alt

জাতীয়

টিসিবির তালিকা হালনাগাদ করতে চাই:বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

টিসিবির উপকার ভোগীর তালিকাটাও হালনাগাদ করতে চাই। আমাদের তালিকা হয়েছিল কোভিডের সময়। তখন অনেকে কর্ম হারিয়েছিল, অনেকে অসহায় হয়ে গিয়েছিল। গত ২/৩ বছরে পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অনেকে মারা গেছে। এই তালিকা আমরা হালনাগাদ করতে দিয়েছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।”

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টিসিবির বর্তমান এককোটি উপকার ভোগীর নামের তালিকা হালনাগাদ করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্য আয়ের মানুষজনের হাতেও টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য তুলে দেওয়া হবে।

“এছাড়া ওএমএসের মতোই স্থায়ী দোকান অবকাঠামো আছে- এমন ব্যক্তিদেরকে টিসিবির ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।”

দুই বছর আগেও টিসিবির ট্রাক থেকে যেকোনো মানুষ নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে নির্ধারিত পণ্য কিনতে পারতেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে এসব ট্রাকের পেছনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় শুরু হওয়ায় এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রাক সেল। পরে এক কোটি উপকার ভোগী নির্বাচন করে তাদের মাঝে পণ্য বিতরণ শুরু হয়।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “২/৩ মাসের মধ্যে টিসিবির ডিলারদের স্থায়ী দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি, মানুষের যাতে সময় নষ্ট না হয়। মানুষ যাতে গিয়ে তার ন্যায্য মূল্যের পণ্যটি নিয়ে চলে আসতে পারে।

কেমন পরিবর্তন আসছে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভর্তুকি মূল্যে নয়, আমরা যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য দিতে পারি- সেই দিকে বেশি নজর দেব। আমরা টিসিবির ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।

“নিজস্ব গুদাম বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ থাকলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে না।”

অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক বলেন, টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিপণন করলেও অনেক জেলা-উপজেলায় সময় মতো সেই পণ্য পৌঁছায় না।

এ বিষয়ে টিটু বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য একটি বাফার স্টক থাকা জরুরি। সেজন্য গুদাম দরকার। আমরা ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে একটা ৪০ হাজার বর্গফুটের গুদাম তৈরি করেছি। অন্যান্য জেলায় আমরা গুদাম খুঁজছি।

“আমরা চেষ্টা করব, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই মাসের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করার সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছি। তাহলে সব পণ্য একসঙ্গে সব দিকে সরবরাহ করা যাবে।”

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “টিসিবিতে চার থেকে পাঁচ ধরনের পণ্য দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, একটা পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে জেলা প্রশাসকরা হাতে আসা পণ্যগুলো বিতরণ বন্ধ রাখেন। বাকি পণ্যটার অপেক্ষায় থাকেন।

“এখন থেকে যখন যেই পণ্য হাতে আসবে, বিতরণ শুরু করতে হবে। ডিলারদেরও পনের দিন-এক মাস মাল ধরে রাখার ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে হয়তো ৭ থেকে ১০ দিন আগে পিছে হচ্ছে।”

একসময় পণ্য রপ্তানিতেও যুক্ত ছিল টিসিবি। এখন কেবল পণ্য আমদানির মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে প্রতিটি গ্রাম থেকে স্থানীয় কারুপণ্য ও অন্যান্য পণ্য টিসিবি ও অন্যান্য অনলাইন শপের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বিভিন্ন দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে পণ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান টিটু।

“রাশিয়া, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমরা পণ্যভিত্তিক বিভিন্ন চুক্তি করার চেষ্টা করছি, যাতে করে প্রয়োজন মতো আমদানি করে বাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারি। যখন যেইটা লাগে তা সোর্সিং করে টিসিবির মাধ্যমে আমরা মানুষের হাতে পৌঁছে দেব।

“কেবল শ্রমিক শ্রেণি নয়, প্রয়োজনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের হাতেও যেন ন্যায্য মূল্যের পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায়- আমরা চেষ্টা করছি।”

খোঁজ-খবর নিচ্ছি, সত্য বেরিয়ে আসবে : কাদের

ছবি

গাজীপুরের টঙ্গীতে নাশকতায় ক্ষতি প্রায় ৩৪ কোটি টাকা

মেট্রোরেল বন্ধে ভোগান্তিতে ৬ লাখ মানুষ

ছবি

অপরাধীদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করুন : প্রধানমন্ত্রী

কোটা আন্দোলন: সিলেটে ৩৮ শিক্ষার্থীকে বিস্ফোরক মামলায় শোন অ্যারেস্ট

বিএনপি জামায়াত শিবিরের ক্যাডাররা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল -মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী

বেরোবির উপাচার্যের বাসভবনে আক্রমন-আগুন, যেভাবে উদ্ধার হলেন অবরুদ্ধ ২০ জন

ছবি

আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল

ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এল রেল কর্তৃপক্ষ

ছবি

হামলা, ধ্বংসযজ্ঞের বিচারের ভার জনগণকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি

‘আমার সব শেষ’, ‘বাড়িতেও নিরাপদ না মানুষ?’

গুগলের ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশনা বিটিআরসি’র

ভিন্নমত ও দাবি আদায়ের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অপরাধ নয়, সাংবিধানিক অধিকার: টিআইবি

৩-৪ দিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

চাঁদপুর থেকে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল শুরু

ছবি

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধই থাকছে প্রাথমিক বিদ্যালয়

ছবি

মহাখালী থেকে ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস

ছবি

কয়েকদিনের মধ্যে সবকিছু নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

পাঁচ দিন পর খুললো অফিস

কোটা সংস্কার ও তাদের দাবি নিয়ে যা বললো সমন্বয়করা

ছবি

সব গ্রেডে ৯৩ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন

সীমিত পরিসরে সারাদেশে চালু হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট

সাভারে পুলিশ-ছাত্রলীগ ও শিক্ষার্থীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

আলোচনার পথ খোলা আছে, আন্দোলনকারীদের ঘোষণা

লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৪৪ বাংলাদেশী

ছবি

শিক্ষার্থীরা যখন চায় তখনই আলোচনাঃ আইনমন্ত্রী

ছবি

বেরোবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় পুলিশের তদন্ত কমিটি

ছবি

এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় : চীনা রাষ্ট্রদূত

ছবি

বাড়তি ভাড়া রিকশা-সিএনজিতে, ভরসা মেট্রোরেল-বিআরটিসি

ছবি

ঢাকাসহ সারা দেশে ২২৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পুলিশে হামলায় রণক্ষেত্র, হতাহত দুই শতাধিক

ছবি

কোটা আন্দোলনকারীদের নতুন কর্মসূচী ‘কমপ্লিট শাটডাউন’, ঢাবি হল ছেড়েছেন শিক্ষার্থীরা, থমথমে পরিবেশ

ছবি

বিচারবিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, আদালতের রায়ের জন্য ধৈর্য্যের আহ্বান

ছবি

জবি : ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে ২ ঘন্টার আল্টিমেটাম

ছবি

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা

ছবি

ঢাবির ১৮ হল থেকে বিতাড়িত ছাত্রলীগ, দখলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা

tab

জাতীয়

টিসিবির তালিকা হালনাগাদ করতে চাই:বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

টিসিবির উপকার ভোগীর তালিকাটাও হালনাগাদ করতে চাই। আমাদের তালিকা হয়েছিল কোভিডের সময়। তখন অনেকে কর্ম হারিয়েছিল, অনেকে অসহায় হয়ে গিয়েছিল। গত ২/৩ বছরে পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অনেকে মারা গেছে। এই তালিকা আমরা হালনাগাদ করতে দিয়েছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।”

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টিসিবির বর্তমান এককোটি উপকার ভোগীর নামের তালিকা হালনাগাদ করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্য আয়ের মানুষজনের হাতেও টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য তুলে দেওয়া হবে।

“এছাড়া ওএমএসের মতোই স্থায়ী দোকান অবকাঠামো আছে- এমন ব্যক্তিদেরকে টিসিবির ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।”

দুই বছর আগেও টিসিবির ট্রাক থেকে যেকোনো মানুষ নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে নির্ধারিত পণ্য কিনতে পারতেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে এসব ট্রাকের পেছনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় শুরু হওয়ায় এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রাক সেল। পরে এক কোটি উপকার ভোগী নির্বাচন করে তাদের মাঝে পণ্য বিতরণ শুরু হয়।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “২/৩ মাসের মধ্যে টিসিবির ডিলারদের স্থায়ী দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি, মানুষের যাতে সময় নষ্ট না হয়। মানুষ যাতে গিয়ে তার ন্যায্য মূল্যের পণ্যটি নিয়ে চলে আসতে পারে।

কেমন পরিবর্তন আসছে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভর্তুকি মূল্যে নয়, আমরা যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য দিতে পারি- সেই দিকে বেশি নজর দেব। আমরা টিসিবির ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।

“নিজস্ব গুদাম বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ থাকলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে না।”

অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক বলেন, টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিপণন করলেও অনেক জেলা-উপজেলায় সময় মতো সেই পণ্য পৌঁছায় না।

এ বিষয়ে টিটু বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য একটি বাফার স্টক থাকা জরুরি। সেজন্য গুদাম দরকার। আমরা ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে একটা ৪০ হাজার বর্গফুটের গুদাম তৈরি করেছি। অন্যান্য জেলায় আমরা গুদাম খুঁজছি।

“আমরা চেষ্টা করব, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই মাসের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করার সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছি। তাহলে সব পণ্য একসঙ্গে সব দিকে সরবরাহ করা যাবে।”

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “টিসিবিতে চার থেকে পাঁচ ধরনের পণ্য দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, একটা পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে জেলা প্রশাসকরা হাতে আসা পণ্যগুলো বিতরণ বন্ধ রাখেন। বাকি পণ্যটার অপেক্ষায় থাকেন।

“এখন থেকে যখন যেই পণ্য হাতে আসবে, বিতরণ শুরু করতে হবে। ডিলারদেরও পনের দিন-এক মাস মাল ধরে রাখার ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে হয়তো ৭ থেকে ১০ দিন আগে পিছে হচ্ছে।”

একসময় পণ্য রপ্তানিতেও যুক্ত ছিল টিসিবি। এখন কেবল পণ্য আমদানির মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে প্রতিটি গ্রাম থেকে স্থানীয় কারুপণ্য ও অন্যান্য পণ্য টিসিবি ও অন্যান্য অনলাইন শপের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

বিভিন্ন দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে পণ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান টিটু।

“রাশিয়া, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমরা পণ্যভিত্তিক বিভিন্ন চুক্তি করার চেষ্টা করছি, যাতে করে প্রয়োজন মতো আমদানি করে বাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারি। যখন যেইটা লাগে তা সোর্সিং করে টিসিবির মাধ্যমে আমরা মানুষের হাতে পৌঁছে দেব।

“কেবল শ্রমিক শ্রেণি নয়, প্রয়োজনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের হাতেও যেন ন্যায্য মূল্যের পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায়- আমরা চেষ্টা করছি।”

back to top