বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী কোচ (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কিনতে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক সার্ভিসের (আরইটিইএস) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল বিকেলে রেলভবনের যমুনা মিলনায়তনে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রেলওয়ে জানিয়েছে, ২০০ কোচ সংগ্রহের প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। সেই হিসেবে প্রতিটি কোচের দাম পড়বে ৬ কোটি ৪৯ টাকা।
এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা আছে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০ মাস পর থেকে কোচ দেয়া শুরু হবে, যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) যৌথভাবে প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে।
চুক্তি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে আপনারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেয়া হবে সেই সময় নেই, এটা করলে আমাদের সুবিধা হবে। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারি। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেয়া যায় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে ২০১৬টি ক্যারেজ এবং ৩০৯৫টি ওয়াগন রয়েছে। সম্প্রতি পদ্মা রেলওয়ে সেতু চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন ট্রেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পুরাতন এবং বেশি বয়সী কোচগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্য নতুন ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার কোচগুলো প্রয়োজন হবে।
এ সময় রেলের কর্মকর্তাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলের কর্মকর্তারা স্লো, এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে, এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে। আরও আগে আনা যায় কি না, সেটি তারা ভাবে না’।
রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। নতুন কোচ যুক্ত হলে রেল যোগাযোগ ত্বরান্বিত হবে।
অনুষ্ঠানে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’
জানা গেছে, প্রথমে ম্যাটিরিয়াল চার্জ হিসেবে অর্থ দিবে ইআইবি। কোচগুলো দেশে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেটি খালাস বাবদ য়ে ৩৫ শতাংশ অর্থ খরচ হবে এই অর্থ দিবে বাংলাদেশ সরকার, যার পরিমাণ প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা। কোচগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন। এসি থাকবে কোচের ছাদে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব হবে। এসব কোচ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।
মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইনের জন্য ২০০ যাত্রীবাহী কোচ (প্যাসেঞ্জার ক্যারেজ) কিনতে ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনোমিক সার্ভিসের (আরইটিইএস) সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। গতকাল বিকেলে রেলভবনের যমুনা মিলনায়তনে এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রেলওয়ে জানিয়েছে, ২০০ কোচ সংগ্রহের প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৯৮ কোটি ৫৮ লাখ ৭৭ হাজার ১৩৯ টাকা (ডলার ১১৬ টাকা ৭১ পয়সা)। সেই হিসেবে প্রতিটি কোচের দাম পড়বে ৬ কোটি ৪৯ টাকা।
এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শেষ করার কথা আছে। চুক্তি অনুযায়ী, ২০ মাস পর থেকে কোচ দেয়া শুরু হবে, যা চলবে ৩৬ মাস পর্যন্ত। বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) যৌথভাবে প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে।
চুক্তি অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, ‘আমাদের ক্যারেজের খুব সমস্যা। এই মুহূর্তে আপনারা (ভারতীয়) যে ক্যারেজ দিচ্ছেন এর জন্য ধন্যবাদ। ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। চুক্তিতে ক্যারেজ কবে দেয়া হবে সেই সময় নেই, এটা করলে আমাদের সুবিধা হবে। আমরা সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে পারি। আগামী দুই মাসের মধ্যে যদি দুই সেট ক্যারেজ দেয়া যায় তবে সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে। বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে ২০১৬টি ক্যারেজ এবং ৩০৯৫টি ওয়াগন রয়েছে। সম্প্রতি পদ্মা রেলওয়ে সেতু চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে। ফলে, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন ট্রেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পুরাতন এবং বেশি বয়সী কোচগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্য নতুন ব্রডগেজ প্যাসেঞ্জার কোচগুলো প্রয়োজন হবে।
এ সময় রেলের কর্মকর্তাদের ভূমিকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘রেলের কর্মকর্তারা স্লো, এটা আমার জন্য দুঃখজনক। তারা ভাবে, এটা ৫ থেকে ৬ মাস লাগবে। আরও আগে আনা যায় কি না, সেটি তারা ভাবে না’।
রেলসচিব হুমায়ুন কবীর বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ অংশে রেলের সংযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে করে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণের জেলাগুলোর যোগাযোগ বাড়ছে। নতুন কোচ যুক্ত হলে রেল যোগাযোগ ত্বরান্বিত হবে।
অনুষ্ঠানে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘রেলের লক্ষ্য হচ্ছে যোগাযোগ পরিধি বাড়ানো, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল সংযোগ স্থাপন করা, যাত্রীসেবা দেয়া। আর এই প্রকল্পের মাধ্যমে সেটা অনেকাংশে সম্ভব হবে।’
জানা গেছে, প্রথমে ম্যাটিরিয়াল চার্জ হিসেবে অর্থ দিবে ইআইবি। কোচগুলো দেশে আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সেটি খালাস বাবদ য়ে ৩৫ শতাংশ অর্থ খরচ হবে এই অর্থ দিবে বাংলাদেশ সরকার, যার পরিমাণ প্রায় ৩০৩ কোটি টাকা। কোচগুলো হবে স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন। এসি থাকবে কোচের ছাদে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব হবে। এসব কোচ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে।