alt

জাতীয়

নৌকার বড় জয়, স্বতন্ত্রের রেকর্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যাদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগেরই নেতা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২০৪টি আসন আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫৩টি আসন। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) পেয়েছে ১১টি আসন।

https://sangbad.net.bd/images/2024/January/08Jan24/news/12th-election-result.jpg

আওয়ামী লীগ এবার জাপাকে ২৬টি আসন ছেড়ে দিলেও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে সুবিধা করতে পারেননি লাঙ্গল প্রতীকে ভোট করা জাপার নেতারা। তবে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন জয়লাভ করেছেন।

নৌকা প্রতীক নিয়েও পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটে থাকা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তবে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

সাবেক বিএনপি নেতাদের নবসৃষ্ট দল তৃণমূল বিএনপির শীষ দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকার পরাজিত হয়েছেন। তবে বিএনপি ছেড়ে নৌকায় চড়া শাহজাহান ওমর জয়লাভ করেছেন।

বিএনপির বর্জনে এই নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে এবার পরাজিত হয়েছেন সরকারের বেশ কিছু মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা। এই তালিকায় আছেন-বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ধীরেন্দ্র নাথ সম্ভুসহ আরও অনেকে।

এরপরও ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবার অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন পঞ্চম বারের মতো।

তুলনামূলক কম ভোটারের উপস্থিতি, বিছিন্ন কিছু গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে মোটাদাগে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দুটি আসনে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত ও দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বেশকিছু প্রার্থী। এদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে রোববার (৭ জানুয়ারি) শেষ বেলায় এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিএনপির বর্জন আর হরতালের মধ্যে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়। স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ভোট হয় ২৯৯টি আসনে। নিবন্ধিত ২৮টি দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়, বর্জন করেছে ১৬টি দল। ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ২৪টি।

সরেজমিন ঢাকার অধিকাংশ আসন ঘুরে দেখা যায়, সকালে বেশিরভাগ কেন্দ্র প্রায় ফাঁকাই ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার অল্প কিছু বাড়লেও দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি।

বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, অনেক আসনেই ভোটার উপস্থিতি ছিল সীমিত। লম্বা লাইন না থাকায় ভোট দিতে বেগ পেতে হয়নি ভোটারদের। কিছু আসনে ভোটারের লাইন দেখা গেলেও তা বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়নি।

ভোট শেষে সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিভিন্ন আসন থেকে যে তথ্য তারা পেয়েছেন, তাতে ভোটের হার ৪০ শতাংশের মতো হতে পারে বলে তিনি আশা করছেন। সিইসির ভাষায়, এখন পর্যন্ত এটাই নির্ভরযোগ্য তথ্য। পরে সব তথ্য যোগ হলে এই তথ্য বাড়তে বা কমতে পারে।

ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘গুরুতর সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল।’

তবে ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে বর্জনের ঘোষণা দেন বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, গণফোরামের দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নামা আওয়ামী লীগের নেতাও আছেন, আছেন সংসদ সদস্যরাও।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ১৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার করা হয় ৪২ জনকে। অন্তত ৯টি আসনে ২১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, এই নির্বাচনে জনগণের বিজয় হয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, তাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের দীর্ঘদিনের মিত্র জাতীয় পার্টি (জাপা) বলছে, বেশিরভাগ জায়গায় ভোট স্বাভাবিক হয়নি।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভোট দেয়ায় দেশের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন হচ্ছে জনগণের বিজয়, যা সারাবিশ্বের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে, এটা জনগণের বিজয়।’

এদিকে, নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে।’ রোববার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের রোববার রংপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বলতে পারি, বেশিরভাগ জায়গায়ই ভোট স্বাভাবিক হচ্ছে। এটা দিন গড়ালে সামনের দিকে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবো।’

জিএম কাদের বলেন, ‘সবসময় আমাদের আশঙ্কা ছিলো, নির্বাচনে নিয়ে এসে আমাদের কোরবানি করা হবে। কোরবানি করলে নির্ভেজাল একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হবে দেশে। এসব আশঙ্কা সত্যি হয় কিনা বিকেল হলেই বোঝা যাবে।’

