ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের আয় ৫ বছরে ১ হাজার ৬৫০ শতাংশ থেকে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১২০ জনের। আর এই সময়ের মধ্যে ২ হাজার ১৫৭ শতাংশ থেকে ১১ হাজার ৬৬৭ শতাংশ অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫৬ জনের। এছাড়া স্ত্রী/স্বামী ও নির্ভরশীলদের ৭৯১ শতাংশ থেকে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২ জনের। এই তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধু নির্বাচিত ব্যক্তি নন, তাদের স্ত্রী/স্বামী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যারা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতাও স্পষ্ট।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ (২য় ধাপ) হললফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল নিয়ে টিআইবি’র সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনেক প্রার্থীর হলফনামা ও আয়কর রিটার্ণে ঘোষিত সম্পদের বিবরনীতে গরমিল রয়েছে। এই বিষয়ে সংবাদের প্রশ্নের জবাবে মো: আলমগীর জানান, ‘হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু নাই। হলফনামায় প্রার্থী শপথ করে মিথ্যা তথ্য দিলে যে কোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারবেন। প্রমাণ হলে আদালত তখন শাস্তি দিতে পারেন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফলে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি। টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৯৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৮৯ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৫২৩ জনসহ মোট ৪৬২ জন।
টিআইবির তথ্য অনুযায়ী ১ হাজার ৮১১ জন প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।
গবেষনা সংস্থাটি জানায়, পদে যারা ছিলেন তাদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধির হার পদে যারা ছিলেন না তাদের তুলনায় অনেক বেশী। এদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
সংস্থাটি জানায়, বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও কমপক্ষে মোট প্রার্থীর ৩ শতাংশ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া দ্বিতীয় পর্বের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অন্তত ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারীর অংশগ্রহণ আশঙ্কাজনক হারে কম। এমনকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায়ও কম। প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী ছিলেন ২৫ জন, দ্বিতীয় ধাপে তা কমে হয়েছে ২৪ জন। শতকরা হিসেবে যা মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সংস্থাটির তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের ৩৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ডিগ্রিধারী। ভাইসচেয়ারম্যান পদে ২৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ ¯œাতক ডিগ্রিধারী আর সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের মাত্র ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রার্থী নি¤œ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।
টিআইবি বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ শতাংশ। অন্যদিকে গৃহিণী, কৃষিজীবী ও শিক্ষক প্রার্থীদের পরিমাণ দিন দিন কমছে।
সংস্থাটি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেয়া চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কৃষিকাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। এছাড়া আইনজীবী ৪ দশমিক১৭ ও শিক্ষক ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।
একইভাবে ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ ব্যবসায়ী, ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কৃষি ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ শিক্ষক ও ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ আইনজীবি।
সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৫১ দশমিক ৬২ শতাংশ গৃহিনী, ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ ব্যবসা, ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষক, ৩.২৫ শতাংশ কৃষি ও ২.৮৭ শতাংশ রাজনীতি হিসেবে তাদের পেশা দেখিয়েছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো পেমা হিসেবে গৃহিনী দেখানো প্রার্থীদের ১৪ শতাংশই আয়ের উৎস দেখিয়েছেন ব্যবসা, কৃষি থেকে আয় দেখিয়েছেন ১৬.৩৬ শতাংশ এবং নিজেদের কোন আয়ের উৎস নেই দেখিয়েছেন ৪৭.২৭ শতাংশ এবংকোন আয় নেই এমন দেখিয়েছেন ১০.৯২ শতাংশ।
রোববার, ১৯ মে ২০২৪
