alt

জাতীয়

কৃষকের হাতে তৈরি লাল চিনি, বিক্রি শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) থেকে : মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) : লাল চিনি তৈরির আগে জ্বাল করে আখের রস থেকে চিনি তৈরি করা হচ্ছে। পাশে আখ ক্ষেত-সংবাদ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় বাতাসে বইছে লাল চিনির মিষ্টি গন্ধ। লাল চিনি তৈরিতে ধুম পড়েছে উপজেলার পলাশতলী, রঘুনাথপুর, আছিম, রাধাকানাইসহ আখের চাষকৃত এলাকায়।

এবারের মৌসুমে উপজেলায় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য হাতে তৈরি লাল চিনি বিক্রি এক’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে মনে করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

অগ্রাহায়ণ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত লাল চিনি উৎপাদিত মৌসুম। এই চিনি উৎপাদনে প্রাচীন প্রক্রিয়া করণ কৌশল ও তৈজস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাতে তৈরি লাল চিনি সম্পূর্ণভাবে কেমিক্যাল মুক্ত এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হাতে তৈরি এই চিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ব্যতীত দেশের আর কোথায়ও উৎপাদিত হয় না। চিনি উৎপাদনে দেশি জাতীয় আখ ব্যবহার হয়ে থাকে। উৎপাদনের জন্য অধিক কার্যকরী ও লাল মাটিতে রোপিত আখ থেকে অধিক লাল চিনি উৎপাদন হয়।

ফুলবাড়ীয়ার হাতে তৈরি লাল চিনি এক প্রকার সুমিষ্ট পদার্থ, যা আখের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়।

ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার হাতে তৈরি এই চিনি কালক্রমে সাদা চিনির বাজার আধিপত্য থাকায় তা এখন ময়মনসিংহ অঞ্চল পর্যন্ত সীমিত থাকলেও এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় প্যাকেট জাত লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ।

ধারণা করা হচ্ছে সভ্যতার যাঁতাকলে পিষ্ট প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ঐতিহাসিক চিনি এখনো তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে পেরেছে। কালের বিবর্তনে তা লাল চিনি নাম ধারণ করেছে। জনশ্রুতি অনুসারে ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় প্রায় ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে সভ্যতার সাক্ষী হয়ে ফুলবাড়ীয়ার কৈয়ারচালা, বিদ্যানন্দ, বাকতা, পলাশতলী, আছিম ও রঘুনাথপুর এলাকায় লাল চিনি এখনো কৃষকের ঘরে ঘরে বেঁচে আছে।

পলাশতলী গ্রামের আখ চাষি আবদুল মালেক বলেন, এ বছর ১০ কাঠা জমিতে আখ চাষ করেছি। চিনির বাজার ভালো পাওয়ায় আগামীতে আরো বেশি আখ আবাদ করবো।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন, চলতি বছর ফুলবাড়ীয়ায় আখের আবাদ হয়েছে ৯শ ৫০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৬৫০ হেক্টর। পলাশতলী, কৈয়ারচালা, বাকতা, রঘুনাথপুর, রাঙ্গামাটিয়া, এনায়েতপুর, রামনগর, ভবানীপুর, কুশমাইল এলাকায় আখের আবাদ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে ৬৫০ হেক্টর আবাদি জমিতে বায়ান্ন মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হয়েছে। প্রতি হেক্টরের উৎপাদিত আখ থেকে ৩২ হাজার লিটার আখের রস পাওয়া যায়। যেখান থেকে প্রতি হেক্টরে আট মেট্রিক টন লাল চিনি হয়। এবার মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কাঠার আখ চাষীরা ৫ থেকে সাড়ে ৫ মণ চিনি পাবে। বর্তমানে বাজারদর প্রতি মন চিনির মূল্য সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন শুকনো লাল চিনির বাজারদর হিসেবে ফুলবাড়ীয়ায় এ বছর ১০৪ কোটি টাকার চিনি বিক্রি করতে পারবে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ বলেন, ফুলবাড়ীয়ার এই লাল চিনি উচ্চ মান সম্প^ন্ন এবং একান্তই স্থানীয় বিশেষ পণ্য। হাতে লাল চিনি তৈরি অনেক কষ্ট দায়ক। এই চিনির একটি মিষ্টি গন্ধ রয়েছে, সুস্বাধু ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে কৃষকরা হাতে লাল চিনি তৈরী করে। সারাদেশ ব্যাপী লাল চিনির চাহিদা রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি ফুলবাড়ীয়ার লাল চিনি বিভিন্ন সুপার সপ প্যাকেট জাত হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। এই চিনি আন্তর্জাতিক বাজারজাত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া এটি জিআই পণ্য হিসেবে অন্তরভুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

ছবি

আইভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, ৬ ঘন্টার আভিযান, এলাকাবাসীর বাধা

ছবি

বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীর ক্ষমতা বহাল থাকছে দুই মাস

‘উলবাকিয়া মশা’ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন সম্ভাবনা: আইসিডিডিআর’বি

সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মৌন প্রতিবাদ সমাবেশ

বিএনপির সদস্য সংগ্রহ: যোগ দিতে পারে আ’লীগের ‘ক্লিন ইমেজের’ লোকও

ছবি

ববি’র ভিসির পদত্যাগ দাবি : শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরাও

ছবি

আবদুল হামিদের দেশত্যাগ: পুলিশ সুপার প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

বিচার কার্যক্রম ত্বরান্বেতে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২

ছবি

মুন্সীগঞ্জের নিমতলায় ৫ জনসহ পাঁচ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১১

রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টের রায়ের পরবর্তী অংশ ঘোষণা ১৩ মে

এবার টিউলিপকে দুদকে তলব

ছাত্রদের বাদ দিয়ে ‘দ্বি-দলীয় বন্দোবস্তে’ ফিরতে ‘এস্টাবলিশমেন্ট অপেক্ষমাণ’: তথ্য উপদেষ্টা

চট্টগ্রাম বন্দরে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে নেদারল্যান্ড: বিডা চেয়ারম্যান

প্রতিদিন নতুন নতুন সংস্কারের লিস্ট, সব জটিল হয়ে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ছবি

ভারত-পাকিস্তান: পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত, বড় ধরনের সামরিক সংঘাতের আশঙ্কা

ছবি

সাবেক রাষ্ট্রপতির দেশত্যাগে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারলে পদত্যাগ করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

পাকিস্তানে ভারতের হামলা দুঃখজনক: চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন

ছবি

ছাত্রদের বাদ দিয়ে দ্বিদলীয় বন্দোবস্তে ফিরতে চায় এস্টাবলিশমেন্ট: মাহফুজ আলম

চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

ছবি

রমনা বটমূলে বোমা হামলা: হাইকোর্টে রায় পড়া শুরু

খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা, সবাইকে ধন্যবাদ তারেক রহমানের

হত্যার তিন মাস পর কারামুক্ত হই, আদালতকে লিটন

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বেতন কমানোর নির্দেশ

সাবেক আইজিপি শহীদুল ও দুইজনকে দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

মিথ্যা মামলা: আসামি খালাস, বাদীর সাজা

ছবি

বিশ্বকবির ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার

ছবি

দেশে প্রথম জলাভূমিনির্ভর প্রাণীদের দু’টি অভয়ারণ্য ঘোষণা

ছবি

ঘোড়াঘাটে পানির দরে আলু বিক্রি, পথে বসেছেন চাষিরা

ছবি

একযোগে বিআরটিএ’র ৩৫ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

ভারত যেভাবে লোকজনকে ঠেলে দিচ্ছে, তা ‘ঠিক নয়’: খলিলুর

ছবি

কুড়িগ্রামে ৩৬ রোহিঙ্গাসহ ৮ বাংলাদেশিকে পুশইন করেছে বিএসএফ

ছবি

শেখ হাসিনাকে দুদকে তলব

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের প্রশ্ন

৬ হাজার কোটি টাকার হিসাব না দিয়েই ‘পালিয়েছেন’ সাবেক প্রকল্প পরিচালক : উপদেষ্টা

সালমান পরিবারের ৯৪ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ

ঐকমত্যে পৌঁছাতে ছাড় দেবে নাগরিক ঐক্য

tab

জাতীয়

কৃষকের হাতে তৈরি লাল চিনি, বিক্রি শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) থেকে

ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ) : লাল চিনি তৈরির আগে জ্বাল করে আখের রস থেকে চিনি তৈরি করা হচ্ছে। পাশে আখ ক্ষেত-সংবাদ

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় বাতাসে বইছে লাল চিনির মিষ্টি গন্ধ। লাল চিনি তৈরিতে ধুম পড়েছে উপজেলার পলাশতলী, রঘুনাথপুর, আছিম, রাধাকানাইসহ আখের চাষকৃত এলাকায়।

এবারের মৌসুমে উপজেলায় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য হাতে তৈরি লাল চিনি বিক্রি এক’শ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে মনে করছেন উপজেলা কৃষি অফিস।

