এক দশকে সুন্দরবনের আয়তন অন্তত অর্ধেক কমে গেছে। এভাবে বন কমতে থাকার বিষয়টি ‘উদ্বেগজনক’। বৈশ্বিকভাবে জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত বনের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও তা ১৭ শতাংশ। আর বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের হার ১২ শতাংশ। প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে আন্ত:সম্পর্কের মাধ্যমে কাজ করলে বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের বৈশ্বিক এই ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত অর্জন সম্ভব। এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে টেকসই ও যুগযোপোগী।
সুইডবায়ো, বন অধিদপ্তর, ফরেস্ট পিপল প্রোগ্রাম (এফপিপি) ও উন্নয়ন অন্বেষণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শনিবার এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘দি ইমপ্লিমেনটেশন অ্যান্ড মনিটরিং অব দ্য কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি ফ্রেমওয়ার্ক: কমিউনিটি বেসড সলিউশন অ্যান্ড কন্ট্রিবিউশনস টু দ্য গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি টার্গেটস।’শিরোনাম কর্মশালাটি তিন সেশনে অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী সেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি সুন্দরবনের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের জলাধার কমেছে। ২০১০ সালে যেখানে ছিল ৪৪৮ হেক্টর, ২০২০ সালে তা ৩২২ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে। কাঁকড়া বিচরণস্থল ৩ হাজার ১১৫ হেক্টরে থেকে কমে ১ হাজার ৬৩৪ হেক্টরে এসে নেমে এসেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে সুন্দরবনের ১০ শতাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।’
কি নোট উপস্থাপন করেন এফপিপির সিনিয়র পলিসি উপদেষ্টা ড. মাওরিজিও ফারহান ফেরারি।
দ্বিতীয় সেশনে বক্তব্য দেন এফপিপির গ্লোবাল পার্টনারশিপ কো-অর্ডিনেটর ক্যারেলিন ডি ঝং এবং বন বিভাগের উপপ্রধান বনসংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির। এ সেশনের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের আঞ্চলিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের সূচনা বক্তব্যে তৃতীয় পর্ব শুরু হয়। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। এ পর্বেও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘আমরা জাতীয় জীববৈচিত্র্য অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ নিয়ে সব মানুষ চিন্তিত। বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রকৃতিনির্ভর সমাধান পেতে চান।’
তিনি জানান, এটা কেবল পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে কাজ করলে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব।
প্রধান বনসংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্যের হটস্পট রয়েছে। আমরা ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছি। এজন্য আমরা স্থানীয় লোকজনকে বন ব্যবস্থাপনায় সহযোগী হিসেবে গড়ে তুলছি। কুনমিং-মনট্রিল প্রোটোকল অর্জনে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।’
উপপ্রধান বনসংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির ‘বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার’ শিরোনামে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।
সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
এক দশকে সুন্দরবনের আয়তন অন্তত অর্ধেক কমে গেছে। এভাবে বন কমতে থাকার বিষয়টি ‘উদ্বেগজনক’। বৈশ্বিকভাবে জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত বনের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও তা ১৭ শতাংশ। আর বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের হার ১২ শতাংশ। প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে আন্ত:সম্পর্কের মাধ্যমে কাজ করলে বাংলাদেশে সংরক্ষিত বনের বৈশ্বিক এই ৩০ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত অর্জন সম্ভব। এ পদ্ধতিটি সবচেয়ে টেকসই ও যুগযোপোগী।
সুইডবায়ো, বন অধিদপ্তর, ফরেস্ট পিপল প্রোগ্রাম (এফপিপি) ও উন্নয়ন অন্বেষণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শনিবার এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘দি ইমপ্লিমেনটেশন অ্যান্ড মনিটরিং অব দ্য কুনমিং-মন্ট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি ফ্রেমওয়ার্ক: কমিউনিটি বেসড সলিউশন অ্যান্ড কন্ট্রিবিউশনস টু দ্য গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি টার্গেটস।’শিরোনাম কর্মশালাটি তিন সেশনে অনুষ্ঠিত হয়।
উদ্বোধনী সেশনে স্বাগত বক্তব্য দেন উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি সুন্দরবনের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনের জলাধার কমেছে। ২০১০ সালে যেখানে ছিল ৪৪৮ হেক্টর, ২০২০ সালে তা ৩২২ হেক্টরে এসে দাঁড়িয়েছে। কাঁকড়া বিচরণস্থল ৩ হাজার ১১৫ হেক্টরে থেকে কমে ১ হাজার ৬৩৪ হেক্টরে এসে নেমে এসেছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে সুন্দরবনের ১০ শতাংশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে।’
কি নোট উপস্থাপন করেন এফপিপির সিনিয়র পলিসি উপদেষ্টা ড. মাওরিজিও ফারহান ফেরারি।
দ্বিতীয় সেশনে বক্তব্য দেন এফপিপির গ্লোবাল পার্টনারশিপ কো-অর্ডিনেটর ক্যারেলিন ডি ঝং এবং বন বিভাগের উপপ্রধান বনসংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির। এ সেশনের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের আঞ্চলিক অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীরের সূচনা বক্তব্যে তৃতীয় পর্ব শুরু হয়। এ পর্বে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। এ পর্বেও বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, ‘আমরা জাতীয় জীববৈচিত্র্য অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ নিয়ে সব মানুষ চিন্তিত। বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রকৃতিনির্ভর সমাধান পেতে চান।’
তিনি জানান, এটা কেবল পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাজ নয়। সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে কাজ করলে লক্ষ্যে পৌঁছা সম্ভব।
প্রধান বনসংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্যের হটস্পট রয়েছে। আমরা ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছি। এজন্য আমরা স্থানীয় লোকজনকে বন ব্যবস্থাপনায় সহযোগী হিসেবে গড়ে তুলছি। কুনমিং-মনট্রিল প্রোটোকল অর্জনে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।’
উপপ্রধান বনসংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির ‘বাংলাদেশে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং টেকসই ব্যবহার’ শিরোনামে গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন।