টানা ৩১ দিন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি থাকা কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিং-এর কয়লাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অক্ষত অবস্থায় ছাড়া পেয়েছে। তবে মুক্তিপণ পাবার পর নাবিকসহ জাহাজটিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র অনুমান করছে। অবশ্য জলদস্যুদের হাতে কী পরিমান টাকা দিয়ে নাবিকসহ জাহাজটিকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে- তা নিয়ে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে নারাজ। একাধিক সূত্র মতে, প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থ্যাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকার বিনিময়ে এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হবার খবরে ২৩ নাবিকের পরিবারে আনন্দের হাওয়া বইছে। চীফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তির পর নিজেদের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেন ‘আলহামদুলিল্লাহ। অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার জন্য এসআর শিপিংকে ধন্যবাদ। বন্ধু, পরিবার ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যারা পুরো যাত্রায় আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন’।
“ধন্যবাদ ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা। ধন্যবাদ বাংলাদেশ। লাভ ইউ অ্যান্ড মিসিং ইউ বাংলাদেশ।”
জানা গেছে, জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার পরপরই শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে এমভি আব্দুল্লাহ সোমালিয়া উপকূলের জলসীমা থেকে রওনা দেয়। নাবিকসহ জাহাজটি আগামী ১৯ কিংবা ২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পৌঁছবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সেখানে আমদানী করা কয়লা খালাস করবে। দেশে আসার ক্ষেত্রে নাবিকদের জন্য দুইটি সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রথমতঃ তারা বিমানে এবং দ্বিতীয়তঃ ওই জাহাজে করেও দেশে ফিরতে পারবেন।
গতকাল রোববার দুপুরে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ের কেএসআরএম ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের এমভি জাহান মণি জাহাজ ১৪ বছর আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। দুর্ভাগ্যবশতঃ এমভি আব্দুল্লাহ’র ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটল। প্রসঙ্গতঃ অস্ত্রের মুখে গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি করে সোমানিয়ান জলদস্যু দল।
ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত সাংবাদিকদের জানান, ৩১ দিন পর জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি।
ডিএমডি বলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিদেশি যুদ্ধ জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে উদ্ধারে যেতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার এই জাহাজ উদ্ধারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছেন। আগামী ১৯-২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছবে বলে ধারনা করছি। এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কেএসআরএম’র সিইও মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, জাহান মণি’র সময় আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। তখন উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এবার জাহাজ দখলে নেওয়ার পর আমরা জাহাজের লোকেশন ট্রেক করতে থাকি। যোগাযোগ শুরুর পর প্রতিদিনই কথা হচ্ছিল। নাবিকরা কেমন আছে, কত তাড়াতাড়ি দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে যাবে ইত্যাদি কথা হতো। দুই দিন আগে আমাদের দাবি ছিল, তাই প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও নিয়েছি। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আইনগতভাবে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে৷ কত ডলার সে বিষয়টি আমরা নানা কারণে বলতে পারছি না। ইউএসএ, ইউকে, সোমালিয়া, কেনিয়ার নিয়ম মানতে হয়েছে।
তিনি জানান, আজ (রোববার) ভোর তিনটায় কথা হয় ক্যাপ্টেনের সঙ্গে। জলদস্যুরা ৬৫ জন ছিল। বোটে করে তারা চলে যায়। নাবিকদের অপশন আছে বিমানে আসা কিংবা জাহাজে আসা। জাহান মণি ১০০ দিন ছিল। নাবিকদের ভিসা সমস্যা ছিল। আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেএসআএমের ডিএমডি সরোয়ার জাহান রাহাত, পরিচালক করিম উদ্দিন, মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
উল্লেখ্যঃ গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
এদিকে জলদস্যুদের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শনিবার দিবাগত রাতে একটি পোস্ট করেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শাহরিয়ার জাহান রাহাত। বাংলা নতুন বছরের শুরুর দিনই এমন সুসংবাদ দিলেন তিনি।
এ নিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে। আর নাবিকরা বিমানযোগে দেশে ফিরে আসবে শিগগির।
অপরদিকে গত শনিবার ‘জিম্মি ২৩ নাবিক সহসাই মুক্তি পাবেন’ বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমূখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। নাবিকরা ভালো আছেন। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।’
আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ফেরার পথে ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া উপকূল অতিক্রমকালে গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হবার পর তারা মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।
রোববার, ১৪ এপ্রিল ২০২৪
টানা ৩১ দিন সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি থাকা কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিং-এর কয়লাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে অক্ষত অবস্থায় ছাড়া পেয়েছে। তবে মুক্তিপণ পাবার পর নাবিকসহ জাহাজটিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র অনুমান করছে। অবশ্য জলদস্যুদের হাতে কী পরিমান টাকা দিয়ে নাবিকসহ জাহাজটিকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে- তা নিয়ে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে নারাজ। একাধিক সূত্র মতে, প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থ্যাৎ বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৫৫ কোটি টাকার বিনিময়ে এমভি আব্দুল্লাহকে মুক্ত করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এদিকে এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হবার খবরে ২৩ নাবিকের পরিবারে আনন্দের হাওয়া বইছে। চীফ অফিসার আতিকুল্লাহ খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তির পর নিজেদের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লিখেন ‘আলহামদুলিল্লাহ। অবিশ্বাস্য প্রচেষ্টার জন্য এসআর শিপিংকে ধন্যবাদ। বন্ধু, পরিবার ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যারা পুরো যাত্রায় আমাদের জন্য প্রার্থনা করেছেন’।
“ধন্যবাদ ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা। ধন্যবাদ বাংলাদেশ। লাভ ইউ অ্যান্ড মিসিং ইউ বাংলাদেশ।”
জানা গেছে, জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হওয়ার পরপরই শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে এমভি আব্দুল্লাহ সোমালিয়া উপকূলের জলসীমা থেকে রওনা দেয়। নাবিকসহ জাহাজটি আগামী ১৯ কিংবা ২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই পৌঁছবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সেখানে আমদানী করা কয়লা খালাস করবে। দেশে আসার ক্ষেত্রে নাবিকদের জন্য দুইটি সুযোগ রাখা হয়েছে। প্রথমতঃ তারা বিমানে এবং দ্বিতীয়তঃ ওই জাহাজে করেও দেশে ফিরতে পারবেন।
গতকাল রোববার দুপুরে নগরীর বারিক বিল্ডিং মোড়ের কেএসআরএম ভবনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের এমভি জাহান মণি জাহাজ ১৪ বছর আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। দুর্ভাগ্যবশতঃ এমভি আব্দুল্লাহ’র ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটল। প্রসঙ্গতঃ অস্ত্রের মুখে গত ১২ মার্চ এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি করে সোমানিয়ান জলদস্যু দল।
ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাত সাংবাদিকদের জানান, ৩১ দিন পর জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে যায়। সাধারণত দস্যুরা মালিকপক্ষকে টার্গেট করে বেশি স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তাই আমরা তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে আলোচনা শুরু করি।
ডিএমডি বলেন, আমাদের জাহাজ হাইরিস্ক এরিয়ার বাইরে ছিল। ২০০ নটিক্যাল মাইল রিস্কি। আমরা ৬০০ নাটিক্যাল মাইলে ছিলাম। তাই আর্ম গার্ড নিইনি আমরা।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিদেশি যুদ্ধ জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে উদ্ধারে যেতে চেয়েছিল। আমাদের সরকার এই জাহাজ উদ্ধারে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। সাংবাদিকরা সহযোগিতা করেছেন। আগামী ১৯-২০ এপ্রিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছবে বলে ধারনা করছি। এরপর নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে আনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কেএসআরএম’র সিইও মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, জাহান মণি’র সময় আমাদের জ্ঞানের অভাব ছিল। তখন উদ্ধারে সময় বেশি লেগেছিল। এবার জাহাজ দখলে নেওয়ার পর আমরা জাহাজের লোকেশন ট্রেক করতে থাকি। যোগাযোগ শুরুর পর প্রতিদিনই কথা হচ্ছিল। নাবিকরা কেমন আছে, কত তাড়াতাড়ি দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে যাবে ইত্যাদি কথা হতো। দুই দিন আগে আমাদের দাবি ছিল, তাই প্রত্যেক নাবিকের ভিডিও নিয়েছি। মুক্তিপণের প্রতিটি কাজ আইনগতভাবে করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে করা হয়েছে৷ কত ডলার সে বিষয়টি আমরা নানা কারণে বলতে পারছি না। ইউএসএ, ইউকে, সোমালিয়া, কেনিয়ার নিয়ম মানতে হয়েছে।
তিনি জানান, আজ (রোববার) ভোর তিনটায় কথা হয় ক্যাপ্টেনের সঙ্গে। জলদস্যুরা ৬৫ জন ছিল। বোটে করে তারা চলে যায়। নাবিকদের অপশন আছে বিমানে আসা কিংবা জাহাজে আসা। জাহান মণি ১০০ দিন ছিল। নাবিকদের ভিসা সমস্যা ছিল। আবদুল্লাহ জাহাজটি দুবাই থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেএসআএমের ডিএমডি সরোয়ার জাহান রাহাত, পরিচালক করিম উদ্দিন, মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।
উল্লেখ্যঃ গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
এদিকে জলদস্যুদের সঙ্গে বোঝাপড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শনিবার দিবাগত রাতে একটি পোস্ট করেন কেএসআরএম গ্রুপের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) শাহরিয়ার জাহান রাহাত। বাংলা নতুন বছরের শুরুর দিনই এমন সুসংবাদ দিলেন তিনি।
এ নিয়ে গতকাল রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের কেএসআরএম গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাজটি মুক্ত করা হয়েছে। এটি এখন আরব আমিরাতের দিকে যাচ্ছে। সেখানে পণ্য খালাস করবে। আর নাবিকরা বিমানযোগে দেশে ফিরে আসবে শিগগির।
অপরদিকে গত শনিবার ‘জিম্মি ২৩ নাবিক সহসাই মুক্তি পাবেন’ বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আটক এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টা আছে, সর্বমূখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে। নাবিকরা ভালো আছেন। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই, তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি সহসা তাদেরকে মুক্ত করা সম্ভবপর হবে।’
আফ্রিকার মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ফেরার পথে ভারত মহাসাগরের সোমালিয়া উপকূল অতিক্রমকালে গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হবার পর তারা মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করে। বিষয়টি মালিকপক্ষ সরাসরি স্বীকার না করলেও শেষ পর্যন্ত মুক্তিপণ দিয়েই জাহাজটিকে মুক্ত করা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ১৪ বছর আগে একই মালিকের আরেকটি জাহাজ এমভি জাহান মণিকেও একইভাবে মুক্ত করে কেএসআরএম গ্রুপ।