অগ্রাহায়ণ মাস থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত লাল চিনি উৎপাদিত মৌসুম। এই চিনি উৎপাদনে প্রাচীন প্রক্রিয়া করণ কৌশল ও তৈজস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। হাতে তৈরি লাল চিনি সম্পূর্ণভাবে কেমিক্যাল মুক্ত এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। হাতে তৈরি এই চিনি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলা ব্যতীত দেশের আর কোথায়ও উৎপাদিত হয় না। চিনি উৎপাদনে দেশি জাতীয় আখ ব্যবহার হয়ে থাকে। উৎপাদনের জন্য অধিক কার্যকরী ও লাল মাটিতে রোপিত আখ থেকে অধিক লাল চিনি উৎপাদন হয়।

ফুলবাড়ীয়ার হাতে তৈরি লাল চিনি এক প্রকার সুমিষ্ট পদার্থ, যা আখের রস থেকে প্রস্তুত করা হয়।

ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার হাতে তৈরি এই চিনি কালক্রমে সাদা চিনির বাজার আধিপত্য থাকায় তা এখন ময়মনসিংহ অঞ্চল পর্যন্ত সীমিত থাকলেও এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় প্যাকেট জাত লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ।

ধারণা করা হচ্ছে সভ্যতার যাঁতাকলে পিষ্ট প্রাচীন ঐতিহ্যের ধারক ঐতিহাসিক চিনি এখনো তার অস্তিত্ব বজায় রাখতে পেরেছে। কালের বিবর্তনে তা লাল চিনি নাম ধারণ করেছে। জনশ্রুতি অনুসারে ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় প্রায় ২০০ বছরের অধিক সময় ধরে সভ্যতার সাক্ষী হয়ে ফুলবাড়ীয়ার কৈয়ারচালা, বিদ্যানন্দ, বাকতা, পলাশতলী, আছিম ও রঘুনাথপুর এলাকায় লাল চিনি এখনো কৃষকের ঘরে ঘরে বেঁচে আছে।

পলাশতলী গ্রামের আখ চাষি আবদুল মালেক বলেন, এ বছর ১০ কাঠা জমিতে আখ চাষ করেছি। চিনির বাজার ভালো পাওয়ায় আগামীতে আরো বেশি আখ আবাদ করবো।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছেন, চলতি বছর ফুলবাড়ীয়ায় আখের আবাদ হয়েছে ৯শ ৫০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ৬৫০ হেক্টর। পলাশতলী, কৈয়ারচালা, বাকতা, রঘুনাথপুর, রাঙ্গামাটিয়া, এনায়েতপুর, রামনগর, ভবানীপুর, কুশমাইল এলাকায় আখের আবাদ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে ৬৫০ হেক্টর আবাদি জমিতে বায়ান্ন মেট্রিক টন আখ উৎপাদন হয়েছে। প্রতি হেক্টরের উৎপাদিত আখ থেকে ৩২ হাজার লিটার আখের রস পাওয়া যায়। যেখান থেকে প্রতি হেক্টরে আট মেট্রিক টন লাল চিনি হয়। এবার মৌসুমের শুরুতেই প্রতি কাঠার আখ চাষীরা ৫ থেকে সাড়ে ৫ মণ চিনি পাবে। বর্তমানে বাজারদর প্রতি মন চিনির মূল্য সাড়ে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা। প্রতি হেক্টরে ৮ মেট্রিক টন শুকনো লাল চিনির বাজারদর হিসেবে ফুলবাড়ীয়ায় এ বছর ১০৪ কোটি টাকার চিনি বিক্রি করতে পারবে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নূর মোহাম্মদ বলেন, ফুলবাড়ীয়ার এই লাল চিনি উচ্চ মান সম্প^ন্ন এবং একান্তই স্থানীয় বিশেষ পণ্য। হাতে লাল চিনি তৈরি অনেক কষ্ট দায়ক। এই চিনির একটি মিষ্টি গন্ধ রয়েছে, সুস্বাধু ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে কৃষকরা হাতে লাল চিনি তৈরী করে। সারাদেশ ব্যাপী লাল চিনির চাহিদা রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি ফুলবাড়ীয়ার লাল চিনি বিভিন্ন সুপার সপ প্যাকেট জাত হিসেবে বিক্রি হয়ে থাকে। এই চিনি আন্তর্জাতিক বাজারজাত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া এটি জিআই পণ্য হিসেবে অন্তরভুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

back to top