যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সম্পর্কে পররাষ্ট্রসচিব
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, এসব বক্তব্য অনভিপ্রেত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কী হচ্ছে-না হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমরা বলতে পারি। তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ তাদের মধ্যে কী আলাপ-আলোচনা করছে, এটা আমাদের জন্য খুব একটা… বিষয়টা অনভিপ্রেত বলা যায়। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই না।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে ঢাকায় ফিরে আজ সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এসময় এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সম্পর্কে জানদত চাইলে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এর আগে চীনকেও দেখেছি আলোচনা করতে। আমরা তো কারও কাছে অনুরোধ করিনি মন্তব্য করতে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। গত ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অক্টোবরের শেষের দিকে সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলের একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন জাখারোভা।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, খবর পাওয়া যায় যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও বিরোধী দলের নেতা ওই বৈঠকে সরকারবিরোধী বড় প্রতিবাদ সমাবেশ করার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি বলেন,যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার অজুহাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে এবং এ বিষয়টি আমরা অনেকবার বলেছি। আজ আমি আবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এমন বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে মারিয়া জাখারোভা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও পিটার হাসের বিভিন্ন বৈঠকের বিষয়াদি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। বাংলাদেশের কোনো দলকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দেয় না।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তা চাই এবং সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের ও বাংলাদেশের জনগণ উভয়ের লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন।
মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে বলেও প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সম্পর্কে পররাষ্ট্রসচিব
রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য নিয়ে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, এসব বক্তব্য অনভিপ্রেত। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কী হচ্ছে-না হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমরা বলতে পারি। তৃতীয় বা চতুর্থ দেশ তাদের মধ্যে কী আলাপ-আলোচনা করছে, এটা আমাদের জন্য খুব একটা… বিষয়টা অনভিপ্রেত বলা যায়। এ নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই না।
আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে ঢাকায় ফিরে আজ সকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এসময় এক সাংবাদিক যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য সম্পর্কে জানদত চাইলে পররাষ্ট্র সচিব এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, এর আগে চীনকেও দেখেছি আলোচনা করতে। আমরা তো কারও কাছে অনুরোধ করিনি মন্তব্য করতে।
বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কিছুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে। গত ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে দাবি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস অক্টোবরের শেষের দিকে সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে বিরোধী দলের একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন জাখারোভা।
মারিয়া জাখারোভা বলেন, খবর পাওয়া যায় যে, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও বিরোধী দলের নেতা ওই বৈঠকে সরকারবিরোধী বড় প্রতিবাদ সমাবেশ করার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি বলেন,যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা স্বচ্ছতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করার অজুহাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে এবং এ বিষয়টি আমরা অনেকবার বলেছি। আজ আমি আবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের তৎপরতা নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের এমন বক্তব্যের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য উপস্থাপন করেছে। ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের প্রতিক্রিয়া সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, ইচ্ছাকৃতভাবে মারিয়া জাখারোভা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও পিটার হাসের বিভিন্ন বৈঠকের বিষয়াদি ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। বাংলাদেশের কোনো দলকে যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকার দেয় না।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তা চাই এবং সেটি হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন যা শান্তিপূর্ণ উপায়ে অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের ও বাংলাদেশের জনগণ উভয়ের লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন।
মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে বলেও প্রতিক্রিয়ায় জানানো হয়।