ভোট শুরুর পর থেকে দুই ঘণ্টা পরপর সারাদেশে ভোট পড়ার হার কতো, তা জানানো কথা থাকলেও ইসি প্রথম ভোটের হারের তথ্য দেয় চারঘণ্টা পর।

কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। শেষ বেলায় কমিশন জানায়, বিকেল ৩টা পর্যন্ত অর্থাৎ ভোট শুরুর সাত ঘণ্টা পর সারাদেশে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

মুন্সীগঞ্জে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে (সদর ও গজারিয়া) রোববার এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমের টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ে ওই হত্যাকা- ঘটে। নিহত জিল্লুর রহমান (৪৫) টেঙ্গর এলাকার শরীতুল মুন্সীর ছেলে। তিনি এই আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক।

তবে এই হত্যাকা- নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নয় বলে দাবি করে ইসি। বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের জানিয়েছেন, এটা আসলে ভোটের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ওই ব্যক্তি (জিল্লুর রহমান) অন্য কোনো একটি মার্ডার মামলায় আসামি ছিলেন। ওই এলাকায় আসায় ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন বলে পুলিশ সুপার আমাদের জানিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করলে আমরা জানতে পারব।’

চট্টগ্রামে ২ জন গুলিবিদ্ধ
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও স্বতন্ত্রের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে নগরীর আকবর শাহ ?নুরিয়া মাদ্রাসা এলাকার আশিক বড়–য়ার ছেলে শান্ত বড়–য়া (২৪) এবং ঝাউতলা ওয়ারলেস কলোনির আমির হোসেনের ছেলে জামাল (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র উঁচিয়ে রাখতে দেখা যায়। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, গুলি ছোড়া ওই ব্যক্তি নাম শামীম আজাদ। সে নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নগর আওয়ামী লীগ নেতা নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের হয়। এ সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।

নৌকার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ইসির সচিব জাহাংগীর আলম বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান।

ভোট বর্জন অনেকের
ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, গণফোরামের দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নামা আওয়ামী লীগের নেতাও আছেন, আছেন সংসদ সদস্যরাও।

এর মধ্যে সিলেটের একটি আসনেই সংসদ সদস্য চার প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন সিলেট-২, লালমনিরহাট-২, কক্সবাজার-৪, কুড়িগ্রাম-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে।

সিলেট-২, সিলেট-৩, কুমিল্লা-১১ , কক্সবাজার-১, কক্সবাজার-৩, টাঙ্গাইল-২, কুড়িগ্রাম-৪ ও যশোর-১ আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নির্বাচনী তথ্য
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে শরিক ১৪ দলসহ আওয়ামী লীগের নৌকা ২৭১, জাতীয় পার্টির ২৬৫ সহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৫৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর বাইরে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্রের প্রার্থীর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক আর আলোচিত প্রার্থীও ছিলেন। বিএনপির দলছুট কয়েকজনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সাবেক বিএনপি নেতাদের নবসৃষ্ট দুটি দলও নির্বাচনে ছিল।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম সংসদ নির্বাচন। বিরোধীদল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। ইসির তথ্য অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪১ শতাংশ।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি দল। ইসি জানায়, ওই নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ২০.৭৬ শতাংশ।

১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অনেক দলই অংশ নেয়নি। ইসির তথ্য অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫৪.৯৩ শতাংশ।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় ২০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক এবং দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।

ছবি

হবিগঞ্জে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ, আহত শতাধিক

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে বিভক্তি, বাড়ছে অস্থিরতা

বসুন্ধরায় ২ বিদেশিসহ ৩ জনকে মারধর, গাড়ি ভাঙচুর

প্রাথমিকের ৬,৫৩১ শিক্ষকের নিয়োগপত্র জারি

স্কুলে ভর্তিতে পাঁচ শতাংশ কোটা বাতিল, নতুন আদেশ জারি

পানি বণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে: আবুল হোসেন

শিক্ষার নতুন উপদেষ্টা সিআর আবরার

মেট্রোরেলের ভেতরে নিরাপত্তা টহলে এমআরটি পুলিশ

ছবি

৮৬ লাখ টাকা পাচার করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান: সিআইডি

