রাখার দাবি জানিয়ে শিশু প্রতিনিধিরা বলে, স্কুলে আমাদের ৬ থেকে ৮ ঘন্টা থাকতে হয়। ওয়াশরুম নোংরা থাকার কারণে অনেক সময় মেয়েরা ওয়াশরুম ব্যবহার করতে চায় না। আবার হাতের কাছে স্যানিটারী প্যাড থাকলেও দাম বেশী হওয়ায় তারা চাইলেও তা ব্যবহার করতে পারে না। যার কারণে অনেক সময় ছোট বেলা থেকেই তারা নানা অসুখ বহন করতে থাকে, যা বেশীরভাগ সময় বুঝতেই পারে না। পূর্ণ বয়স্ক হতে হতেই এই অসুখ ভয়ংকর আকার ধারণ করে। যার পরিনতি হিসেবে অনেক সময় জীবন দিয়ে এর মূল্য দিতে হয়।
তাদের কথাকে সমর্থন করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল উপস্থিত সমবায় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, স্কুলগুলোসহ পাবলিক টয়লেটে কেন স্যানিটারী প্যাড রাখা হয় না, নারীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে প্যাড অনেক সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে। যদি (প্যাড) ফ্রী রাখা যায় তাহলে আরো ভালো হয়।
তিনি বলেন, প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে ৯ম ও ১০ম শ্রেণীতে যে চ্যাপটার আছে তা এখনো স্কুলে ঠিকভাবে পড়ানো হয় না। এ বিষয়ে মনিটরিং বাড়ানো দরকার। সেই সাথে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। তারা যেন পরিস্কারভাবে নারী স্বাস্থ্য নিয়ে বাচ্চাদের পড়াতে পারে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন প্রকাশিত জরিপ প্রতিবেদনে হরমোনের বিষয়গুলো আনা উচিত ছিলো জানিয়ে ন্যাশনাল ইন্সিটিউট অব কার্ডিও ভাসক্যুলার ডিজিজ এর পেড্রিয়াটিক কার্ডিওলজির প্রধান প্রফেসর আব্দুল্লাহ শাহরিয়ার বলেন, মেয়ে শিশুদের জন্য হরমোনের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। এই বিষয়টি কিভাবে এই জরিপ থেকে বাদ পড়লো তা বোধগম্য নয়। এ ছাড়া আরবান স্কুলের বিষয়ট্রি এই্ জরিপে আসলে আরো সমৃদ্ধ হতো বলে তিনি বলেন।
সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের গাইনোকলজি ও অবসটেটরিকস এর প্রধান প্রফেসর মুনা শালিমা জাহান জরিপ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ এই জরিপে মেইন ফোকাস ছিলো মাসিক নিয়ে। কিন্তু ছেলেদেরও অনেক সমস্য থাকে তা আনা হয় নাই। এটি আনলে বোঝা যেতো কে কেমন অবস্থানে আছে। মেন্টাল হেল্থ (মানসিক স্বাস্থ্য) এই জরিপে রাখা সঠিক হয় নাই জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, সরকারের কিছু ক্লিনিক আছে সেগুলো আনা দরকার ছিলো এই জরিপে, তাহলে কিছু বিষয় আরো স্পষ্ট হতো।’
টে´ট বইয়ে প্রজনন স্বাস্থ্য চ্যাপ্টার চিকিৎসকদের দিয়ে পড়ানোর পরামর্শ দিয়ে এই চিকিৎসক আরো বলেন, ‘চিকিৎসকরা প্রতিটা বডিপার্ট নিয়ে কথা বলতে পারবেন. বোঝাতে পারবেন চমৎকারভাবে। তাই তাদেরকে দিয়ে এ কাজটি করানো যেতে পারে।’
মনিটরিং ও ইনফ্রাসট্রাকচারের (অবকাঠামো) সমস্যা আছে স্বীকার করে সংসদ সদস্য ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘রুরালে (গ্রামে) যেভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে আরবানে (শহরে) সেভাবে হয় নাই। এটা না হওয়ার কারনে ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে এতো চাপ। এদিকে নজরদারী বাগড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ চাইলে প্যাড রাখতে পারে। আবার অনেক কিছু আছে কিন্তু সুইপার নাই।’
জরিপে তৃতীয় লিঙ্গদের বিষয়টি না রাখায় সমালোচনা করে সংসদ সদস্য বলেন, ‘এদের কথা রাখা উচিত ছিলো। আর মাত্র ১২০টি স্কুল স্যাম্পল হিসেবে নিয়ে জরিপ কতোটা বিশ্বাসযোগ্য তা ভাবার বিষয়।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি বলেন, ‘হতাশার কোনো কারণ নাই। ৯৪ ডলার দিয়ে শুরু করা আমাদের দেশে এখন মাথা পিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ ডলার (মার্কিন)। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি যেভাবে তা এখন বিশ্বে রোল মডেল। সুতরাং আজ যে জরিপ উপস্থাপন করা হয়েছে সামনে তা থেকে আমাদের উত্তোরন ঘটবে।’
মন্ত্রী বলেন, সবকিছু সরকার করবে এমন ভাবা ঠিক না। সমন্বিতভাবে এগিয়ে গেলেই আমরা রোল মডেল হিসেবে মাথা তলে দাড়াতে পারবো। সমন্বয়ের কোনো সীমা নাই। যতো বেশী সমন্বয় করা যাবে ততো ভালো ফল আসবে।
স্যানিটারী প্যাড ফ্রীতে না দিয়ে স্বল্পমূল্যে কিভাবে দেওয়া যায় সেই বিষয়টি দেখবেন আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, ‘সাবসিটি বিষয়টি ভালো না। এতে করে জিনিষের অবমূল্যায়ন হয়। তাই বিভিন্ন এলাকায় স্যানিটারি প্যাড ফ্রীতে না দিয়ে স্বল্পমূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেইটা দেখবো।’
জরীপ নিয়ে কিছু বিষয়ে মন্ত্রীও দ্বিমত প্রকাশ করে বলেন, দেশে ৫৩% কিশোরীর বাচ্চা হচ্ছে এইটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। বিষয়গুলো আরো ভালোভাবে দেখা দরকার। কেননা একটা জরীপ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। অনেক সময় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিদেশীরা ইস্যূ করতে পারে। তাই যে কোনো জরিপ করতে হলে তা আরো বেশী সংখ্যক মতের ভিত্তিতে হলে ভালো হয়।
সভায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক আব্দুল লতিফ মোল্লা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সিইও মো. সেলিম রেজা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগ.জেনারেল একেএম সাইফুর রহমান, ব্রাক হেলখ প্রোগ্রামের প্রধান ড, মো. শাহিনুল হক রিপন, এসওএস এর প্রোগ্রাম পরিচালক ড. মো. আশরাফ হোসেন, টিএমএসএস-এর, উপ-পরিচালক শাকিল বিন আজাদ (রোমি), সূর্যের হাসি নেটওয়ার্কের জেনারেল ম্যানেজার কর্ণেল মোহাম্মদ ইফতেখারুল হক, পিএসসি (অব.)সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।