alt

জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ে বড় শঙ্কা : সাড়ে ৫ মাসে আক্রান্ত ২৬শ’ মৃত্যু ৩৩

বাকী বিল্লাহ : সোমবার, ২০ মে ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬শ’ ২৮ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩ জন। এভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪ জন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩৯ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩ জন। গত মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩১১ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৫ জন। গত এপ্রিল মাসে তীব্র দাবদাহের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫০৪ জন। তার মধ্যে মারা গেছেন ২ জন।

চলতি মে মাসের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৪১৯ জন। তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৯ জন। এভাবে ভর্তি ও আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে।

বৃষ্টি ও বর্তমান তাপমাত্রায় ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কীটতত্ত¡ বিশেষজ্ঞরা। তাই এখনই সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরবর্তী করণীয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজও বৈঠক হতে পারে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

কীটতত্ত¡ বিশেষজ্ঞরা সংবাদকে জানান, বর্তমান তাপমাত্রা, আবহাওয়া ও বৃষ্টিতে ডেঙ্গু প্রজননের উপযোগী। এতে ডেঙ্গু ভাইরাস আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যু আগের চেয়ে বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাদের মতে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যত দ্রুত সম্ভব প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যার যার বাড়ি ও আঙিনা তার তার পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে এখনই কাজ করতে হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে গতকাল দিনভর বিশেষজ্ঞদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ আবার বৈঠক হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বৈঠকে করণীয় নিয়ে আলোচনা শেষে গাইডলাইন তৈরি করতে পারেন।

মহাখালী রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা ঠিকমত করা হচ্ছে না। যার কারণে নতুন করে ডেঙ্গু পরিস্থিতির আবনতির দিকে যাচ্ছে। তাই এখন জনগণকে আরও সচেতন করে নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনা (যেখানে পানি জমে থাকে) পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বৃষ্টি ও আদ্রতার কারণে ডেঙ্গুর জীবনচক্র পরিবর্তন হচ্ছে।

একটু বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে জমে থাকা পানিতে, রাস্তায় জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে পানিতে এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে। তাই মানব সৃষ্ট জঞ্জাল ও নির্মাণাধীন কনস্ট্রাকশনে যাতে পানি জমে না থাকে তার জন্য এখনই কাজ শুরু করতে হবে। আসছে বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট ভাবে সমন্বয় করে কাজ করছে। অনেক দেশে আলাদা বিভাগ রয়েছে। তারা বছর জুড়ে এডিস মশা দমনে কাজ করছেন।

বাংলাদেশে এডিস মশা ও কিউলেক্স মশা দমনে বছর জুড়ে আলাদা বিভাগ গঠন করে উন্নত মানের ওষুধ প্রয়োগ করলে মশার উপদ্রব কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মশার উপদ্রব কমলে হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষকে যেতে হবে না। হাসপাতাল প্রস্তুতের দরকার নেই।

দরকার হলে রাজধানীতে থানা ও ওয়ার্ডভিত্তিক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। আর ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা ও গাইডলাইন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প চালু করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যমে চিকিৎসা করলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে শহরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ কিংবা জীববৈচিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ড্রেন পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন কমে গেছে। যেখানে সেখানে ময়লা ও বর্জ জমে দূষিত হচ্ছে, মশা জন্মাচ্ছে। এডিস মশা ছাড়াও কিউলেক্স মশার কামড়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (একাডেমিক) ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সংবাদকে জানান, সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বৃষ্টির পরপরই স্কুল, কলেজের আঙ্গিনায় জমে থাকা পানি পরিস্কার করতে হবে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। আর বয়স্করা আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরিমর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

ছবি

জলবায়ু সংকটে বাংলাদেশে ৩ কোটি ৩০ লাখ শিশুর শিক্ষা বাধাগ্রস্ত: ইউনিসেফ

ছবি

জুলাই আন্দোলনে আহত ৭ জনকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলো

ছবি

২ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, শীত বেড়ে যাওয়ার পূর্বাভাস