এভাবে দেশ চলে না, দেশ চলতে হবে আইন ও সুশাসনের মাধ্যমে: জাহিদ হোসেন

সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনে আইনের খসড়া হচ্ছে

ছবি

হাতিরঝিলে চলন্ত গাড়িতে আগুন, যানজট

ছবি

ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনি: নিহত ২ জনকে কর্মী দাবি জামায়েতের

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্ষুদ্র ব্যবসা চালুর প্রস্তাব ইইউর

ছবি

সংবিধান ও শাসন কাঠামো বদলে নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে চাই: নাহিদ ইসলাম

ছবি

মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাই ঠেকাতে বাড়তি নিরাপত্তা

গুমের শিকার’ ৩৩০ জনের ফেরার আশা ক্ষীণ: কমিশন প্রধান

ছবি

মব জাস্টিস বা মোরাল পুলিশিংয়ের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে সরকার: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ছবি

ভিসা চালুর বিষয়ে ভারতীয় সিদ্ধান্ত :পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের

ছবি

পিলখানা বিদ্রোহে নিহত সেনাসদস্যদের ‘শহীদ’ স্বীকৃতি

ছবি

পণ্য আমদানিতে ‘মিথ্যা ঘোষণা’ কাস্টমস জটিলতার মূল কারণ: এনবিআর চেয়ারম্যান

ছবি

প্রাথমিক শিক্ষক: আন্দোলন থেকে যোগদানের পথে ৬৫৩১ জন

দেশে জিকা ভাইরাসের ‘ক্লাস্টার’ শনাক্ত

ছবি

গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে অতিরিক্ত ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত

ছবি

স্কুল ভর্তিতে নতুন আদেশ: ৫% কোটা বাতিল, সংরক্ষিত আসন নির্ধারণ

ছবি

শিক্ষা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাচ্ছেন অধ্যাপক সি আর আবরার

ছবি

সিভিল রেজিস্ট্রেশন কমিশন গঠনে আইনের খসড়া হচ্ছে

ছবি

গুমে জড়িত বাহিনীর সদস্যদের ব্যক্তিগত ফৌজদারি দায়: তদন্ত কমিশনপ্রধান

ছবি

ট্রাম্পের অভিযোগ ভিত্তিহীন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রকল্পে অর্থায়ন নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করল সরকার

ছবি

এডিপি অনুমোদন, ব্যয় কমলো ৪৯ হাজার কোটি টাকা

ছবি

হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগে স্থগিত: চাকরি ফিরে পেলেন প্রাথমিকের ৬,৫৩১ শিক্ষক

ছবি

প্রাথমিকের সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ-পদায়নের তারিখ ঘোষণা

ছবি

রাজধানীতে পুলিশের চেকপোস্ট ও অভিযানে ১৭৯ জন গ্রেপ্তার

ছবি

লালমাটিয়ায় তরুণীকে মারধর: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে ক্ষোভ, ‘অপসারণ’ দাবি

ছবি

অপরাধ মোটেও বাড়েনি, বললেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

‘অপরিচিত’ প্রতিষ্ঠানে ২৯ মিলিয়ন ডলার যাওয়ার ‘অভিযোগ অসত্য’: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

tab

জাতীয়

নৌকার বড় জয়, স্বতন্ত্রের রেকর্ড

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যাদের বেশির ভাগ আওয়ামী লীগেরই নেতা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সর্বশেষ প্রাপ্ত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২০৪টি আসন আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫৩টি আসন। একাদশ সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) পেয়েছে ১১টি আসন।

https://sangbad.net.bd/images/2024/January/08Jan24/news/12th-election-result.jpg

আওয়ামী লীগ এবার জাপাকে ২৬টি আসন ছেড়ে দিলেও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে সুবিধা করতে পারেননি লাঙ্গল প্রতীকে ভোট করা জাপার নেতারা। তবে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন জয়লাভ করেছেন।

নৌকা প্রতীক নিয়েও পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ১৪ দলীয় জোটে থাকা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। তবে নৌকা নিয়ে জিতেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

