দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিজমি পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এরফলে মানুষের খাদ্য উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মানুষ অল্প জমিতেই অনেক বেশি ফসল উৎপাদনের জন্য তৎপরতা চালাতে হবে। আর এই চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে হবে যা সমস্যার সমাধান করবে একইসাথে পরিবেশেরও ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে দিবে।
আজ শনিবার রাজধানীর অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ‘জলবায়ু সহিষ্ণু, স্মার্ট এবং মৃত্তিকাহীন বাগান’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এগ্রিবিজনেস বিভাগ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট লিয়াকত সিকদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভেজিটেবল সেন্টারের ফারহানা ইব্রাহিম, এফএও এর প্রজেক্ট ম্যানেজার গর্ডন ডি পেদ্রো, মৎস্য অধিদপ্তরের টেকশই কৃষি প্রকল্পের পরিচালক(পিডি) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অল্প জমিতেই অনেক বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে এবং এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে হবে যা একইসাথে পরিবেশেরও ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনবে।’
ছাদ বাগানের সাথে জলবায়ু- সহিষ্ণু, স্মার্ট এবং মাটিবিহীন বাগান পদ্ধতির তুলনা করার জন্য পরীক্ষামূলক একটি গবেষণা প্রকল্প বাড়ির ছাদে করা হয়।সেখানে ছয়টি আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সেগুলো হলো; একোয়াপোনিক্স, এনএফটি হাইড্রোপনিক্স, ক্র্যাটকি হাইড্রোপনিক্স, স্ব-জলযুক্ত জিও-ব্যাগ, স্ব-পানিযুক্ত পাটের ব্যাগ, এবং ঐতিহ্যগত অর্ধ ড্রামের বাগান।
তিনি এগুলোর উপকারী ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ-এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে সরকারী, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রধান অতিথি লিয়াকত সিকদার বলেন, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে বর্তমানে আধুনিকতার যুগেএকের পর এক গাছ কেটে অট্টালিকা, শিল্প-কলকারখানা, রাস্তা নির্মাণ চলছে। বাংলাদেশে উৎপন্ন সবজি ও মাছ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরো বেশি পরিমাণ রপ্তানি করতে হবে। আর প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখার পাশাপাশি চারিদিক সবুজে ভরিয়ে তোলার বিকল্প নেই।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শহর ও শহরতলিতে বর্তমানে ফাঁকা জায়গার পরিমাণ কমছে। তবেগড়ে উঠছে ছোট-বড় অট্টালিকা। ছাদে বাগান করার উপরই জোর দেয়া হলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে তেমনি অতিরিক্ত গরমের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।’
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রিবিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সোনিয়া তাবাসসুম আহমেদ ও সঞ্চালনায় ছিলেন গবেষণা প্রকল্পের কো-পিআই ও এগ্রিবিজনেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন। সেমিনারে এগ্রিবিজনেস বিভাগের অ্যাডভাইজর ড. মীর্জা হাসানুজ্জামান, কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদুল হাসানসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান ও ড. সাইফুল্লাহ রাসেল, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, ডীন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি, বিভাগীয় অ্যাডভাইজর, চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিজমি পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এরফলে মানুষের খাদ্য উৎপাদন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য মানুষ অল্প জমিতেই অনেক বেশি ফসল উৎপাদনের জন্য তৎপরতা চালাতে হবে। আর এই চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে হবে যা সমস্যার সমাধান করবে একইসাথে পরিবেশেরও ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে দিবে।
আজ শনিবার রাজধানীর অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ‘জলবায়ু সহিষ্ণু, স্মার্ট এবং মৃত্তিকাহীন বাগান’ বিষয়ক সেমিনারে এসব কথা বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে এগ্রিবিজনেস বিভাগ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এডভোকেট লিয়াকত সিকদার। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এছাড়া, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ভেজিটেবল সেন্টারের ফারহানা ইব্রাহিম, এফএও এর প্রজেক্ট ম্যানেজার গর্ডন ডি পেদ্রো, মৎস্য অধিদপ্তরের টেকশই কৃষি প্রকল্পের পরিচালক(পিডি) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবদুস সালাম। তিনি বলেন, ‘কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অল্প জমিতেই অনেক বেশি ফসল উৎপাদন করতে হবে এবং এমন প্রযুক্তি নিয়ে আসতে হবে যা একইসাথে পরিবেশেরও ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনবে।’
ছাদ বাগানের সাথে জলবায়ু- সহিষ্ণু, স্মার্ট এবং মাটিবিহীন বাগান পদ্ধতির তুলনা করার জন্য পরীক্ষামূলক একটি গবেষণা প্রকল্প বাড়ির ছাদে করা হয়।সেখানে ছয়টি আধুনিক পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। সেগুলো হলো; একোয়াপোনিক্স, এনএফটি হাইড্রোপনিক্স, ক্র্যাটকি হাইড্রোপনিক্স, স্ব-জলযুক্ত জিও-ব্যাগ, স্ব-পানিযুক্ত পাটের ব্যাগ, এবং ঐতিহ্যগত অর্ধ ড্রামের বাগান।
তিনি এগুলোর উপকারী ভূমিকা ও চ্যালেঞ্জ-এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে সরকারী, বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
প্রধান অতিথি লিয়াকত সিকদার বলেন, ‘প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে বর্তমানে আধুনিকতার যুগেএকের পর এক গাছ কেটে অট্টালিকা, শিল্প-কলকারখানা, রাস্তা নির্মাণ চলছে। বাংলাদেশে উৎপন্ন সবজি ও মাছ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আরো বেশি পরিমাণ রপ্তানি করতে হবে। আর প্রকৃতির ভারসাম্য ঠিক রাখার পাশাপাশি চারিদিক সবুজে ভরিয়ে তোলার বিকল্প নেই।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘শহর ও শহরতলিতে বর্তমানে ফাঁকা জায়গার পরিমাণ কমছে। তবেগড়ে উঠছে ছোট-বড় অট্টালিকা। ছাদে বাগান করার উপরই জোর দেয়া হলে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য বজায় থাকবে তেমনি অতিরিক্ত গরমের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব হবে।’
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন এগ্রিবিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সোনিয়া তাবাসসুম আহমেদ ও সঞ্চালনায় ছিলেন গবেষণা প্রকল্পের কো-পিআই ও এগ্রিবিজনেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মোশাররফ হোসেন। সেমিনারে এগ্রিবিজনেস বিভাগের অ্যাডভাইজর ড. মীর্জা হাসানুজ্জামান, কো-অর্ডিনেটর মো. মাসুদুল হাসানসহ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানভীর রহমান ও ড. সাইফুল্লাহ রাসেল, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার, ডীন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি, বিভাগীয় অ্যাডভাইজর, চেয়ারম্যান, কো-অর্ডিনেটর, শিক্ষক এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।