ছবি

বাংলাদেশে ‘বিনিয়োগে আগ্রহী’ ডিপি ওয়ার্ল্ড ও এপি মোলার-মেয়ার্স্ক

ছবি

হাসিনার সময়কার উচ্চ প্রবৃদ্ধি ‘ভুয়া’: ইউনূস

ছবি

শেখ হাসিনার প্রবৃদ্ধিকে ‘ভুয়া’ বললেন ইউনূস, দুষলেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও

ছবি

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

ছবি

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : ১৬৮ জন সাজাপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্য কারামুক্ত

রাজধানীর বেশিরভাগ স্কুলেই পাঠ্যবই ‘সংকট’

ছবি

আন্দোলনে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি

ছবি

‘কর্নেল অব দি রেজিমেন্ট’ হিসেবে অভিষিক্ত হলেন সেনাবাহিনী প্রধান

ছবি

জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় মাহমুদুর রহমানের আপিলের রায় ১০ ফেব্রুয়ারি

ছবি

টেলিভিশনে বিজ্ঞাপনের সময়সীমা নির্ধারণে আইনি নোটিশ

ছবি

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ বৈষম্যমূলক, সংশোধনের দাবি বার সভাপতির

ছবি

ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে নির্বাচন, ভোট হবে ব্যালটে : ইসি মাছউদ

ছবি

বিমানবন্দরের দ্বিতীয় দফার হুমকিও ভুয়া

ছবি

একে একে কারাগার থেকে বের হচ্ছেন মুক্তি পাওয়া বিডিআর জওয়ানরা

ছবি

পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে লাগার্ডের সহায়তা চাইলেন ইউনূস

ছবি

আন্দোলন দমাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন: জাতিসংঘের প্রতিবেদন ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি’

ছবি

সাড়ে ১৫ বছর পর মুক্তি: বিডিআর জওয়ানদের জন্য কারাফটকে স্বজনদের অপেক্ষা

অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ, বিচার চলবে

ছবি

সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর শাহবাগ থেকে সরলেন ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা

ছবি

শাহজালালে বোমা হুমকির বার্তা আসে পাকিস্তানি নম্বর থেকে : ডিএমপি

ছবি

১৭ বছর পর দখলমুক্ত হলো গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের ১৫শ’ কোটি টাকার সম্পদ

ছবি

মহার্ঘ ভাতা ও ভ্যাট বৃদ্ধির বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি

ছবি

ডাভোসে জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

উড়োজাহাজে বিস্ফোরকের ভুয়া তথ্য, শনাক্ত হলে আইনি ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসকে ২০২৫ ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ

ছবি

রোম থেকে ঢাকাগামী বিমানে বোমা হুমকি: মিথ্যা সংবাদের ভিত্তিতে সতর্কতা

ছবি

মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া মার্চের মধ্যে শুরু

ছবি

শাহজালালে বোমা হুমকির বার্তা পাকিস্তানি নম্বর থেকে: ডিএমপি

ছবি

মালয়েশিয়া যেতে অপেক্ষমাণ ১৮ হাজার কর্মীকে মার্চ-এপ্রিলে পাঠানোর উদ্যোগ

ছবি

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জের আবেদন খারিজ

ছবি

ঔষধ, রেস্তোরাঁ, মোবাইল ও পোশাক খাতে পূর্বের শুল্কহার বহাল

ছবি

ব্রিটিশ দম্পতির হারানো পাসপোর্ট ও তিন লাখ টাকা ৮ ঘণ্টায় উদ্ধার

tab

জাতীয়

ডেঙ্গু নিয়ে বড় শঙ্কা : সাড়ে ৫ মাসে আক্রান্ত ২৬শ’ মৃত্যু ৩৩

বাকী বিল্লাহ

সোমবার, ২০ মে ২০২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৩৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ৬শ’ ২৮ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৩৩ জন। এভাবে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার ৫৫ জন। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১৪ জন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৩৩৯ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৩ জন। গত মার্চ মাসে আক্রান্ত হয়েছে ৩১১ জন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ৫ জন। গত এপ্রিল মাসে তীব্র দাবদাহের মধ্যে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৫০৪ জন। তার মধ্যে মারা গেছেন ২ জন।

