ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে অর্থ ছাড়ের অভাবে আপাতত বন্ধ থাকছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, ‘আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।’
শুনানিতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ইমতিয়াজ ফারুকসহ কয়েকজন। সিনোহাইড্রো করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আপিল বিভাগ উচ্চ আদালতের জাজমেন্টটা এখনও পান নাই। জাজমেন্ট পাওয়া সাপেক্ষে দুই সপ্তাহের স্ট্যাটাসকুয়ো দিয়েছে। দুই সপ্তাহ পর মামলাটা অ্যাপিলেট ডিভিশনের কজ লিস্টে আসবে পরবর্তী শুনানির জন্য। এই সময়ের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর হবে না, তাই ব্যাংক বলে দিয়েছে, তারা ফাইন্যান্স করবে না। তার মানে কাজ বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে ইতালিয়ান ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করার জন্য বাংলাদেশ সরকার কার্যাদেশ দেয়। কিন্তু তারা কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হলে দুই চীনা কোম্পানির সঙ্গে মিলে একটি কোম্পানি করে। ওই তিনটা কোম্পানি মিলে প্রকল্পের জন্য ঋণ নেয়। সেখানে শর্ত ছিল, অংশীদারদের কেউ জানুয়ারি বা জুনে ঋণের সুদ দিতে ব্যর্থ হলে সুদের ওই অংশটা বাকি দুই গ্যারান্টারকে দিতে হবে এবং সুদ দিতে ব্যর্থ কোম্পানির শেয়ার বাকিদের কাছে চলে যাবে। বাংলাদেশ সরকারও তাতে অনুমোদন দেয়।
মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানি ঋণের সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। সে কারণে ঋণদাতা চীনা ব্যাংক ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ইতালিয়ান কোম্পানিকে চিঠি দিলে তারা আরবিট্রেশানে যায়। ওই আরবিট্রেশনের প্রেক্ষিতে তারা হাই কোর্ট ডিভিশনে মামলা করে যাতে শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত হয়। হাই কোর্ট মামলাটি ‘চলার যোগ্য না’ বলে রুল খারিজ করে দেয়। তখন তারা আপিল বিভাগে আসে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির শেয়ার চীনের সিনোহাইড্রো করপোরেশন লিমিটেডের কাছে হস্তান্তরের ওপর দুই সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। ফলে অর্থ ছাড়ের অভাবে আপাতত বন্ধ থাকছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৮ সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এ সময় আপিল বিভাগ বলেন, ‘আর কয়দিন কাজ বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই।’
শুনানিতে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানির পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন, শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ইমতিয়াজ ফারুকসহ কয়েকজন। সিনোহাইড্রো করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও মোস্তাফিজুর রহমান খান।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, আপিল বিভাগ উচ্চ আদালতের জাজমেন্টটা এখনও পান নাই। জাজমেন্ট পাওয়া সাপেক্ষে দুই সপ্তাহের স্ট্যাটাসকুয়ো দিয়েছে। দুই সপ্তাহ পর মামলাটা অ্যাপিলেট ডিভিশনের কজ লিস্টে আসবে পরবর্তী শুনানির জন্য। এই সময়ের মধ্যে শেয়ার হস্তান্তর হবে না, তাই ব্যাংক বলে দিয়েছে, তারা ফাইন্যান্স করবে না। তার মানে কাজ বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৩ সালে ইতালিয়ান ডেভেলপমেন্ট কোম্পানিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করার জন্য বাংলাদেশ সরকার কার্যাদেশ দেয়। কিন্তু তারা কাজ শুরু করতে ব্যর্থ হলে দুই চীনা কোম্পানির সঙ্গে মিলে একটি কোম্পানি করে। ওই তিনটা কোম্পানি মিলে প্রকল্পের জন্য ঋণ নেয়। সেখানে শর্ত ছিল, অংশীদারদের কেউ জানুয়ারি বা জুনে ঋণের সুদ দিতে ব্যর্থ হলে সুদের ওই অংশটা বাকি দুই গ্যারান্টারকে দিতে হবে এবং সুদ দিতে ব্যর্থ কোম্পানির শেয়ার বাকিদের কাছে চলে যাবে। বাংলাদেশ সরকারও তাতে অনুমোদন দেয়।
মেহেদী হাছান চৌধুরী বলেন, ২০২৩ সালে ইতালিয়ান-থাই কোম্পানি ঋণের সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। সে কারণে ঋণদাতা চীনা ব্যাংক ২০২৪ সালের ২৩ জানুয়ারি ইতালিয়ান কোম্পানিকে চিঠি দিলে তারা আরবিট্রেশানে যায়। ওই আরবিট্রেশনের প্রেক্ষিতে তারা হাই কোর্ট ডিভিশনে মামলা করে যাতে শেয়ার হস্তান্তর স্থগিত হয়। হাই কোর্ট মামলাটি ‘চলার যোগ্য না’ বলে রুল খারিজ করে দেয়। তখন তারা আপিল বিভাগে আসে।