বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছেন তা নিশ্চিত করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে তার লাশ পাওয়া গেছে কিনা তা এখনও কেউ নিশ্চিত করেনি।কলকাতার ব্যারাকপুরের নিউটাউনের একটি বাসায় তাকে খুন করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিশের সুত্র বলছে তারা একটি দেহের কিছু টুকরো পেয়েছেন। তবে তা বাংলাদেশের এমপি আজিম আনারের কিনা তা এখনও তারা নিশ্চিত নন। কিছু প্রক্রিয়া শেষে তারা নিশ্চিত হতে পারবেন।
আট দিন নিখোঁজ থাকার পর কলকাতায় আজিম আনারের হত্যার খবর দেয় এখানকার পুলিশ । বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের এই সংসদ সদস্য ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন বলেই খবর। ১২ ই মে তিনি কলকাতায় আসেন। তার এই রহস্যজনক মৃত্যুর খবর কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনও নিশ্চিত করেছে।
কিভাবে মৃত্যু হল তার, ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতার পুলিশের বিশেষ দল। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ব্যারাকপুর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এমপি আনোয়ারুলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ।
সূত্রের খবর বরানগরে বন্ধুর বাড়িতে এসে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য। ১৮ই মে বরানগর থানায় তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান তার বন্ধু।
জানাগেছে, স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ কে দেখাতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ। ১৩ই মে কলতাস্থ বন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ১৩ মে নিউমার্কেট শেষ তার মোবাইল ফোনের লোকেশন মেলে। তারপর ১৭ই মে বিহারের ফোন সচল হয়েছিল আনারের।
গত রোববার, ১৯ মে, আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগে গিয়ে তার পিতার নিখোঁজের অভিযোগ জানান। প্রাথমিক অনুমান ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণেই তিনি খুন হতে পারেন।
তথ্য সূত্র জানায়, ১২ মে ইমিগ্রেশন পার হয়ে তিনি ভারতেআসেন । তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছিল, ভারতে যাওয়ার পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, গত ১৬ মে সকালে এমপি আনারের অবস্থান ছিল বিহারের মোজাফফরাবাদ। সেখান থেকে বাংলাদেশে তার পিএস আবদুর রউফ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ফোনে কল করা হয়। তবে ওই ফোনকলটি এমপি আনার করেছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
অন্য একটি সূত্র বলেছে, তার ফোনের ট্রাকিং অবস্থান এক সময়ে ঝিনাইদহেও ছিল। কিন্তু এমপি সম্পর্কে সঠিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এমপি আনারের ভারতে কতিপয় ব্যক্তির সঙ্গে নানাবিধ গোপন ব্যবসা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হয়তোবা সেই ব্যবসার বিরোধের জেরেই তিনি খুন হতে পারেন বলে অনুমান। আবার নারী ঘটিত কিছু অভিযোগও খুঁজে পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব সামনে রেখেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে টানা তিন বারের এমপি। এর আগে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
বুধবার, ২২ মে ২০২৪
বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুন হয়েছেন তা নিশ্চিত করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে তার লাশ পাওয়া গেছে কিনা তা এখনও কেউ নিশ্চিত করেনি।কলকাতার ব্যারাকপুরের নিউটাউনের একটি বাসায় তাকে খুন করা হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।
কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিশের সুত্র বলছে তারা একটি দেহের কিছু টুকরো পেয়েছেন। তবে তা বাংলাদেশের এমপি আজিম আনারের কিনা তা এখনও তারা নিশ্চিত নন। কিছু প্রক্রিয়া শেষে তারা নিশ্চিত হতে পারবেন।
আট দিন নিখোঁজ থাকার পর কলকাতায় আজিম আনারের হত্যার খবর দেয় এখানকার পুলিশ । বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ) আসনের এই সংসদ সদস্য ভারতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন বলেই খবর। ১২ ই মে তিনি কলকাতায় আসেন। তার এই রহস্যজনক মৃত্যুর খবর কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনও নিশ্চিত করেছে।
কিভাবে মৃত্যু হল তার, ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতার পুলিশের বিশেষ দল। ঘটনাস্থলে রয়েছেন ব্যারাকপুর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এমপি আনোয়ারুলের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে দু'জনকে গ্রেপ্তার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ।
সূত্রের খবর বরানগরে বন্ধুর বাড়িতে এসে উঠেছিলেন বাংলাদেশের ওই সংসদ সদস্য। ১৮ই মে বরানগর থানায় তার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান তার বন্ধু।
জানাগেছে, স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ কে দেখাতে এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ। ১৩ই মে কলতাস্থ বন্ধুর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। ১৩ মে নিউমার্কেট শেষ তার মোবাইল ফোনের লোকেশন মেলে। তারপর ১৭ই মে বিহারের ফোন সচল হয়েছিল আনারের।
গত রোববার, ১৯ মে, আনোয়ারুল আজিমের মেয়ে বাংলাদেশ গোয়েন্দা বিভাগে গিয়ে তার পিতার নিখোঁজের অভিযোগ জানান। প্রাথমিক অনুমান ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের কারণেই তিনি খুন হতে পারেন।
তথ্য সূত্র জানায়, ১২ মে ইমিগ্রেশন পার হয়ে তিনি ভারতেআসেন । তার পরিবার থেকে জানানো হয়েছিল, ভারতে যাওয়ার পর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, গত ১৬ মে সকালে এমপি আনারের অবস্থান ছিল বিহারের মোজাফফরাবাদ। সেখান থেকে বাংলাদেশে তার পিএস আবদুর রউফ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ফোনে কল করা হয়। তবে ওই ফোনকলটি এমপি আনার করেছিলেন কি না তা নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
অন্য একটি সূত্র বলেছে, তার ফোনের ট্রাকিং অবস্থান এক সময়ে ঝিনাইদহেও ছিল। কিন্তু এমপি সম্পর্কে সঠিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এমপি আনারের ভারতে কতিপয় ব্যক্তির সঙ্গে নানাবিধ গোপন ব্যবসা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। হয়তোবা সেই ব্যবসার বিরোধের জেরেই তিনি খুন হতে পারেন বলে অনুমান। আবার নারী ঘটিত কিছু অভিযোগও খুঁজে পেয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব সামনে রেখেই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে টানা তিন বারের এমপি। এর আগে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।