জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম কমেছে ৭৫ পয়সা। পেট্রোলে কমেছে ৩ টাকা এবং অকটেনে কমেছে ৪ টাকা। আজ থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে। দাম কমানোর হার ডিজেল ও কেরোসিনে ০.৬৯ শতাংশ, অকটেনে ৩.০৭ শতাংশ এবং পেট্রোলে ২.৪০ শতাংশ। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে- এ ঘোষণা আগেই দেয়া ছিল। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২৬ টাকা। আর পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২২ টাকা। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা।
ভারতের কলকাতায় প্রতি লিটার ডিজেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে ২৪.৫৭ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ২৭.৬৮ টাকা বেশি বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘কলকাতায় বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৯২.৭৬ রুপি, যা বাংলাদেশের ১৩৩.৫৭ টাকার সমমান (১ রুপি বাংলাদেশের ১.৪৪ টাকা ধরে)। প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম কলকাতায় বর্তমানে ১০৬.০৩ রুপি বা বাংলাদেশের ১৫২.৬৮ টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এখন থেকে প্রতি মাসেই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে দাম বাড়বে, কমলে দেশেও কমবে।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে প্রথমবার দাম সমন্বয় করতে গিয়ে দেশে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবে বলে কয়েকদিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী বিপু। তবে দাম কতটা কমবে, সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি।
বিপিসির লোকসান এবং ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। দাম বৃদ্ধির হার ৪২.৫ শতাংশ।
লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়। অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে করা ১৩৫ টাকা। পেট্রোল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৫১.১৬ শতাংশ ও ৫১.৬৮ শতাংশ।
সমালোচনার মুখে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট এই চার ধরণের জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা করে কমিয়ে অকেটেন ১৩০, পেট্রোল ১২৫, ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা করা হয়। সেই দাম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বহাল ছিল। প্রথম বার স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে দাম কিছুটা কমলো, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করার কথা সংস্থাটি আরও আগে থেকেই বলছিল।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করে সবসময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও আগেই দাম কমানোর সুযোগ ছিল। তারা বলছেন, ডিজেলের দাম কমলে বাস ও ট্রাক মালিকদের খরচ কমবে। সেচের ব্যয়ও কমবে। অকটেন ও পেট্রোলের দাম কমলে ব্যয় কমবে গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের। যদি বাস ও ট্রাকভাড়া না কমে, তাহলে পণ্যের পরিবহন ব্যয়ও কমবে না। সাধারণ মানুষ সুফল পাবে না।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় হয় ২৯ আগস্ট, ২০২২। এরপর কোভিড মহামারী-উত্তর সরবরাহ সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে সমুদ্রপথে জ্বালানি পণ্যের প্রিমিয়াম, পরিবহন ভাড়া, বিমা ও ব্যাংক সুদের হার ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে। উল্লিখিত সময়ে শুধু মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা অবমূল্যায়িত হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের (প্রধানত ডিজেল) মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ফর্মুলা বা গাইড লাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি বা ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।’
বৃহস্পতিবার, ০৭ মার্চ ২০২৪
জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে দেখা যায়, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনে দাম কমেছে ৭৫ পয়সা। পেট্রোলে কমেছে ৩ টাকা এবং অকটেনে কমেছে ৪ টাকা। আজ থেকে নতুন দর কার্যকর হয়েছে। দাম কমানোর হার ডিজেল ও কেরোসিনে ০.৬৯ শতাংশ, অকটেনে ৩.০৭ শতাংশ এবং পেট্রোলে ২.৪০ শতাংশ। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি মার্চের প্রথম সপ্তাহে চালু করা হবে- এ ঘোষণা আগেই দেয়া ছিল। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয়ভাবে মূল্য নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২৬ টাকা। আর পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২২ টাকা। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা।
ভারতের কলকাতায় প্রতি লিটার ডিজেলের দাম বাংলাদেশের চেয়ে ২৪.৫৭ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ২৭.৬৮ টাকা বেশি বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘কলকাতায় বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৯২.৭৬ রুপি, যা বাংলাদেশের ১৩৩.৫৭ টাকার সমমান (১ রুপি বাংলাদেশের ১.৪৪ টাকা ধরে)। প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম কলকাতায় বর্তমানে ১০৬.০৩ রুপি বা বাংলাদেশের ১৫২.৬৮ টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, এখন থেকে প্রতি মাসেই স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে জ্বালানির দাম সমন্বয় করা হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে দাম বাড়বে, কমলে দেশেও কমবে।
স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে প্রথমবার দাম সমন্বয় করতে গিয়ে দেশে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কিছুটা কমবে বলে কয়েকদিন আগে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী বিপু। তবে দাম কতটা কমবে, সেটি তিনি স্পষ্ট করেননি।
বিপিসির লোকসান এবং ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের ৫ আগস্ট দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৪২ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। ওই সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটার প্রতি ৮০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়। দাম বৃদ্ধির হার ৪২.৫ শতাংশ।
লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ৮৬ টাকা থেকে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা করা হয়। অকটেনের দাম ৮৯ টাকা থেকে ৪৬ টাকা বাড়িয়ে করা ১৩৫ টাকা। পেট্রোল ও অকটেনের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৫১.১৬ শতাংশ ও ৫১.৬৮ শতাংশ।
সমালোচনার মুখে ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট এই চার ধরণের জ্বালানির দাম লিটার প্রতি ৫ টাকা করে কমিয়ে অকেটেন ১৩০, পেট্রোল ১২৫, ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা করা হয়। সেই দাম বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বহাল ছিল। প্রথম বার স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে দাম কিছুটা কমলো, যা আজ থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, দেশে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে চাপ রয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি চালু করার কথা সংস্থাটি আরও আগে থেকেই বলছিল।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রোলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রোল বিক্রি করে সবসময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ।
জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও আগেই দাম কমানোর সুযোগ ছিল। তারা বলছেন, ডিজেলের দাম কমলে বাস ও ট্রাক মালিকদের খরচ কমবে। সেচের ব্যয়ও কমবে। অকটেন ও পেট্রোলের দাম কমলে ব্যয় কমবে গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের। যদি বাস ও ট্রাকভাড়া না কমে, তাহলে পণ্যের পরিবহন ব্যয়ও কমবে না। সাধারণ মানুষ সুফল পাবে না।
বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হলো।’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জ্বালানি তেলের সর্বশেষ মূল্য সমন্বয় হয় ২৯ আগস্ট, ২০২২। এরপর কোভিড মহামারী-উত্তর সরবরাহ সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে সমুদ্রপথে জ্বালানি পণ্যের প্রিমিয়াম, পরিবহন ভাড়া, বিমা ও ব্যাংক সুদের হার ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে। উল্লিখিত সময়ে শুধু মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা অবমূল্যায়িত হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের (প্রধানত ডিজেল) মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘ফর্মুলা বা গাইড লাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি বা ক্রয়মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।’