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থীদের আয় ৫ বছরে ১ হাজার ৬৫০ শতাংশ থেকে ১০ হাজার ৯০০ শতাংশ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১২০ জনের। আর এই সময়ের মধ্যে ২ হাজার ১৫৭ শতাংশ থেকে ১১ হাজার ৬৬৭ শতাংশ অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৫৬ জনের। এছাড়া স্ত্রী/স্বামী ও নির্ভরশীলদের ৭৯১ শতাংশ থেকে ১২ হাজার ৪০০ শতাংশ পর্যন্ত অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২ জনের। এই তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ক্ষমতায় থাকার সঙ্গে দ্রুত আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধু নির্বাচিত ব্যক্তি নন, তাদের স্ত্রী/স্বামী ও নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। যারা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতায় আছেন, তাদের আয় ও সম্পদ বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতাও স্পষ্ট।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ (২য় ধাপ) হললফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফল নিয়ে টিআইবি’র সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, অনেক প্রার্থীর হলফনামা ও আয়কর রিটার্ণে ঘোষিত সম্পদের বিবরনীতে গরমিল রয়েছে। এই বিষয়ে সংবাদের প্রশ্নের জবাবে মো: আলমগীর জানান, ‘হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু নাই। হলফনামায় প্রার্থী শপথ করে মিথ্যা তথ্য দিলে যে কোনো নাগরিক আদালতে যেতে পারবেন। প্রমাণ হলে আদালত তখন শাস্তি দিতে পারেন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কর্তৃক ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ২য় ধাপে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও ফলাফলে এই তথ্য জানায় সংস্থাটি। টিআইবি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭ উপজেলায় চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিলে মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮১১ জন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৯৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৮৯ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৫২৩ জনসহ মোট ৪৬২ জন।
টিআইবির তথ্য অনুযায়ী ১ হাজার ৮১১ জন প্রার্থীর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬৭ জন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান ৬০ জনসহ মোট ৪৬২ জন প্রার্থী ঋণগ্রস্ত।
গবেষনা সংস্থাটি জানায়, পদে যারা ছিলেন তাদের আয় ও অস্থাবর সম্পদ বৃদ্ধির হার পদে যারা ছিলেন না তাদের তুলনায় অনেক বেশী। এদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
সংস্থাটি জানায়, বিরোধীদল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও কমপক্ষে মোট প্রার্থীর ৩ শতাংশ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া দ্বিতীয় পর্বের উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের অন্তত ১৭ জন স্বজন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নারীর অংশগ্রহণ আশঙ্কাজনক হারে কম। এমনকি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নারীর অংশগ্রহণ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায়ও কম। প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নারী প্রার্থী ছিলেন ২৫ জন, দ্বিতীয় ধাপে তা কমে হয়েছে ২৪ জন। শতকরা হিসেবে যা মাত্র ১ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
সংস্থাটির তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের ৩৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ডিগ্রিধারী। ভাইসচেয়ারম্যান পদে ২৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ ¯œাতক ডিগ্রিধারী আর সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের মাত্র ২৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রার্থী নি¤œ মাধ্যমিক পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন।
টিআইবি বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ব্যবসায়ী প্রার্থীদের দাপট ক্রমেই বেড়ে চলেছে। ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ শতাংশ। অন্যদিকে গৃহিণী, কৃষিজীবী ও শিক্ষক প্রার্থীদের পরিমাণ দিন দিন কমছে।
সংস্থাটি জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেয়া চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। কৃষিকাজকে পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ। এছাড়া আইনজীবী ৪ দশমিক১৭ ও শিক্ষক ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন।
একইভাবে ভাইসচেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ ব্যবসায়ী, ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ কৃষি ৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ শিক্ষক ও ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ আইনজীবি।
সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৫১ দশমিক ৬২ শতাংশ গৃহিনী, ২৯ দশমিক ২৬ শতাংশ ব্যবসা, ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ শিক্ষক, ৩.২৫ শতাংশ কৃষি ও ২.৮৭ শতাংশ রাজনীতি হিসেবে তাদের পেশা দেখিয়েছেন। তবে মজার ব্যাপার হলো পেমা হিসেবে গৃহিনী দেখানো প্রার্থীদের ১৪ শতাংশই আয়ের উৎস দেখিয়েছেন ব্যবসা, কৃষি থেকে আয় দেখিয়েছেন ১৬.৩৬ শতাংশ এবং নিজেদের কোন আয়ের উৎস নেই দেখিয়েছেন ৪৭.২৭ শতাংশ এবংকোন আয় নেই এমন দেখিয়েছেন ১০.৯২ শতাংশ।