উচ্চ আদালতে বাংলাভাষার ব্যবহার বেড়েছে চোখে পড়ার মত। বেড়েছে বাংলায় দেওয়া রায়ের সংখ্যা; যা একসময় চিন্তাও করা যেত না । রয়েছে ওয়েবসাইটের ইংরেজি রায়কে বাংলায় অনুবাদ করে দেখার সুযোগ। সুপ্রিম কোর্টে আজকাল অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনজীবীদের বাংলায় শুনানি করতে দেখা যায়। আদালতের জিজ্ঞাসায়ও দেখা যায় বাংলা ভাষার ব্যবহার।
তবে এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে বাংলায় কতটি আদেশ ও রায় হয়েছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে বাংলায় দেয়া রায়ের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ইংরেজিতে প্রকাশিত সব রায় ও আদেশ বাংলায় দেখতে গত বছর থেকে নতুন প্রযুক্তি সেবা যুক্ত করা হয়েছে। এখান থেকে গুগল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচার প্রার্থী ও আইনজীবী বা যেকোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইটে ইংরেজিতে প্রকাশিত রায়-আদেশ বাংলায় অনুবাদ করে দেখতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ মিলে বর্তমানে শতাধিক বিচারপতি রয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানও বাংলায় রায় লিখেছেন। আপিল বিভাগের বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম অসংখ্য রায় বাংলা ভাষায় দিয়েছেন। এছাড়া আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) হত্যা মামলার ১৬ হাজার ৫৫২ পৃষ্ঠার রায় বাংলায় লিখেছেন।
আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বাংলায় অসংখ্য রায় ও আদেশ প্রদান করেছেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল নিয়মিত বাংলা ভাষায় রায় ও আদেশ দিয়ে আসছেন।
এছাড়াও ভাষার মাসের সম্মানে বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষায় রায় ও আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার,বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম, বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান, বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান, বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ।
উচ্চ আদালতে বিভিন্ন মামলার রায়–আদেশে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ১০ বছর আগেও বাংলায় রায়–আদেশ ছিল হাতেগোনা। এখন আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে ৭০ শতাংশ মামলায় আইনজীবীদের বাংলায় যুক্তি উপস্থাপন করতে দেখা যায়। এছাড়া এখন অনেক বিচারপতি বাংলায় রায় দিয়ে আসছেন। তবে সংগত কারণে সব মামলায় বাংলা ভাষায় রায় দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ অনেক মামলায় বিদেশি পক্ষ থাকে। এছাড়া বিদেশি বিভিন্ন রায়ের নজির উপস্থাপন করা হয়। এ কারণে ইংরেজি ভাষায় রায় দিতে হয়। তবে এখন ইংরেজি ভাষায় দেয়া রায় বাংলায় অনুবাদের সুযোগ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে।
বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
উচ্চ আদালতে বাংলাভাষার ব্যবহার বেড়েছে চোখে পড়ার মত। বেড়েছে বাংলায় দেওয়া রায়ের সংখ্যা; যা একসময় চিন্তাও করা যেত না । রয়েছে ওয়েবসাইটের ইংরেজি রায়কে বাংলায় অনুবাদ করে দেখার সুযোগ। সুপ্রিম কোর্টে আজকাল অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনজীবীদের বাংলায় শুনানি করতে দেখা যায়। আদালতের জিজ্ঞাসায়ও দেখা যায় বাংলা ভাষার ব্যবহার।
তবে এ পর্যন্ত উচ্চ আদালতে বাংলায় কতটি আদেশ ও রায় হয়েছে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানা যায়নি। কিন্তু গত কয়েক বছরের তুলনায় বর্তমানে বাংলায় দেয়া রায়ের সংখ্যা বাড়ছে। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ইংরেজিতে প্রকাশিত সব রায় ও আদেশ বাংলায় দেখতে গত বছর থেকে নতুন প্রযুক্তি সেবা যুক্ত করা হয়েছে। এখান থেকে গুগল প্রযুক্তির মাধ্যমে বিচার প্রার্থী ও আইনজীবী বা যেকোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইটে ইংরেজিতে প্রকাশিত রায়-আদেশ বাংলায় অনুবাদ করে দেখতে পারেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ মিলে বর্তমানে শতাধিক বিচারপতি রয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানও বাংলায় রায় লিখেছেন। আপিল বিভাগের বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম অসংখ্য রায় বাংলা ভাষায় দিয়েছেন। এছাড়া আপিল বিভাগের বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) হত্যা মামলার ১৬ হাজার ৫৫২ পৃষ্ঠার রায় বাংলায় লিখেছেন।
আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বাংলায় অসংখ্য রায় ও আদেশ প্রদান করেছেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল নিয়মিত বাংলা ভাষায় রায় ও আদেশ দিয়ে আসছেন।
এছাড়াও ভাষার মাসের সম্মানে বিভিন্ন সময়ে বাংলা ভাষায় রায় ও আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব, বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার,বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম, বিচারপতি গোবিন্দ্র চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস, বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান, বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান, বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ।
উচ্চ আদালতে বিভিন্ন মামলার রায়–আদেশে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ১০ বছর আগেও বাংলায় রায়–আদেশ ছিল হাতেগোনা। এখন আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে ৭০ শতাংশ মামলায় আইনজীবীদের বাংলায় যুক্তি উপস্থাপন করতে দেখা যায়। এছাড়া এখন অনেক বিচারপতি বাংলায় রায় দিয়ে আসছেন। তবে সংগত কারণে সব মামলায় বাংলা ভাষায় রায় দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ অনেক মামলায় বিদেশি পক্ষ থাকে। এছাড়া বিদেশি বিভিন্ন রায়ের নজির উপস্থাপন করা হয়। এ কারণে ইংরেজি ভাষায় রায় দিতে হয়। তবে এখন ইংরেজি ভাষায় দেয়া রায় বাংলায় অনুবাদের সুযোগ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে।