আহমদুল কবির স্মরণ সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা
দৈনিক ‘সংবাদ’-এর প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির স্মরণ সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, আহমদুল কবির ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব। তার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করা। তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ ছিলেন।
আজ শুক্রবার ২৪ নভেম্বর, দৈনিক সংবাদের প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির (মনু মিয়া) ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ী মসজিদে পবিত্র কুরআন খতম, সকাল সাড়ে ১০ টায় কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কাঙ্গালী ভোজ, উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং বাদ আছর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, আহমদুল কবির ছিলেন পলাশ উপজেলার উন্নয়নের রূপকার। তারা বলেন, আহমদুল কবির ছিলেন রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় আমাদের অভিভাবক। তার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার আদর্শ থেকে অনেক পেশাদার সাংবাদিক প্রথম সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, আহমদুল কবির ছিলেন একটি প্রতষ্ঠান, তিনি অবহেলিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চিন্তা করতেন। আজ দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে তারমত আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।
আহমদুল কবির (মুন মিয়া) স্মৃতি সংসদের আয়োজনে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদীর পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আজমল কবির রুমি, স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও আহমদুল কবিরের কন্যা ব্যরিস্টার নিহাদ কবির, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসাইন, নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র এডভোকেট মোঃ শাহজাহান, পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনোয়ার ইসলাম নাছিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফরহাদ মিয়া, স্মৃতি সংসদের চরসিন্দুর ইউনিয়নের সভাপতি বেনু মাস্টার, পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান তুহিন, জিনারদী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহজাহান, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আরমান মিঞা প্রমুখ। স্মরণ সভা পরিচালনা করেন ঘোড়াশাল ৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার মোঃ নূরুল ইসলাম।
স্মরণসভায় শিল্পপতি আজমল কবির রুমী বলেন, আহমদুল কবির দেশের একজন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ছিলেন। এদেশের শিল্প বানিজ্য প্রসারে তার সক্রিয় অবদান রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ডাকসুর প্রথম ভিপি ছিলেন। নরসিংদী-২ পলাশ উপজেলা আসনে তিনবার জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। পলাশ উপজেলার পূবালী জুটমিল, বিদ্যুৎ কারখানা, সারকারখানা, অপারেটিভ জুটমিল, ফৌজি চটকল, দেশবন্ধু সুগার মিলসহ ১০টি বৃহত্তর প্রতিষ্ঠানে তার অবদান ও সহযোগিতা ছিল।
আহমদুল কবির (মুন মিয়ার) স্মৃতি সংসদের সভাপতি ব্যরিস্টার নিহাদ কবির বলেন, আমার বাবা ছিলেন সহজ সরল ও অত্যন্ত মেধাবী, প্রতিভাদীপ্ত, আদর্শবাদী রাজনৈতিতিবিদ। তার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল এদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করা।
নিহাদ কবির বলেন, আমার বাবা সপ্তাহের অধিকাংশ দিন ঘোড়াশাল বাড়ীতে কাটাতেন এবং নিরিহ দরিদ্র লোকদের আর্থিক সাহায্যসহ সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিয়ে সেবা দিতেন।
গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাদাত হোসাইন বলেন, আশির দশকে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, সংবাদ-এ বস্তুনিষ্ঠ খবর, মতামত প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিনি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার এক নতুন ধারা স্মৃষ্টি করেছিলেন।
আজ সকালে আহমদুল কবির (মনু মিয়ার) কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন; আহমদুল কবির (মনু মিয়ার) বড় ছেলে সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির মিশু, স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে সংসদের সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসাইন, সংবাদ পরিবার থেকে চীফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের, হিসাব রক্ষক বিধান দত্ত, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার মাহবুব রহমান, বিজ্ঞাপন নির্বাহী আব্দুল কাদির, ঘোড়াশাল পৌরসভার পক্ষে ওয়ার্ড কমিশনার নুরুল ইসলাম, জিনারদী ইউনিয়ন থেকে এমএ বাশার, মেসার্স ইসলাম ট্রান্সপোর্ট এন্ড মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স নেহাব এর পক্ষ থেকে মোঃ লোকমান হোসেন, পলাশ উপজেলা প্রেস ক্লাব, গজারিয়া ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা।
আহমদুল কবির স্মরণ সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
