alt

জাতীয়

নারীদের নেতৃত্বে এনে জাতিসংঘকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের জীবনে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলতে তাদের অবশ্যই নেতৃত্বের অবস্থানে থাকতে হবে। তাই, নারীদের নেতৃত্বে এনে জাতিসংঘকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রতিনিধি ডাইনিং রুমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারদের বার্ষিক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কর্মকাণ্ডকে অংশগ্রহণ থেকে নেতৃত্বে উন্নীত করতে হবে এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। এটা দুঃখজনক যে, জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে এখন পর্যন্ত কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সময় এসেছে, আমরা শিগগিরই একজনকে পাবো। আমাদের অবশ্যই নিজেদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি বাড়াতে হবে যাতে সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা একটি আদর্শ হয়ে ওঠে। নারীর অংশগ্রহণকে উচ্চতর পর্যায়ে এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। নেতা হিসাবে, আমাদের তাদের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে এবং তাদের এই বিষয়ে সাহসী উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি দেশ আলাদা এবং তাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে। তবে, সবাই যেহেতু ঐতিহাসিক এজেন্ডা ২০৩০ গ্রহণ করেছে সেহেতু তাদের লিঙ্গ সমতা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা উচিত। আমরা কোনো অবস্থাতেই সেই অঙ্গীকার থেকে পিছিয়ে যেতে পারি না। নারী নেত্রী হিসেবে, সব নারীর পাশে দাঁড়ানো এবং অন্যদের পথ দেখাতে পারে এমন উদাহরণ তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব। একটি লিঙ্গ-সমতার বিশ্ব অর্জনের জন্য অবশ্যই আমাদের অবস্থান এবং শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে সূচনা হওয়ার পর থেকে এই প্ল্যাটফর্মটি খুবই দরকারি কাজ করছে। এখানে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখি যে কিভাবে স্থানীয় সমাধানগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যাকে পেছনে ফেলে শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং স্থায়ীত্ব অর্জনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা কোনো ফল দেবে না। লিঙ্গ সমতা একটি বিকল্প নয় বরং একটি ন্যায্য ও ন্যায় সম্মত বিশ্ব অর্জনের জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশ একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে, যার ফলে জনগণ ছাড়া আর কোনো সম্পদ ছিল না। সুতরাং আমরা আমাদের সমগ্র মানব সম্পদ পুঁজিকে কাজে লাগানোর এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আমাদের সমান অংশীদার হিসেবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আমরা জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি গ্রহণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার মেয়েদের শিক্ষা ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে বই দেওয়ার পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের ৬০ শতাংশ স্কুল শিক্ষক মহিলা এবং দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে ৪০ লাখেরও বেশি মহিলা কর্মরত রয়েছে। আমরা নারী উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করতে এবং তাদের অর্থায়নে সহায়তা করার জন্য নির্দিষ্ট নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রেয়াতি হারে ঋণ নিশ্চিত করেছি। ব্যবসায়িক উদ্যোগে নারীদের প্রচার ও সহায়তার জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে আসীন হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য দুয়ার অবারিত করেছে। নারীরা এখন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক, রাষ্ট্রদূত, বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চ পদে আসীন, সশস্ত্র বাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ইত্যাদি হচ্ছেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, সরকারের শীর্ষ থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত সকল স্তরে নারীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আইসিটি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১২ হাজার ২৯২টি ইউনিয়ন এবং পৌর ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে যেগুলো একজন মহিলা এবং একজন পুরুষ দ্বারা পরিচালিত হয়, পাশাপাশি সরকার নারীদের ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিগত স্টার্ট আপ এবং ই-কমার্স সেক্টরসহ আইসিটি সেক্টরে লিঙ্গ সমতা অর্জন করা। আমরা জেন্ডার-সংবেদনশীল বাজেট প্রবর্তনকারী প্রথম দেশগুলোর অন্যতম। আমাদের বাজেটের ত্রিশ শতাংশ নারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য বরাদ্দ করা হয়। বাংলাদেশের নারীরাও স্থিতিশীলতা অর্জনে অব্যাহত প্রচেষ্টার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের লিঙ্গ-সমতা ভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবিলা পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নারী উন্নয়নে আমাদের বিনিয়োগ আমাদের লভ্যাংশ দিয়েছে। জিডিপিতে নারীর অবদান ৩৪ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নারীকে তাদের পরিবার এবং সমাজ উভয় ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম করেছে।

