alt

জাতীয়

দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করার আহবান জানিয়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেন, দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের প্রতিনিয়ত মারধরসহ নানা ধরনের নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট আইনই ওই সকল শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে বলেও জানান তারা।

তারা বলেন, সরকার ২০১৩ সালের মার্চ মাসে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ন কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এই তালিকায় এখন পরযন্ত মোট ৪৩ টি কাজ শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই তালিকাতে গৃহকাজে শিশুশ্রম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলনকক্ষে ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), শাপলা নীড় ও এডুকো-বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুশ্রম বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

তা না হলে আমরা সভ্য সমাজের বাসিন্দা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহকর্মে নিয়োজিত অনেক শিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আবার কেউ আশ্রয় নেয় যৌনপল্লীতে, এমনকি জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে।

শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয়, সকল প্রকার শিশুশ্রম বন্ধে সকলকে কাজ করার আহবান জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে ।

সিনিয়র সহকারী সচিব খোন্দকার মো. নাজমূল হুদা শামিম বলেন সারা দেশে শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা চারটি প্রকল্পের আওতায় চার লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা শিশুশ্রম নিরসন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিলে শ্রম মন্ত্রণালয় সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

দৈনিক সংবাদ এর বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক বলেন, শ্রম আইন ও গৃহকর্মী আইনের পার্থক্য থাকার কথাভ কিন্তু সুনির্দিষ্ট আইন নাই। আর শুধু আইন করলেই হবে না, তার বাস্তবায়ন ও প্রচার প্রচারণা বিশেষভাবে করতে হবে। গৃহকাজে সন্তানদের কেন দিচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভাপতির বক্তব্যে এএসডি পরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) আলোকে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের এই প্রতিশ্রুতি ও ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু গৃহকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’

সংলাপে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক কাজী আরফান আশিক, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর থমকো উচিয়ামা, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, এডুকোর ম্যানেজার আফজাল কবির খান, লেবার ফাউন্ডেশনের মিতু খাতুন, এএসডির ফিরোজা আক্তার শম্পা প্রমুখ। মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ সরফুদ্দিন খান।

ছবি

স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএম বাদ, নতুন নীতিমালায় বড় পরিবর্তন

ছবি

হত্যাকারীদের বিচার না করে নির্বাচন নয়: নাহিদ

দেশে নারী ও শিশু নির্যাতন মহামারীর পর্যায়ে: উপদেষ্টা

শ্রীপুরে বই আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী, শিক্ষক কারাগারে

ওসমানী হাসপাতালের বারান্দায় দুই নারীর সন্তান প্রসব, এক নবজাতকের মৃত্যু

বিএমইটির ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফ কমান্ডারসহ নিহত ২

ছবি

সিলেটে পাথর কোয়ারী ‘দখল’: সবার স্বপ্ন এক

তাভেল্লা হত্যা: তিনজনের যাবজ্জীবন

ছবি

‘অপরাধকে লেবাস দিয়ে কালারিং করার প্রয়োজন নাই’

সরকারি কর্মচারীদের তদন্ত ছাড়া শাস্তি নয়, অধ্যাদেশ সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদন

রোহিঙ্গা নাগরিক মোস্তফা ‘পাচ্ছেন জুলাই শহীদের স্বীকৃতি’

কলাবাগানে ভাঙচুর-চাঁদাবাজি: বরখাস্ত ওসি ও এসআইদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে সিআইডি

এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

ভোটের আগে টেলিকম নীতিমালা নিয়ে বিএনপির উদ্বেগ

ছবি

কুমিল্লার মুরাদনগরে এবার গণপিটুনি, দুই সন্তানসহ নিহত হলেন নারী

কোনো সেনা সদস্য ‘গুমে’ জড়িত থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা : সেনা সদর

স্থানীয় সরকার নির্বাচন: ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা প্রকাশ

রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান ও বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ ইস্যুতে ‘ঐকমত্য’

ছবি

বৃষ্টি ও ঝুঁকির কারণে কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে বলল পানি উন্নয়ন বোর্ড

ছবি

পটিয়ার ঘটনায় ওসির স্থায়ী অপসারণসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা

ছবি

উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগের বাছাই পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ছবি

মালয়েশিয়ায় আটক বাংলাদেশিদের বিষয়ে জানতে চেয়েছে সরকার : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৫৮