সাবেক বিএনপি নেতাদের নবসৃষ্ট দল তৃণমূল বিএনপির শীষ দুই নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং তৈমূর আলম খন্দকার পরাজিত হয়েছেন। তবে বিএনপি ছেড়ে নৌকায় চড়া শাহজাহান ওমর জয়লাভ করেছেন।

বিএনপির বর্জনে এই নির্বাচনে বেশিরভাগ আসনে আওয়ামী লীগের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে এবার পরাজিত হয়েছেন সরকারের বেশ কিছু মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় নেতারা। এই তালিকায় আছেন-বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, সাংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, ধীরেন্দ্র নাথ সম্ভুসহ আরও অনেকে।

এরপরও ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবার অষ্টম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন পঞ্চম বারের মতো।

তুলনামূলক কম ভোটারের উপস্থিতি, বিছিন্ন কিছু গোলযোগ আর অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে মোটাদাগে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। দুটি আসনে নির্বাচনী সহিংসতায় একজন নিহত ও দুজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বেশকিছু প্রার্থী। এদিকে, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে রোববার (৭ জানুয়ারি) শেষ বেলায় এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিএনপির বর্জন আর হরতালের মধ্যে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হয়। স্বতন্ত্র এক প্রার্থীর মৃত্যুতে নওগাঁ-২ আসনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ভোট হয় ২৯৯টি আসনে। নিবন্ধিত ২৮টি দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়, বর্জন করেছে ১৬টি দল। ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ছিল ৪২ হাজার ২৪টি।

সরেজমিন ঢাকার অধিকাংশ আসন ঘুরে দেখা যায়, সকালে বেশিরভাগ কেন্দ্র প্রায় ফাঁকাই ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার অল্প কিছু বাড়লেও দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি।

বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠানো তথ্যে দেখা যায়, অনেক আসনেই ভোটার উপস্থিতি ছিল সীমিত। লম্বা লাইন না থাকায় ভোট দিতে বেগ পেতে হয়নি ভোটারদের। কিছু আসনে ভোটারের লাইন দেখা গেলেও তা বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয়নি।

ভোট শেষে সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিভিন্ন আসন থেকে যে তথ্য তারা পেয়েছেন, তাতে ভোটের হার ৪০ শতাংশের মতো হতে পারে বলে তিনি আশা করছেন। সিইসির ভাষায়, এখন পর্যন্ত এটাই নির্ভরযোগ্য তথ্য। পরে সব তথ্য যোগ হলে এই তথ্য বাড়তে বা কমতে পারে।

ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘গুরুতর সহিংসতার কোনো ঘটনা ঘটেনি, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল।’

তবে ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে বর্জনের ঘোষণা দেন বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, গণফোরামের দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নামা আওয়ামী লীগের নেতাও আছেন, আছেন সংসদ সদস্যরাও।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, ১৪০টি কেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার করা হয় ৪২ জনকে। অন্তত ৯টি আসনে ২১টি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে, এই নির্বাচনে জনগণের বিজয় হয়েছে। তবে বিএনপি বলছে, তাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের দীর্ঘদিনের মিত্র জাতীয় পার্টি (জাপা) বলছে, বেশিরভাগ জায়গায় ভোট স্বাভাবিক হয়নি।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ভোট দেয়ায় দেশের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচন হচ্ছে জনগণের বিজয়, যা সারাবিশ্বের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে, এটা জনগণের বিজয়।’

এদিকে, নির্বাচন বর্জনের জন্য জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে জনগণ অভূতপূর্ব রায় দিয়েছে। দুই শতাংশের বেশি ভোটার কেন্দ্রে আসেনি। আমাদের ভোট বর্জন সার্থক হয়েছে। জনগণ সরকারের এই ডামি নির্বাচন বর্জন করেছে।’ রোববার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের রোববার রংপুরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বলতে পারি, বেশিরভাগ জায়গায়ই ভোট স্বাভাবিক হচ্ছে। এটা দিন গড়ালে সামনের দিকে আমরা পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবো।’

জিএম কাদের বলেন, ‘সবসময় আমাদের আশঙ্কা ছিলো, নির্বাচনে নিয়ে এসে আমাদের কোরবানি করা হবে। কোরবানি করলে নির্ভেজাল একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম হবে দেশে। এসব আশঙ্কা সত্যি হয় কিনা বিকেল হলেই বোঝা যাবে।’

