জলবায়ু উচ্চাকাক্সক্ষা সম্মেলনে উচ্চস্তরের বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন সংকট এড়াতে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে তাদের ন্যায্য অংশীদারিত্বের বিষয়ে সৎ থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে ইসিওএসওসি চেম্বারে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদান : ত্বরান্বিত উচ্চাকাক্সক্ষা এবং অভিযোজন ও সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক অধিবেশনে এই কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে অভিযোজন এবং আগাম সতর্কতায় বিনিয়োগ করা সঠিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদানের জন্য এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের দুটি উদ্যোগে সমর্থন দিতে বাংলাদেশ এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কোন গঠনমূলক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিভুজাকার সহযোগিতার মাধ্যমে অন্য দুর্বল দেশগুলোর সঙ্গে তার দক্ষতা বিনিময় করতে ইচ্ছুক।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কতা’ এমডিবি এবং আইএফআই-কে এই ধরনের প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে সক্ষম হবে।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত সায়মা ওয়াজেদও এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
‘সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
এর আগে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথে মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য অংশীদারিত্বের (পিএমএনসিএইচ) চেয়ার হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ বিষয়ে এসডিজি-৩সহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ (এসডিজি) বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এসডিজি-৩’র অন্তর্ভুক্ত এসডিজিগুলো কার্যকরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন পরে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কর্মকান্ড সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সরকার তার স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার অনুযায়ী চলতি অর্থবছর ২০২৩-২৪ সালে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্যখাতের কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১১-২০৩০) বাস্তবায়ন করছে।
বৈঠকে হেলেন ক্লার্ক শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাতে সার্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
এ সময়ে অন্যানের মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের দূত সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএনজে’তে স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বের মহাসাগর এবং নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিক মাছ ধরা এবং মানুষের অন্যান্য কর্মকান্ডের কারণে নাজুক সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষা এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য।
জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং এর ট্রিটি ইভেন্ট এলাকার গ্রাউন্ড ফ্লোরে গত বুধবার এখানে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অফ দ্য সি’র অধীনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, ব্রিফিংকালে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন।
চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
জলবায়ু উচ্চাকাক্সক্ষা সম্মেলনে উচ্চস্তরের বিষয়ভিত্তিক অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসন্ন সংকট এড়াতে বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে তাদের ন্যায্য অংশীদারিত্বের বিষয়ে সৎ থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে ইসিওএসওসি চেম্বারে ‘জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদান : ত্বরান্বিত উচ্চাকাক্সক্ষা এবং অভিযোজন ও সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কবার্তা বাস্তবায়ন’ শীর্ষক অধিবেশনে এই কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে অভিযোজন এবং আগাম সতর্কতায় বিনিয়োগ করা সঠিক।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ু ন্যায্যতা প্রদানের জন্য এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিবের দুটি উদ্যোগে সমর্থন দিতে বাংলাদেশ এই অধিবেশনে যোগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এই এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে কোন গঠনমূলক পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন দিতে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিভুজাকার সহযোগিতার মাধ্যমে অন্য দুর্বল দেশগুলোর সঙ্গে তার দক্ষতা বিনিময় করতে ইচ্ছুক।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘সবার জন্য প্রাথমিক সতর্কতা’ এমডিবি এবং আইএফআই-কে এই ধরনের প্রচেষ্টায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে সক্ষম হবে।
ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) দূত সায়মা ওয়াজেদও এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন। বাসস।
‘সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’
এর আগে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপক্ষীয় বুথে মা, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্যের জন্য অংশীদারিত্বের (পিএমএনসিএইচ) চেয়ার হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ বিষয়ে এসডিজি-৩সহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাসমূহ (এসডিজি) বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা কোভিড-১৯ মহামারী, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু সংকট থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এসডিজি-৩’র অন্তর্ভুক্ত এসডিজিগুলো কার্যকরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন পরে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর দৈনন্দিন কর্মকান্ড সম্পর্কে গণমাধ্যমকে ব্রিফ করেন।
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, সরকার তার স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার অনুযায়ী চলতি অর্থবছর ২০২৩-২৪ সালে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ ২৭ শতাংশ বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতীয় স্বাস্থ্যখাতের কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১১-২০৩০) বাস্তবায়ন করছে।
বৈঠকে হেলেন ক্লার্ক শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বাস্থ্যখাতে সার্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে মা ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
এ সময়ে অন্যানের মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের দূত সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
বিবিএনজে’তে স্বাক্ষর প্রধানমন্ত্রীর
বিশ্বের মহাসাগর এবং নদীগুলোকে রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিক মাছ ধরা এবং মানুষের অন্যান্য কর্মকান্ডের কারণে নাজুক সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষা এই চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্য।
জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিং এর ট্রিটি ইভেন্ট এলাকার গ্রাউন্ড ফ্লোরে গত বুধবার এখানে ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অফ দ্য সি’র অধীনে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, ব্রিফিংকালে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আবদুল মোমেন।
চুক্তিতে সাধারণ ঐতিহ্য হিসেবে বর্ণিত জেনেটিক সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।