দৈনিক ‘সংবাদ’-এর প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির স্মরণ সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, আহমদুল কবির ছিলেন বাংলাদেশের রাজনীতি ও সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব। তার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল এ দেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করা। তিনি বাংলাদেশের সাংবাদিকতার প্রবাদ পুরুষ ছিলেন।
আজ শুক্রবার ২৪ নভেম্বর, দৈনিক সংবাদের প্রধান সম্পাদক ও দেশের প্রগতিশীল ধারার রাজনীতির পুরোধা ব্যক্তিত্ব আহমদুল কবির (মনু মিয়া) ২০ তম মৃত্যুবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত কর্মসূচীর মধ্যে ছিল ঘোড়াশাল মিয়াবাড়ী মসজিদে পবিত্র কুরআন খতম, সকাল সাড়ে ১০ টায় কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, কাঙ্গালী ভোজ, উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ ও এতিম খানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশন এবং বাদ আছর বিভিন্ন মসজিদে দোয়া মাহফিল।
স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, আহমদুল কবির ছিলেন পলাশ উপজেলার উন্নয়নের রূপকার। তারা বলেন, আহমদুল কবির ছিলেন রাজনীতি ও সাংবাদিকতায় আমাদের অভিভাবক। তার বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার আদর্শ থেকে অনেক পেশাদার সাংবাদিক প্রথম সাংবাদিকতার পাঠ নিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, আহমদুল কবির ছিলেন একটি প্রতষ্ঠান, তিনি অবহেলিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চিন্তা করতেন। আজ দেশের এই ক্লান্তি লগ্নে তারমত আদর্শবাদী রাজনীতিবিদ অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।
আহমদুল কবির (মুন মিয়া) স্মৃতি সংসদের আয়োজনে স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদীর পাঁচদোনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন। বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি আজমল কবির রুমি, স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও আহমদুল কবিরের কন্যা ব্যরিস্টার নিহাদ কবির, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসাইন, নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র এডভোকেট মোঃ শাহজাহান, পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মনোয়ার ইসলাম নাছিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফরহাদ মিয়া, স্মৃতি সংসদের চরসিন্দুর ইউনিয়নের সভাপতি বেনু মাস্টার, পলাশ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান তুহিন, জিনারদী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহজাহান, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আরমান মিঞা প্রমুখ। স্মরণ সভা পরিচালনা করেন ঘোড়াশাল ৭নং ওয়ার্ডের কমিশনার মোঃ নূরুল ইসলাম।
স্মরণসভায় শিল্পপতি আজমল কবির রুমী বলেন, আহমদুল কবির দেশের একজন বিশিষ্ট শিল্প উদ্যোক্তা ছিলেন। এদেশের শিল্প বানিজ্য প্রসারে তার সক্রিয় অবদান রয়েছে। তিনি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ডাকসুর প্রথম ভিপি ছিলেন। নরসিংদী-২ পলাশ উপজেলা আসনে তিনবার জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলেন। পলাশ উপজেলার পূবালী জুটমিল, বিদ্যুৎ কারখানা, সারকারখানা, অপারেটিভ জুটমিল, ফৌজি চটকল, দেশবন্ধু সুগার মিলসহ ১০টি বৃহত্তর প্রতিষ্ঠানে তার অবদান ও সহযোগিতা ছিল।
আহমদুল কবির (মুন মিয়ার) স্মৃতি সংসদের সভাপতি ব্যরিস্টার নিহাদ কবির বলেন, আমার বাবা ছিলেন সহজ সরল ও অত্যন্ত মেধাবী, প্রতিভাদীপ্ত, আদর্শবাদী রাজনৈতিতিবিদ। তার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল এদেশের সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ে কাজ করা।
নিহাদ কবির বলেন, আমার বাবা সপ্তাহের অধিকাংশ দিন ঘোড়াশাল বাড়ীতে কাটাতেন এবং নিরিহ দরিদ্র লোকদের আর্থিক সাহায্যসহ সাধারণ মানুষের খোঁজখবর নিয়ে সেবা দিতেন।
গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহাদাত হোসাইন বলেন, আশির দশকে তার নেতৃত্বে গণতন্ত্রী পার্টি গঠিত হয় এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, সংবাদ-এ বস্তুনিষ্ঠ খবর, মতামত প্রকাশের মধ্য দিয়ে তিনি অসাম্প্রদায়িক প্রগতিশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার এক নতুন ধারা স্মৃষ্টি করেছিলেন।
আজ সকালে আহমদুল কবির (মনু মিয়ার) কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন; আহমদুল কবির (মনু মিয়ার) বড় ছেলে সংবাদ সম্পাদক আলতামাশ কবির মিশু, স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে সংসদের সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসাইন, সংবাদ পরিবার থেকে চীফ রিপোর্টার সালাম জুবায়ের, হিসাব রক্ষক বিধান দত্ত, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার মাহবুব রহমান, বিজ্ঞাপন নির্বাহী আব্দুল কাদির, ঘোড়াশাল পৌরসভার পক্ষে ওয়ার্ড কমিশনার নুরুল ইসলাম, জিনারদী ইউনিয়ন থেকে এমএ বাশার, মেসার্স ইসলাম ট্রান্সপোর্ট এন্ড মেসার্স ইসলাম ট্রেডার্স নেহাব এর পক্ষ থেকে মোঃ লোকমান হোসেন, পলাশ উপজেলা প্রেস ক্লাব, গজারিয়া ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন সংগঠন এবং স্থানীয় সাংবাদিকরা।