alt

জাতীয়

শিশু আয়ানের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে হাইকোর্টের ‘অসন্তুষ্ট, তদন্তে নতুন কমিটি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ‘সন্তুষ্ট হতে পারেনি’ উচ্চ আদালত। এ কারণে হাইকোর্ট এই ঘটনায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে নতুন তদন্ত কমিটিও গঠন করে দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর আনন্দ নিয়েই রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অনুমতি ছাড়াই ‘ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে’ সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। পরে তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গত ৭ জানুয়ারি সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির।

এই ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে করা কমিটির অন্য ৩ সদস্যের মধ্যে ১ জন মুগদা হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ, আরেকজন মুগদা হাসপাতালেরই একজন সহকারী পরিচালক ছিলেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালকও রয়েছেন এই কমিটিতে।

গত ২৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে ‘আইওয়াশ‘ও ‘হাস্যকর‘ বলেছিল হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য বিভাগ ‘দায় এড়ানোর জন্য’ এই ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে বলেও সেদিন মন্তব্য করেছিল আদালত। গতকাল প্রতিবেদনের ওপর শুনানির এক পর্যায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটির রিপোর্ট আমাদের মনঃপূত হয়নি। আমরা পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি করে দিচ্ছি।’

৫ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মাকসুদুল আলম। অন্যরা হলেন- শশাঙ্ক কুমার মণ্ডল, আজিজুর রহমান কাজল, সাথী মর্তুজা ও আমিনুর রশীদ। এই চারজনের মধ্যে তিনজন চিকিৎসক ও একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সেটি আদালতের মনঃপূত হয়নি। এজন্য পুনরায় তদন্ত করতে নতুন কমিটি করে দিয়েছেন আদালত। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।’

এদিন রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া আরজু। রিটের পক্ষে আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। শুনানির সময় শিশুটির বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে পক্ষভুক্ত হওয়ার শুনানিতে ছিলেন মো. শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট যায়েদ বিন আমজাদ। অন্যাদিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা, অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে ও ব্যারিস্টার শেখ ওমার শরীফ।

শিশুটির মৃত্যুর পর তার স্বজনরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন। আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসক আমাদের ডেকে বলেন যে দুনিয়াতে আয়ান আর নেই। তারা খুব তড়িঘড়ি করে আমাদের বের করে দেন।’

আয়ানের পরিবারের অভিযোগ, ‘অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে। এমনকি প্রথমে ১০ হাজার টাকার প্যাকেজে অপারেশনের কথা থাকলেও বিল ধরানো হয় প্রায় ছয় লাখ টাকা।’

এই ঘটনায় আয়ানের বাবা শামীম আহামেদ বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন- ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট সাইদ সাব্বির আহমেদ, সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবিন ও অজ্ঞাতনামা পরিচালকসহ কয়েকজন।

আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ। রিটে আয়ানের মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল এবং নতুন রোগী ভর্তি না করার নির্দেশনা চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদনও করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। এ রিট মামলায় পরে শিশু আয়ানের বাবা পক্ষভুক্ত হন এবং পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। এতে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

বেরোবির পাঠ্যক্রমে অর্ন্তভুক্ত হচ্ছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস

ছবি

গার্ডারভর্তি লরি রেল লাইনে, পর্যটক এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত

ছবি

সুখবর নেই বাজারে

ছবি

জীবনবাজি রেখে কর্মসূচির ঘোষণা জি এম কাদেরের, ডিএমপির নিষেধাজ্ঞা

ছবি

প্রধান উপদেষ্টা কাল সাফ চ্যাম্পিয়নদের সংবর্ধনা দেবেন

ছবি

তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

তরুণ প্রজন্মই বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে : নাহিদ

ছবি

‘মেঘ কেটে যায়নি, টের পাচ্ছি’: সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের

ছবি

প্রতি সপ্তাহে ২০০ শহীদ পরিবার অনুদান পাবে : সারজিস

ছবি

রবিবার থেকে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মনিটরিং কমিটি

ছবি

আগামীকাল ঢাকায় বসছে দ্বিতীয় সাউথ এশিয়ান জলবায়ু সম্মেলন

ছবি

স্পিকারের অনুপস্থিতিতে সংসদীয় দায়িত্বে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

গঠন হলো সার্চ কমিটি, এবার নতুন ইসি

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে ১৬০০০ নাম্বার থেকে

ছবি

ঢাকা শহরকে দূষণমুক্ত ও বাসযোগ্য করতে যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে :সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

ছবি

জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, আগুন

ছবি

সিদ্ধান্তে পরিবর্তন, বিসিএস দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ চার বার

ছবি

খালেদা জিয়ার আরেক মামলার কার্যক্রম বাতিল

ছবি

রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি

গেরুয়া পতাকা টাঙানোর ঘটনায় সমালোচনা, দুইজন গ্রেপ্তার

ছবি

ইসি গঠনে ‘সার্চ কমিটি’ গঠন, সভাপতি বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

ছবি

পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি

গার্মেন্টস শ্রমিকদের বিক্ষোভ, পুলিশের গাড়িতে আগুন

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অফিস নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

ডিসেম্বরের শুরুতে প্রতিবেদন দেবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন, আশা ফলকার টুর্কের

ছবি

নতুন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়: ভলকার তুর্ক

ছবি

নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে: নাহিদ ইসলাম

ছবি

পুতুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ, ডব্লিউএইচওর সঙ্গে সরাসরি কাজ করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার

ছবি

রাস্তায় জনদুর্ভোগ তৈরি না করে ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ শিক্ষা উপদেষ্টার

ছবি

আট জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

ছবি

সংস্কার কমিশনকে সহায়তায় প্রস্তুত জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশন

ছবি

হজ প্যাকেজ ঘোষণা, কোনটিতে কত খরচ পড়ছে

ছবি

জাতি গঠনের সুযোগ নষ্ট হলে বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে : ড. ইউনূস

ছবি

আড়িপাতার ব্যবস্থাসহ স্যাটেলাইট ইন্টারনেট–সেবা চালুর খসড়া গাইডলাইন প্রকাশ

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ১৩১২ জন হাসপাতালে, ৬ জনের মৃত্যু

ছবি

বৈষম বিরোধী আন্দোলনে উত্তরায় ট্রাকের হেলপার হত্যায় মামলা

tab

জাতীয়

শিশু আয়ানের মৃত্যু: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে হাইকোর্টের ‘অসন্তুষ্ট, তদন্তে নতুন কমিটি

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে হাসপাতালে শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ‘সন্তুষ্ট হতে পারেনি’ উচ্চ আদালত। এ কারণে হাইকোর্ট এই ঘটনায় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে নতুন তদন্ত কমিটিও গঠন করে দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর আনন্দ নিয়েই রাজধানীর সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে। অনুমতি ছাড়াই ‘ফুল অ্যানেস্থেসিয়া দিয়ে’ সুন্নতে খতনা করান চিকিৎসক। এরপর আর জ্ঞান ফেরেনি তার। পরে তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গত ৭ জানুয়ারি সেখানেই মৃত্যু হয় শিশুটির।

এই ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ তদন্তে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধানের নেতৃত্বে করা কমিটির অন্য ৩ সদস্যের মধ্যে ১ জন মুগদা হাসপাতালের এনেসথেসিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ, আরেকজন মুগদা হাসপাতালেরই একজন সহকারী পরিচালক ছিলেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালকও রয়েছেন এই কমিটিতে।

গত ২৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে ‘আইওয়াশ‘ও ‘হাস্যকর‘ বলেছিল হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য বিভাগ ‘দায় এড়ানোর জন্য’ এই ধরনের রিপোর্ট দাখিল করেছে বলেও সেদিন মন্তব্য করেছিল আদালত। গতকাল প্রতিবেদনের ওপর শুনানির এক পর্যায়ে জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটির রিপোর্ট আমাদের মনঃপূত হয়নি। আমরা পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি করে দিচ্ছি।’

৫ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মাকসুদুল আলম। অন্যরা হলেন- শশাঙ্ক কুমার মণ্ডল, আজিজুর রহমান কাজল, সাথী মর্তুজা ও আমিনুর রশীদ। এই চারজনের মধ্যে তিনজন চিকিৎসক ও একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রয়েছেন।

রিট আবেদনকারী আইনজীবী এ বি এম শাহজাহান আকন্দ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তদন্ত কমিটি যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে সেটি আদালতের মনঃপূত হয়নি। এজন্য পুনরায় তদন্ত করতে নতুন কমিটি করে দিয়েছেন আদালত। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।’

এদিন রাষ্ট্রপক্ষে প্রতিবেদন তুলে ধরেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া আরজু। রিটের পক্ষে আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ নিজেই শুনানি করেন। শুনানির সময় শিশুটির বাবা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে পক্ষভুক্ত হওয়ার শুনানিতে ছিলেন মো. শিশির মনির। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট যায়েদ বিন আমজাদ। অন্যাদিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এম. সাঈদ আহমেদ রাজা, অ্যাডভোকেট কুমার দেবুল দে ও ব্যারিস্টার শেখ ওমার শরীফ।

শিশুটির মৃত্যুর পর তার স্বজনরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, আয়ানের সুন্নতে খতনার দিন অপারেশন থিয়েটারে মূলত ওই মেডিকেল কলেজের ৪০ থেকে ৫০ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভেতরে ছিলেন। আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ বলেন, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে চিকিৎসক আমাদের ডেকে বলেন যে দুনিয়াতে আয়ান আর নেই। তারা খুব তড়িঘড়ি করে আমাদের বের করে দেন।’

আয়ানের পরিবারের অভিযোগ, ‘অস্ত্রোপচারের সময় এমন ঘটনার পর অবস্থা বেগতিক দেখে সাতারকুল ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ থেকে পাঠানো হয় গুলশান-২ ইউনাইটেড হাসপাতালে। এমনকি প্রথমে ১০ হাজার টাকার প্যাকেজে অপারেশনের কথা থাকলেও বিল ধরানো হয় প্রায় ছয় লাখ টাকা।’

এই ঘটনায় আয়ানের বাবা শামীম আহামেদ বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন- ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিওলজিস্ট সাইদ সাব্বির আহমেদ, সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তাসনুভা মাহজাবিন ও অজ্ঞাতনামা পরিচালকসহ কয়েকজন।

আয়ানের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ। রিটে আয়ানের মৃত্যুর জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

একই সঙ্গে হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল এবং নতুন রোগী ভর্তি না করার নির্দেশনা চেয়ে একটি সম্পূরক আবেদনও করে রিট আবেদনকারী পক্ষ। এ রিট মামলায় পরে শিশু আয়ানের বাবা পক্ষভুক্ত হন এবং পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের দাবি করেন। এতে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

back to top