ছবি

৯ কোটি টাকার অনুদান, পিচিং নিয়ে নির্মাতাদের অভিযোগ

ছবি

তাভেল্লা হত্যা: তিনজনের যাবজ্জীবন, বিএনপি নেতা কাইয়ুমসহ চারজন খালাস

ছবি

জুলাই স্মৃতি উদযাপনে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট’ কর্মসূচি বাতিল

ছবি

সংস্কার নিয়ে ৫৩ বছরে এমন আলোচনার সুযোগ হয়নি: আলী রীয়াজ

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ব্যাপকতা ও প্রভাবের মুখে শহর: ঝুঁকি হ্রাসে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন

ছবি

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে: রাষ্ট্রদূত

ছবি

সাবেক এমপি ও ক্রিকেট অধিনায়ক দুর্জয় গ্রেপ্তার

সাবেক সিইসি নূরুল হুদার জামিন নামঞ্জুর

‘দুর্নীতি করতে বিদেশে জনশক্তি পাঠানোর প্রক্রিয়া জটিল করা হয়’

ডেঙ্গুতে মৃত্যু ১, আক্রান্ত ৪১৬ জন

ভুয়া তথ্য ঠেকাতে জাতিসংঘের উদ্যোগ চান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

দালাই লামা জানালেন, পুরনো নিয়ম মেনে উত্তরসূরি ঠিক করবে ট্রাস্ট

tab

জাতীয়

দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন করার আহবান জানিয়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেন, দেশে ৪০ শতাংশ শিশু নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের প্রতিনিয়ত মারধরসহ নানা ধরনের নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট আইনই ওই সকল শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে বলেও জানান তারা।

তারা বলেন, সরকার ২০১৩ সালের মার্চ মাসে শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ন কাজের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। এই তালিকায় এখন পরযন্ত মোট ৪৩ টি কাজ শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও এই তালিকাতে গৃহকাজে শিশুশ্রম অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলনকক্ষে ‘গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুর অধিকার ও সুরক্ষায় সুনির্দিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা, উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (এএসডি), শাপলা নীড় ও এডুকো-বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সংলাপের আয়োজন করে।

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুশ্রম বিশ্বের কোথাও গ্রহণযোগ্য নয়। তাই শিশুশ্রম বন্ধ করে শিশুদের মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে।

তা না হলে আমরা সভ্য সমাজের বাসিন্দা কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেবে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহকর্মে নিয়োজিত অনেক শিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আবার কেউ আশ্রয় নেয় যৌনপল্লীতে, এমনকি জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে।

শুধু ঝুঁকিপূর্ণ নয়, সকল প্রকার শিশুশ্রম বন্ধে সকলকে কাজ করার আহবান জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করছে ।

সিনিয়র সহকারী সচিব খোন্দকার মো. নাজমূল হুদা শামিম বলেন সারা দেশে শিশুশ্রম বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট শিশুশ্রম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা চারটি প্রকল্পের আওতায় চার লাখ শিশুকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা শিশুশ্রম নিরসন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিলে শ্রম মন্ত্রণালয় সহযোগিতা দেবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

দৈনিক সংবাদ এর বার্তা সম্পাদক কাজী রফিক বলেন, শ্রম আইন ও গৃহকর্মী আইনের পার্থক্য থাকার কথাভ কিন্তু সুনির্দিষ্ট আইন নাই। আর শুধু আইন করলেই হবে না, তার বাস্তবায়ন ও প্রচার প্রচারণা বিশেষভাবে করতে হবে। গৃহকাজে সন্তানদের কেন দিচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখতে হবে।

গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করে সভাপতির বক্তব্যে এএসডি পরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলের (এসডিজি) আলোকে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে সব ধরনের শিশুশ্রম নিরসনে অঙ্গীকারবদ্ধ। সরকারের এই প্রতিশ্রুতি ও ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু গৃহকর্মীর অধিকার ও সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে একটি যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন ও তার সফল বাস্তবায়ন প্রয়োজন।’

সংলাপে বক্তব্য দেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মো. সেলিম রেজা ও পরিচালক কাজী আরফান আশিক, শাপলা নীড়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর থমকো উচিয়ামা, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, এডুকোর ম্যানেজার আফজাল কবির খান, লেবার ফাউন্ডেশনের মিতু খাতুন, এএসডির ফিরোজা আক্তার শম্পা প্রমুখ। মানবাধিকার কমিশনের উপপরিচালক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিশু সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ সরফুদ্দিন খান।

back to top