শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে আগ্রহী হলে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার আরও বাড়তে পারে বলে আশা নির্বাচন কমিশনের।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭টি উপজেলায় যে ভোট হতে যাচ্ছে সেদিন নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে বলে আশাবাদী নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে ছোটখাটো যে সব সমস্যা হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন ও পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। ভোটাররা যাতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং বাধাহীনভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন সেটা নিশ্চিত করা হবে। ভোটের হার কেমন হবে সেটা তো আগাম বলা যাবে না। পরিবেশ যদি ভালো থাকে, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা হচ্ছে ভোটে, তাহলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে ভোটাররা তো আগ্রহী হতেই পারে।’
ভোটে যথেষ্ট সংখ্যক প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন মন্তব্য করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, ভোটের উষ্ণ পরিবেশ রয়েছে। আমাদের বার্তা হচ্ছে, নির্বাচনটা আমরা শুধু মুখেই নয়, প্রমাণ করে দিয়েছি ৭ (জানুয়ারি) তারিখের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, ৮ মে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’ ভোটারদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে, কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান তিনি।
আজ রবিবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন আশা ব্যাক্ত করেন মো: আলমগীর। ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৩৬ শতাংশের মতো। তবে এবার ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে আশা করেন তিনি।
প্রধান বিরোধীদল বিএনপির তিন শতাংশ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়লেও দলটি ভোট বর্জন করেছে। দলটি ভোট বর্জন করে লিফলেটও বিতরন করছে। ভোট বর্জনের এই লিফলেট বিতরনে আইনগত কোন বাধা নেই এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মো: আলমগীর। ৮ মের প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও ভোটারদের বাধা দান বা জাল ভোটের মত অভিযোগ কম ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রথম ধাপের ভোটের হার কম হওয়া বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’ এই বক্তব্যের রেশ টেনে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘সেটি তাৎক্ষনিক একটি প্রতিক্রিয়া ছিল। ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। তবে একমাত্র ফ্যাক্টর না। আরেকটা বড় কারণ হল, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না। সারা বিশ্বেই এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। সব দল অংশ নিলেও ভারতে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।’
উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রচারের শেষ সময়ের পর কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, রোববার ১৯ মে মধ্যরাত ১২টায় প্রচার শেষ হবে। নির্বাচন আইন অনুযাযী, প্রচার শেষ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে। ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে ২১ মে সকাল ৮টায়।
রোববার, ১৯ মে ২০২৪
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিতে আগ্রহী হলে উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার আরও বাড়তে পারে বলে আশা নির্বাচন কমিশনের।
মঙ্গলবার দ্বিতীয় ধাপে ১৫৭টি উপজেলায় যে ভোট হতে যাচ্ছে সেদিন নির্বাচনের পরিবেশ ভালো থাকবে বলে আশাবাদী নির্বাচন কমিশনার মো: আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বিগত নির্বাচনে ছোটখাটো যে সব সমস্যা হয়েছে, সেগুলো যাতে না হয়, সেজন্য প্রশাসন ও পুলিশ অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে। ভোটাররা যাতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন এবং বাধাহীনভাবে ভোট কেন্দ্রে যাবেন সেটা নিশ্চিত করা হবে। ভোটের হার কেমন হবে সেটা তো আগাম বলা যাবে না। পরিবেশ যদি ভালো থাকে, শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা হচ্ছে ভোটে, তাহলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে ভোটাররা তো আগ্রহী হতেই পারে।’
ভোটে যথেষ্ট সংখ্যক প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন মন্তব্য করে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে, ভোটের উষ্ণ পরিবেশ রয়েছে। আমাদের বার্তা হচ্ছে, নির্বাচনটা আমরা শুধু মুখেই নয়, প্রমাণ করে দিয়েছি ৭ (জানুয়ারি) তারিখের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে, ৮ মে উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’ ভোটারদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে, কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আহ্বান জানান তিনি।
আজ রবিবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এমন আশা ব্যাক্ত করেন মো: আলমগীর। ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৩৬ শতাংশের মতো। তবে এবার ভোটার উপস্থিতি বাড়তে পারে বলে আশা করেন তিনি।
প্রধান বিরোধীদল বিএনপির তিন শতাংশ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়লেও দলটি ভোট বর্জন করেছে। দলটি ভোট বর্জন করে লিফলেটও বিতরন করছে। ভোট বর্জনের এই লিফলেট বিতরনে আইনগত কোন বাধা নেই এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে কোনো ভোটারকে সহিংসতার মাধ্যমে ভোট প্রদানে বাধা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মো: আলমগীর। ৮ মের প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হলেও ভোটারদের বাধা দান বা জাল ভোটের মত অভিযোগ কম ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রথম ধাপের ভোটের হার কম হওয়া বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘ধান কাটার মৌসুম হওয়ায় ভোটার উপস্থিতি কম’ এই বক্তব্যের রেশ টেনে জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘সেটি তাৎক্ষনিক একটি প্রতিক্রিয়া ছিল। ভোট কম পড়ার পেছনে একটি বড় ফ্যাক্টর বিএনপি। তবে একমাত্র ফ্যাক্টর না। আরেকটা বড় কারণ হল, স্থানীয় নির্বাচনে ভোটাররা চাকরিস্থল থেকেও আসতে চায় না। সারা বিশ্বেই এখন ৬০ শতাংশের বেশি ভোটাররা আসতে চায় না। সব দল অংশ নিলেও ভারতে ৬০ শতাংশ ভোট পড়েনি।’
উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের প্রচারের শেষ সময়ের পর কোনো ধরনের প্রচার, মিছিল করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, রোববার ১৯ মে মধ্যরাত ১২টায় প্রচার শেষ হবে। নির্বাচন আইন অনুযাযী, প্রচার শেষ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে। ১৫৭ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে ২১ মে সকাল ৮টায়।