চলতি মে মাসের গতকাল পর্যন্ত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ৪১৯ জন। তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ৯ জন। এভাবে ভর্তি ও আক্রান্তের সংখ্যা এখন বাড়ছে।

বৃষ্টি ও বর্তমান তাপমাত্রায় ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব আরও বাড়ার আশঙ্কা করছে কীটতত্ত¡ বিশেষজ্ঞরা। তাই এখনই সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস না করলে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে গতকাল মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরবর্তী করণীয় নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজও বৈঠক হতে পারে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

কীটতত্ত¡ বিশেষজ্ঞরা সংবাদকে জানান, বর্তমান তাপমাত্রা, আবহাওয়া ও বৃষ্টিতে ডেঙ্গু প্রজননের উপযোগী। এতে ডেঙ্গু ভাইরাস আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যু আগের চেয়ে বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তাদের মতে, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যত দ্রুত সম্ভব প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। যার যার বাড়ি ও আঙিনা তার তার পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এই লক্ষ্যে এখনই কাজ করতে হবে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও করণীয় নিয়ে গতকাল দিনভর বিশেষজ্ঞদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ আবার বৈঠক হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন। বৈঠকে করণীয় নিয়ে আলোচনা শেষে গাইডলাইন তৈরি করতে পারেন।

মহাখালী রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন সংবাদকে জানান, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা ঠিকমত করা হচ্ছে না। যার কারণে নতুন করে ডেঙ্গু পরিস্থিতির আবনতির দিকে যাচ্ছে। তাই এখন জনগণকে আরও সচেতন করে নিজ নিজ বাড়ির আঙ্গিনা (যেখানে পানি জমে থাকে) পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বৃষ্টি ও আদ্রতার কারণে ডেঙ্গুর জীবনচক্র পরিবর্তন হচ্ছে।

একটু বৃষ্টিতে নির্মাণাধীন বাড়ির ছাদে জমে থাকা পানিতে, রাস্তায় জমে থাকা পানিতে, ফুলের টবে পানিতে এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটছে। তাই মানব সৃষ্ট জঞ্জাল ও নির্মাণাধীন কনস্ট্রাকশনে যাতে পানি জমে না থাকে তার জন্য এখনই কাজ শুরু করতে হবে। আসছে বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট ভাবে সমন্বয় করে কাজ করছে। অনেক দেশে আলাদা বিভাগ রয়েছে। তারা বছর জুড়ে এডিস মশা দমনে কাজ করছেন।

বাংলাদেশে এডিস মশা ও কিউলেক্স মশা দমনে বছর জুড়ে আলাদা বিভাগ গঠন করে উন্নত মানের ওষুধ প্রয়োগ করলে মশার উপদ্রব কমবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মশার উপদ্রব কমলে হাসপাতালে শিশুসহ নানা বয়সের মানুষকে যেতে হবে না। হাসপাতাল প্রস্তুতের দরকার নেই।

দরকার হলে রাজধানীতে থানা ও ওয়ার্ডভিত্তিক জনসচেতনতা সৃষ্টি করে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে হবে। আর ডেঙ্গু রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা ও গাইডলাইন এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্প চালু করে পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্যমে চিকিৎসা করলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে শহরের পরিবেশ ও প্রতিবেশ কিংবা জীববৈচিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ড্রেন পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন কমে গেছে। যেখানে সেখানে ময়লা ও বর্জ জমে দূষিত হচ্ছে, মশা জন্মাচ্ছে। এডিস মশা ছাড়াও কিউলেক্স মশার কামড়ে নগরবাসী অতিষ্ঠ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (একাডেমিক) ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সংবাদকে জানান, সরকার ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বৃষ্টির পরপরই স্কুল, কলেজের আঙ্গিনায় জমে থাকা পানি পরিস্কার করতে হবে। আর ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। আর বয়স্করা আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরিমর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করতে হবে।

back to top