টিসিবির উপকার ভোগীর তালিকাটাও হালনাগাদ করতে চাই। আমাদের তালিকা হয়েছিল কোভিডের সময়। তখন অনেকে কর্ম হারিয়েছিল, অনেকে অসহায় হয়ে গিয়েছিল। গত ২/৩ বছরে পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অনেকে মারা গেছে। এই তালিকা আমরা হালনাগাদ করতে দিয়েছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।”
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টিসিবির বর্তমান এককোটি উপকার ভোগীর নামের তালিকা হালনাগাদ করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্য আয়ের মানুষজনের হাতেও টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য তুলে দেওয়া হবে।
“এছাড়া ওএমএসের মতোই স্থায়ী দোকান অবকাঠামো আছে- এমন ব্যক্তিদেরকে টিসিবির ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।”
দুই বছর আগেও টিসিবির ট্রাক থেকে যেকোনো মানুষ নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে নির্ধারিত পণ্য কিনতে পারতেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে এসব ট্রাকের পেছনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় শুরু হওয়ায় এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রাক সেল। পরে এক কোটি উপকার ভোগী নির্বাচন করে তাদের মাঝে পণ্য বিতরণ শুরু হয়।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “২/৩ মাসের মধ্যে টিসিবির ডিলারদের স্থায়ী দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি, মানুষের যাতে সময় নষ্ট না হয়। মানুষ যাতে গিয়ে তার ন্যায্য মূল্যের পণ্যটি নিয়ে চলে আসতে পারে।
কেমন পরিবর্তন আসছে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভর্তুকি মূল্যে নয়, আমরা যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য দিতে পারি- সেই দিকে বেশি নজর দেব। আমরা টিসিবির ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
“নিজস্ব গুদাম বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ থাকলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে না।”
অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক বলেন, টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিপণন করলেও অনেক জেলা-উপজেলায় সময় মতো সেই পণ্য পৌঁছায় না।
এ বিষয়ে টিটু বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য একটি বাফার স্টক থাকা জরুরি। সেজন্য গুদাম দরকার। আমরা ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে একটা ৪০ হাজার বর্গফুটের গুদাম তৈরি করেছি। অন্যান্য জেলায় আমরা গুদাম খুঁজছি।
“আমরা চেষ্টা করব, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই মাসের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করার সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছি। তাহলে সব পণ্য একসঙ্গে সব দিকে সরবরাহ করা যাবে।”
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “টিসিবিতে চার থেকে পাঁচ ধরনের পণ্য দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, একটা পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে জেলা প্রশাসকরা হাতে আসা পণ্যগুলো বিতরণ বন্ধ রাখেন। বাকি পণ্যটার অপেক্ষায় থাকেন।
“এখন থেকে যখন যেই পণ্য হাতে আসবে, বিতরণ শুরু করতে হবে। ডিলারদেরও পনের দিন-এক মাস মাল ধরে রাখার ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে হয়তো ৭ থেকে ১০ দিন আগে পিছে হচ্ছে।”
একসময় পণ্য রপ্তানিতেও যুক্ত ছিল টিসিবি। এখন কেবল পণ্য আমদানির মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে প্রতিটি গ্রাম থেকে স্থানীয় কারুপণ্য ও অন্যান্য পণ্য টিসিবি ও অন্যান্য অনলাইন শপের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিভিন্ন দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে পণ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান টিটু।
“রাশিয়া, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমরা পণ্যভিত্তিক বিভিন্ন চুক্তি করার চেষ্টা করছি, যাতে করে প্রয়োজন মতো আমদানি করে বাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারি। যখন যেইটা লাগে তা সোর্সিং করে টিসিবির মাধ্যমে আমরা মানুষের হাতে পৌঁছে দেব।
“কেবল শ্রমিক শ্রেণি নয়, প্রয়োজনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের হাতেও যেন ন্যায্য মূল্যের পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায়- আমরা চেষ্টা করছি।”
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
টিসিবির উপকার ভোগীর তালিকাটাও হালনাগাদ করতে চাই। আমাদের তালিকা হয়েছিল কোভিডের সময়। তখন অনেকে কর্ম হারিয়েছিল, অনেকে অসহায় হয়ে গিয়েছিল। গত ২/৩ বছরে পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তন হয়েছে, অনেকে মারা গেছে। এই তালিকা আমরা হালনাগাদ করতে দিয়েছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।”
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আগামী কয়েক মাসের মধ্যে টিসিবির বর্তমান এককোটি উপকার ভোগীর নামের তালিকা হালনাগাদ করা হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্য আয়ের মানুষজনের হাতেও টিসিবির ন্যায্য মূল্যের পণ্য তুলে দেওয়া হবে।
“এছাড়া ওএমএসের মতোই স্থায়ী দোকান অবকাঠামো আছে- এমন ব্যক্তিদেরকে টিসিবির ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হবে।”
দুই বছর আগেও টিসিবির ট্রাক থেকে যেকোনো মানুষ নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে নির্ধারিত পণ্য কিনতে পারতেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির কারণে এসব ট্রাকের পেছনে মানুষের উপচেপড়া ভিড় শুরু হওয়ায় এক পর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় ট্রাক সেল। পরে এক কোটি উপকার ভোগী নির্বাচন করে তাদের মাঝে পণ্য বিতরণ শুরু হয়।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “২/৩ মাসের মধ্যে টিসিবির ডিলারদের স্থায়ী দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি, মানুষের যাতে সময় নষ্ট না হয়। মানুষ যাতে গিয়ে তার ন্যায্য মূল্যের পণ্যটি নিয়ে চলে আসতে পারে।
কেমন পরিবর্তন আসছে, সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভর্তুকি মূল্যে নয়, আমরা যেন ন্যায্য মূল্যে পণ্য দিতে পারি- সেই দিকে বেশি নজর দেব। আমরা টিসিবির ক্যাপাসিটি বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
“নিজস্ব গুদাম বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ থাকলে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হবে না।”
অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক বলেন, টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে পণ্য বিপণন করলেও অনেক জেলা-উপজেলায় সময় মতো সেই পণ্য পৌঁছায় না।
এ বিষয়ে টিটু বলেন, “নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের জন্য একটি বাফার স্টক থাকা জরুরি। সেজন্য গুদাম দরকার। আমরা ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে একটা ৪০ হাজার বর্গফুটের গুদাম তৈরি করেছি। অন্যান্য জেলায় আমরা গুদাম খুঁজছি।
“আমরা চেষ্টা করব, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দুই মাসের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করার সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছি। তাহলে সব পণ্য একসঙ্গে সব দিকে সরবরাহ করা যাবে।”
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “টিসিবিতে চার থেকে পাঁচ ধরনের পণ্য দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, একটা পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে জেলা প্রশাসকরা হাতে আসা পণ্যগুলো বিতরণ বন্ধ রাখেন। বাকি পণ্যটার অপেক্ষায় থাকেন।
“এখন থেকে যখন যেই পণ্য হাতে আসবে, বিতরণ শুরু করতে হবে। ডিলারদেরও পনের দিন-এক মাস মাল ধরে রাখার ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে হয়তো ৭ থেকে ১০ দিন আগে পিছে হচ্ছে।”
একসময় পণ্য রপ্তানিতেও যুক্ত ছিল টিসিবি। এখন কেবল পণ্য আমদানির মাধ্যমে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে বিতরণ করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে প্রতিটি গ্রাম থেকে স্থানীয় কারুপণ্য ও অন্যান্য পণ্য টিসিবি ও অন্যান্য অনলাইন শপের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বিভিন্ন দেশ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে পণ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান টিটু।
“রাশিয়া, ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে আমরা পণ্যভিত্তিক বিভিন্ন চুক্তি করার চেষ্টা করছি, যাতে করে প্রয়োজন মতো আমদানি করে বাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারি। যখন যেইটা লাগে তা সোর্সিং করে টিসিবির মাধ্যমে আমরা মানুষের হাতে পৌঁছে দেব।
“কেবল শ্রমিক শ্রেণি নয়, প্রয়োজনে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের হাতেও যেন ন্যায্য মূল্যের পণ্য পৌঁছে দেওয়া যায়- আমরা চেষ্টা করছি।”