ভোট শুরুর পর থেকে দুই ঘণ্টা পরপর সারাদেশে ভোট পড়ার হার কতো, তা জানানো কথা থাকলেও ইসি প্রথম ভোটের হারের তথ্য দেয় চারঘণ্টা পর।

কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে ১৮ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। শেষ বেলায় কমিশন জানায়, বিকেল ৩টা পর্যন্ত অর্থাৎ ভোট শুরুর সাত ঘণ্টা পর সারাদেশে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে।

মুন্সীগঞ্জে একজনকে কুপিয়ে হত্যা
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে (সদর ও গজারিয়া) রোববার এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমের টেঙ্গর শাহী মসজিদ তিন রাস্তার মোড়ে ওই হত্যাকা- ঘটে। নিহত জিল্লুর রহমান (৪৫) টেঙ্গর এলাকার শরীতুল মুন্সীর ছেলে। তিনি এই আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসের সমর্থক।

তবে এই হত্যাকা- নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নয় বলে দাবি করে ইসি। বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের জানিয়েছেন, এটা আসলে ভোটের সাথে সম্পৃক্ত নয়। ওই ব্যক্তি (জিল্লুর রহমান) অন্য কোনো একটি মার্ডার মামলায় আসামি ছিলেন। ওই এলাকায় আসায় ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন বলে পুলিশ সুপার আমাদের জানিয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করলে আমরা জানতে পারব।’

চট্টগ্রামে ২ জন গুলিবিদ্ধ
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-১০ আসনের (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং) পাহাড়তলী কলেজ কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও স্বতন্ত্রের প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। এতে নগরীর আকবর শাহ ?নুরিয়া মাদ্রাসা এলাকার আশিক বড়–য়ার ছেলে শান্ত বড়–য়া (২৪) এবং ঝাউতলা ওয়ারলেস কলোনির আমির হোসেনের ছেলে জামাল (৩৫) গুলিবিদ্ধ হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ওই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে এক ব্যক্তিকে অস্ত্র উঁচিয়ে রাখতে দেখা যায়। স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, গুলি ছোড়া ওই ব্যক্তি নাম শামীম আজাদ। সে নগরীর ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী বলে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নগর আওয়ামী লীগ নেতা নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র মনজুর আলমের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের হয়। এ সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।

নৌকার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চট্টগ্রাম-১৬ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ইসির সচিব জাহাংগীর আলম বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান।

ভোট বর্জন অনেকের
ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে জাতীয় পার্টি, বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, গণফোরামের দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে নামা আওয়ামী লীগের নেতাও আছেন, আছেন সংসদ সদস্যরাও।

এর মধ্যে সিলেটের একটি আসনেই সংসদ সদস্য চার প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন সিলেট-২, লালমনিরহাট-২, কক্সবাজার-৪, কুড়িগ্রাম-৪ ও নারায়ণগঞ্জ-২ আসনে।

সিলেট-২, সিলেট-৩, কুমিল্লা-১১ , কক্সবাজার-১, কক্সবাজার-৩, টাঙ্গাইল-২, কুড়িগ্রাম-৪ ও যশোর-১ আসনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নির্বাচনী তথ্য
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে শরিক ১৪ দলসহ আওয়ামী লীগের নৌকা ২৭১, জাতীয় পার্টির ২৬৫ সহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের ১ হাজার ৫৩৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর বাইরে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্রের প্রার্থীর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক আর আলোচিত প্রার্থীও ছিলেন। বিএনপির দলছুট কয়েকজনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর সাবেক বিএনপি নেতাদের নবসৃষ্ট দুটি দলও নির্বাচনে ছিল।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় দশম সংসদ নির্বাচন। বিরোধীদল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল। ইসির তথ্য অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪১ শতাংশ।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি দল। ইসি জানায়, ওই নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ২০.৭৬ শতাংশ।

১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ চতুর্থ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অনেক দলই অংশ নেয়নি। ইসির তথ্য অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৫৪.৯৩ শতাংশ।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় ২০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষক এবং দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক এবারের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।

back to top