জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবেলা ও দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা।
সোমবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জি-২০ জোটের বর্তমান সভাপতি হিসাবে ব্রাজিলের অগ্রাধিকার খাত’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জি-২০ এর ‘পরিবেশ ও জলবায়ু’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ এবং ‘দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বিরোধী’ তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“জি-২০ জোটের আলোচনায় বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
সভাপতি হিসাবে জি-২০ এর সবক্ষেত্রে ‘বৈষম্য দূরীকরণকে’ কেন্দ্রে রাখার কথা তুলে ধরে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখছেন, উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
“এমন সিদ্ধান্ত কেবল আমাদের নিজস্ব জাতীয় পরিস্থিতি থেকে আসেনি। বরং এমন তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, গোটা বিশ্বই এ বিষয়গুলো নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, সে জন্য প্রয়োজন বড় ধরনের সংস্কার।”
বৈশ্বিক সুশাসনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব যে কম, সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে এক্ষেত্রেও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি বলেন।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করতে বৈশ্বিক উদ্যোগের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মাউরো ভিয়েরা বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে বিশ্বের সাড়ে ৭৩ কোটি মানুষ ক্ষুধা মোকাবেলা করছে এবং ২৪০ কোটি মানুষ মধ্যম বা চরম মাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তার অভাবের মধ্যে রয়েছে।
“টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা ২০৩০ কোনো কোনো ক্ষেত্রে থেমে আছে এবং অন্য অনেক ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন। একই সময়ে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগিতা আটকে আছে ৬০ বিলিয়ন ডলারে।”
সামগ্রিক অগ্রাধিকার যে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে থাকছে না, পরিসংখ্যান দিয়ে তা তুলে ধরেন ব্রাজিলের মন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সমাপনী বক্তব্য দেন ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর মাশফী বিনতে শামস।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মাসরুর রিয়াজ, ফ্রেন্ডশিপ এনজিওর নির্বাহী পরিচালক রুনা খান এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহিদা ফিজ্জা কবির অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন।
সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ মোকাবেলা ও দারিদ্র্য দূর করার ক্ষেত্রে বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা।
সোমবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘জি-২০ জোটের বর্তমান সভাপতি হিসাবে ব্রাজিলের অগ্রাধিকার খাত’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জি-২০ এর ‘পরিবেশ ও জলবায়ু’, ‘নারীর ক্ষমতায়ন’ এবং ‘দারিদ্র্য ও ক্ষুধা বিরোধী’ তিনটি বিষয়ে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“জি-২০ জোটের আলোচনায় বাংলাদেশ যে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
সভাপতি হিসাবে জি-২০ এর সবক্ষেত্রে ‘বৈষম্য দূরীকরণকে’ কেন্দ্রে রাখার কথা তুলে ধরে ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আপনারা দেখছেন, উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
“এমন সিদ্ধান্ত কেবল আমাদের নিজস্ব জাতীয় পরিস্থিতি থেকে আসেনি। বরং এমন তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, গোটা বিশ্বই এ বিষয়গুলো নিয়ে বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, সে জন্য প্রয়োজন বড় ধরনের সংস্কার।”
বৈশ্বিক সুশাসনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব যে কম, সে বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে এক্ষেত্রেও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার কথা তিনি বলেন।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্য দূর করতে বৈশ্বিক উদ্যোগের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মাউরো ভিয়েরা বলেন, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে বিশ্বের সাড়ে ৭৩ কোটি মানুষ ক্ষুধা মোকাবেলা করছে এবং ২৪০ কোটি মানুষ মধ্যম বা চরম মাত্রায় খাদ্য নিরাপত্তার অভাবের মধ্যে রয়েছে।
“টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা ২০৩০ কোনো কোনো ক্ষেত্রে থেমে আছে এবং অন্য অনেক ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন। একই সময়ে বৈশ্বিক সামরিক ব্যয় দুই ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে, যেখানে বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগিতা আটকে আছে ৬০ বিলিয়ন ডলারে।”
সামগ্রিক অগ্রাধিকার যে সব সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে থাকছে না, পরিসংখ্যান দিয়ে তা তুলে ধরেন ব্রাজিলের মন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সমাপনী বক্তব্য দেন ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির রেক্টর মাশফী বিনতে শামস।
পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মাসরুর রিয়াজ, ফ্রেন্ডশিপ এনজিওর নির্বাহী পরিচালক রুনা খান এবং সাজিদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহিদা ফিজ্জা কবির অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নেন।