ছবি

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এসবি প্রধান

ছবি

আরো ঘনীভূত হতে পারে নিম্নচাপ, সমুদ্র বন্দরে সতর্ক সংকেত

ছবি

ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ

ছবি

ছয় মাসের বেশি দায়িত্বে থাকা ওসিদের বদল চায় ইসি

ছবি

৩০০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭৪৭

ছবি

হাজার যাত্রী নিয়ে ছুটল ‘কক্সবাজার এক্সপ্রেস’

ছবি

বাংলাদেশের জন্মশত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ইনুর

ছবি

ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু আজ

ছবি

সাগরে নিম্নচাপ, আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির আভাস

ছবি

মনোনয়ন জমার সময় বাড়ানো হবে না : ইসি

ছবি

ভোটের দিন আমরা কোনো হুমকি দেখছি না : আইজিপি

ছবি

পররাষ্ট্রস‌চি‌বের সঙ্গে পিটার হা‌সের বৈঠক

ছবি

বাংলাদেশকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি : বাণিজ্য সচিব

মার্কিন শ্রম অধিকার নীতিতে ‘শঙ্কিত হওয়ার কারণ রয়েছে’ : বাংলাদেশ দূতাবাস

ছবি

অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় ইইউ

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯২০

ছবি

পদত্যাগ করা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শূন্য পদে দায়িত্ব বণ্টন

ছবি

দলীয় এমপিরা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হলে পদত্যাগ করতে হবে না : ইসি

ছবি

সাবেক সচিব ওয়ালিউর রহমান মারা গেছেন

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে মেঘনা অ্যাডভেঞ্চার থেকে ৪ বাংলাদেশি নিখোঁজ

ছবি

ইইউ’র নির্বাচনী কারিগরি বিশেষজ্ঞ দল ঢাকায়

ছবি

অবরোধ: সারা দেশে র‌্যাবের ৪২৮ টহল টিম

ছবি

জলবায়ুর অভিঘাতে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও মৃত্যু ৪, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৯

ছবি

লটারির ফল প্রকাশ, নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে এসএমএস করবে মাউশি

ছবি

ভুটানে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর

ছবি

প্রার্থীদের হলফনামায় দিতে হবে ৮ তথ্য

ছবি

মিধিলির পথেই উপকূলে আঘাত করতে পারে ‘ডিসেম্বরের ঘূর্ণিঝড়’

ছবি

এবছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ছাড়াল ১৬০০

ছবি

আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে উপেক্ষা করতে পারি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

ভূমির ‘যৌক্তিক’ ব্যবহারে উপজেলাভিত্তিক মহাপরিকল্পনা হচ্ছে

ছবি

আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ৬৫৩ বিচারিক হাকিম চাইল ইসি

ছবি

বাংলাদেশে বন্ধ হলো উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস

ছবি

দেশের অর্থনীতি রক্ষায় সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে : সিইসি

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে মৃত্যু ৩, হাসপাতালে ভর্তি ৯৭১

ছবি

নির্বাচনে এবারও সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া চলছে: ইসি আনিছুর

tab

জাতীয়

নারীদের নেতৃত্বে এনে জাতিসংঘকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীদের জীবনে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলতে তাদের অবশ্যই নেতৃত্বের অবস্থানে থাকতে হবে। তাই, নারীদের নেতৃত্বে এনে জাতিসংঘকে উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রতিনিধি ডাইনিং রুমে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারদের বার্ষিক সভায় তিনি এ সব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের কর্মকাণ্ডকে অংশগ্রহণ থেকে নেতৃত্বে উন্নীত করতে হবে এবং নেতৃত্বের ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। এটা দুঃখজনক যে, জাতিসংঘের মহাসচিব হিসেবে এখন পর্যন্ত কোনো নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সময় এসেছে, আমরা শিগগিরই একজনকে পাবো। আমাদের অবশ্যই নিজেদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি বাড়াতে হবে যাতে সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা একটি আদর্শ হয়ে ওঠে। নারীর অংশগ্রহণকে উচ্চতর পর্যায়ে এগিয়ে নিতে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। নেতা হিসাবে, আমাদের তাদের সঙ্গে জড়িত থাকতে হবে এবং তাদের এই বিষয়ে সাহসী উদ্যোগ নিতে উৎসাহিত করতে হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি দেশ আলাদা এবং তাদের ভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতা রয়েছে। তবে, সবাই যেহেতু ঐতিহাসিক এজেন্ডা ২০৩০ গ্রহণ করেছে সেহেতু তাদের লিঙ্গ সমতা অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা উচিত। আমরা কোনো অবস্থাতেই সেই অঙ্গীকার থেকে পিছিয়ে যেতে পারি না। নারী নেত্রী হিসেবে, সব নারীর পাশে দাঁড়ানো এবং অন্যদের পথ দেখাতে পারে এমন উদাহরণ তৈরি করা আমাদের দায়িত্ব। একটি লিঙ্গ-সমতার বিশ্ব অর্জনের জন্য অবশ্যই আমাদের অবস্থান এবং শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে সূচনা হওয়ার পর থেকে এই প্ল্যাটফর্মটি খুবই দরকারি কাজ করছে। এখানে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি এবং একে অপরের কাছ থেকে শিখি যে কিভাবে স্থানীয় সমাধানগুলো নিয়ে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যাকে পেছনে ফেলে শান্তি, সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং স্থায়ীত্ব অর্জনের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা কোনো ফল দেবে না। লিঙ্গ সমতা একটি বিকল্প নয় বরং একটি ন্যায্য ও ন্যায় সম্মত বিশ্ব অর্জনের জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশ একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে, যার ফলে জনগণ ছাড়া আর কোনো সম্পদ ছিল না। সুতরাং আমরা আমাদের সমগ্র মানব সম্পদ পুঁজিকে কাজে লাগানোর এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আমাদের সমান অংশীদার হিসেবে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আমরা জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও নীতি গ্রহণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার মেয়েদের শিক্ষা ও নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিনামূল্যে বই দেওয়ার পাশাপাশি দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। প্রাথমিক স্তরের ৬০ শতাংশ স্কুল শিক্ষক মহিলা এবং দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে ৪০ লাখেরও বেশি মহিলা কর্মরত রয়েছে। আমরা নারী উদ্যোক্তাদেরকে উৎসাহিত করতে এবং তাদের অর্থায়নে সহায়তা করার জন্য নির্দিষ্ট নীতিগত পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রেয়াতি হারে ঋণ নিশ্চিত করেছি। ব্যবসায়িক উদ্যোগে নারীদের প্রচার ও সহায়তার জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে উচ্চ পদে আসীন হওয়ার ক্ষেত্রে নারীদের জন্য দুয়ার অবারিত করেছে। নারীরা এখন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারক, রাষ্ট্রদূত, বেসামরিক প্রশাসনের উচ্চ পদে আসীন, সশস্ত্র বাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ইত্যাদি হচ্ছেন। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, সরকারের শীর্ষ থেকে সর্বনিম্ন স্তর পর্যন্ত সকল স্তরে নারীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। আইসিটি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নারীদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১২ হাজার ২৯২টি ইউনিয়ন এবং পৌর ডিজিটাল সেন্টার রয়েছে যেগুলো একজন মহিলা এবং একজন পুরুষ দ্বারা পরিচালিত হয়, পাশাপাশি সরকার নারীদের ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য হলো প্রযুক্তিগত স্টার্ট আপ এবং ই-কমার্স সেক্টরসহ আইসিটি সেক্টরে লিঙ্গ সমতা অর্জন করা। আমরা জেন্ডার-সংবেদনশীল বাজেট প্রবর্তনকারী প্রথম দেশগুলোর অন্যতম। আমাদের বাজেটের ত্রিশ শতাংশ নারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য বরাদ্দ করা হয়। বাংলাদেশের নারীরাও স্থিতিশীলতা অর্জনে অব্যাহত প্রচেষ্টার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমাদের লিঙ্গ-সমতা ভিত্তিক দুর্যোগ মোকাবিলা পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি অর্জন করেছে। নারী উন্নয়নে আমাদের বিনিয়োগ আমাদের লভ্যাংশ দিয়েছে। জিডিপিতে নারীর অবদান ৩৪ শতাংশে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নারীকে তাদের পরিবার এবং সমাজ উভয় ক্ষেত্রেই সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে সক্ষম করেছে।

back to top