‘দৈনিক সংবাদের আমৃত্যু সম্পাদক বজলুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক, যিনি মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাম্প্রদায়িকতায় বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা এই সাংবাদিক কলমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অনস্বীকার্য সুতরাং তার নামে এমন একটা পদক প্রদান একদমই যথার্থ’ বলে মন্তব্য করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান এক অনন্য উদ্যোগ। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেমিনার কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে বজলুর রহমান শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন এবং শত প্রতিকূলতায়ও তার লেখনী স্তব্ধ হয়নি। তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উদ্যোগী হতে হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকেরা খুঁজে বের করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অজানা অমূল্য ইতিহাস সারাদেশেই ব্যাপৃত আছে।
এ সময় স্পিকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার ২০২২ সালের সেরা প্রতিবেদক হিসেবে ডেইলি স্টার পত্রিকার আমিরুল রাজীব এবং দৈনিক সমকাল পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাজীব নূরকে যৌথভাবে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে যমুনা টেলিভিশনের হাবিব রহমানকে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন এবং আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি। অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী খান ও এ এস এম সামসুল আরেফীন শংসাবচন পাঠ করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি সারওয়ার আলী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট এবং জুরিবোর্ডের সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিকরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের সম্পাদক বজলুর রহমান বাংলাদেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতয় অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। ২০০৮ সালে আকস্মিক মৃত্যুর পর তার পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বিশিষ্টজনের সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ড এর মনোনয়নের ভিত্তিতে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রবর্তন করা হয়েছে।
বজলুর রহমান ১৯৬১ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে সংবাদে যোগদান করেন। সাংবাদিকতা শুরু। কিছুদিন পর সংবাদ এর সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমৃত্যু তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
‘দৈনিক সংবাদের আমৃত্যু সম্পাদক বজলুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল সংগঠক, যিনি মুক্তিযুদ্ধের ক্রান্তিকালে বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সাম্প্রদায়িকতায় বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা এই সাংবাদিক কলমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান অনস্বীকার্য সুতরাং তার নামে এমন একটা পদক প্রদান একদমই যথার্থ’ বলে মন্তব্য করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতায় বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রদান এক অনন্য উদ্যোগ। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার গুরুত্ব অপরিসীম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর সেমিনার কক্ষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সৎ ও সাহসী সাংবাদিক হিসেবে বজলুর রহমান শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন এবং শত প্রতিকূলতায়ও তার লেখনী স্তব্ধ হয়নি। তার জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সাংবাদিকদের সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে উদ্যোগী হতে হবে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষণার মাধ্যমে সাংবাদিকেরা খুঁজে বের করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অজানা অমূল্য ইতিহাস সারাদেশেই ব্যাপৃত আছে।
এ সময় স্পিকার মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজের জন্য প্রিন্ট মিডিয়ার ২০২২ সালের সেরা প্রতিবেদক হিসেবে ডেইলি স্টার পত্রিকার আমিরুল রাজীব এবং দৈনিক সমকাল পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি রাজীব নূরকে যৌথভাবে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার শ্রেষ্ঠ প্রতিবেদক হিসেবে যমুনা টেলিভিশনের হাবিব রহমানকে পুরস্কার ও সম্মাননা প্রদান করেন এবং আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে জুরিবোর্ডের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আসাদুজ্জামান নূর এমপি। অনুষ্ঠানে জুরি বোর্ডের সদস্য নওয়াজেশ আলী খান ও এ এস এম সামসুল আরেফীন শংসাবচন পাঠ করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি সারওয়ার আলী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্ট এবং জুরিবোর্ডের সদস্য, সিনিয়র সাংবাদিকরা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের সম্পাদক বজলুর রহমান বাংলাদেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতয় অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে মরনোত্তর স্বাধীনতা পদক লাভ করেন। ২০০৮ সালে আকস্মিক মৃত্যুর পর তার পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য বিশিষ্টজনের সমন্বয়ে গঠিত জুরিবোর্ড এর মনোনয়নের ভিত্তিতে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক প্রবর্তন করা হয়েছে।
বজলুর রহমান ১৯৬১ সালে সহকারী সম্পাদক হিসেবে সংবাদে যোগদান করেন। সাংবাদিকতা শুরু। কিছুদিন পর সংবাদ এর সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। আমৃত্যু তিনি এ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।